Ajker Patrika

অশনির প্রভাবে ফসলের ক্ষতি

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ মে ২০২২, ১৬: ১১
অশনির প্রভাবে ফসলের ক্ষতি

ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে পটুয়াখালীতে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এ কারণে স্থানীয় কৃষকেরা মুগ ডাল ও রবি ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। তবে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন কৃষি বিভাগ।

জানা গেছে, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় অশনির প্রভাবে গতকাল মঙ্গলবার বেলা ৩টা পর্যন্ত পটুয়াখালী আবহাওয়া অফিসে ৫৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। টানা তিন দিনের বৃষ্টিতে পটুয়াখালী সদর, মির্জাগঞ্জ, দুমকি, বাউফল, দশমিনা, গলাচিপা, কলাপাড়া, রাঙ্গাবালীসহ সব উপজেলায় বৃষ্টির পানিতে মুগ ডাল, বাদাম, মরিচ ও শাকসবজির ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকেরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর জেলায় ১৬ হাজার ৯৭০ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ করা হয়েছে। বোরো ধানের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ হাজার হেক্টর। এ ছাড়া পটুয়াখালী জেলায় এক লাখ হেক্টর জমিতে মুগ ডালের চাষ হয়েছে। এ বছর ৮৯ হাজার হেক্টর মুগ ডালের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে ভারী বর্ষণের কারণে মুগ ডালের কিছুটা ক্ষতি হবে এবং ২০০ হেক্টরের মতো রবি ফসল আক্রান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ।

সদর উপজেলার কালিকাপুর ইউনিয়নের কৃষক আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমার খেতে ধান ও মুগ ডাল লাগাইছি। বন্যা আসার খবরে ধান কাইট্টা হালাইছি। কিন্তু মুগ ডাইল তুলতে পারি নাই। এহন বৃষ্টির পানি লাগায় মুগ ডাইলে গজ হইয়া যাইতেছে।’

রাঙ্গাবালী উপজেলার বিজয় দাস বলেন, ‘আমি ৫ একর জমিতে মুগ ডাল, ৫৩ শতাংশ জমিতে বাদাম আর ১ একর জমিতে মরিচ চাষ করেছি। গত কয়েক দিন শ্রমিক-সংকট ছিল। ডাল ঘরে তুলতে পারিনি। কিন্তু এ বৃষ্টিতে আমার সব শেষ হয়ে যাবে মনে হচ্ছে।’

দশমিনা উপজেলার উত্তর লক্ষ্মীপুর গ্রামের কৃষক মো. আকবর মিয়া বলেন, ‘এবার ১ একর জমিতে চিনাবাদাম আবাদ করেছি। তবে গত তিন দিনের বৃষ্টিতে চিন্তায় পড়ে গেছি। বাদাম নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

এদিকে দশমিনা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা মো. জাফর আহম্মেদ বলেন, ‘এই উপজেলার দুই হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ ফসল কাটার উপযোগী হয়েছে। বৃষ্টিপাত যদি অব্যাহত থাকে, তাহলে ফসলের ক্ষতি হতে পারে। তাই কৃষকদের দ্রুত বোরো ধান কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আর এই উপজেলায় ১৩ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে মুগ ডালের চাষ হয়েছে। তবে যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে, তাতে বোরো ধান বা রবি ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা কম। তবে বৃষ্টি বাড়লে ক্ষতির পরিমাণ বাড়বে।’

পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মহিউদ্দিন খান বলেন, ‘দুর্যোগের আগে ও পরে কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতি যাতে কমিয়ে আনা যায়, সে জন্য আগে থেকেই কৃষি বিভাগ কাজ করছে এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেওয়া আছে। এ ছাড়া যতটা সম্ভব মাঠের ফসল দ্রুত সংগ্রহ করার পরামর্শ দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। এরই মধ্যে কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের কৃষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দিতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত