Ajker Patrika

৩২ বিদ্যালয়ে কক্ষসংকট

আনিসুল ইসলাম, কাপাসিয়া (গাজীপুর)
আপডেট : ৩১ জুলাই ২০২২, ১২: ০৯
৩২ বিদ্যালয়ে কক্ষসংকট

গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে ১৭৯টি। এগুলোর মধ্যে ৩২টি বিদ্যালয়ে নেই পর্যাপ্ত শ্রেণিকক্ষ। এতে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। এ ছাড়া বেশ কিছু বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যেকোনো সময় ধসে পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করা হচ্ছে।

উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তালিকা অনুযায়ী, উপজেলার পরিত্যক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধানদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে দরদরিয়া, আনজাব পেওরাইট, হরিমঞ্জুরী, দক্ষিণগাঁও, আমরাইদ, কোটবাজালিয়া, পাঁচুয়া বর্জাপুর, নবীপুর, পাঁচুয়া পূর্বপাড়া ও তরুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন। এ ছাড়া দিঘীরকান্দা ম্যানেজড, ডাওরা জেবি, চর আলিনগর, আড়ালিয়া দক্ষিণপাড়া, চন্ডাল হাতা, বিষ্ণুপুর, কড়িহাতা, রাউৎকোনা, রাণীগঞ্জ, চাকৈল, বেগুনহাটি, চাঁদপুর, খিরাটী, চেংনা বালিকা, ধরপাড়া, রায়েদ পূর্বপাড়া, ছাটারব, তেঁতুলেশ্বর, ভিটিপাড়া কাজলদিঘী, ঘাগটিয়া চালা এবং কান্দানিয়া মো. সাহাজ উদ্দিন মোড়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনও ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।

সরেজমিনে জানা যায়, উপজেলা সদরের হরিমঞ্জুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি সেমিপাকা টিনশেড ঘর করা হয়েছিল ১৯৮২ সালে। বর্তমানে সেটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ২০০০ সালে ছয় কক্ষের একটি দোতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। এই ভবনের চারটি কক্ষে বর্তমানে পাঠদান চলে। একটি কক্ষ অফিস, অপরটি কম্পিউটার ল্যাব হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। সন্মানিয়া ইউনিয়নের ধানদিয়া মামুরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১০ সালে একটি পাকা ভবন নির্মাণ করা হয়। সেই ভবনটি তিন বছর আগে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। বর্তমানে পাশে টিনশেড ঘর মেরামত করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে।

হরিমঞ্জুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাভলী ইয়াসমিন জানান, বিদ্যালয়ে মোট শিক্ষার্থী ৪১৬ জন। শ্রেণিকক্ষ-সংকটে দুই শিফটে ভাগ করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করা হচ্ছে। এতে এক কক্ষে গাদাগাদি করে ক্লাস করতে হয় শিক্ষার্থীদের। এভাবে ২২ বছর ধরে চলছে। নতুন ভবনের বিষয়ে আশ্বাস মিললেও বাস্তবায়িত হয়নি।

ধানদিয়া মামুরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম মো. তৌমুরুজ্জামান বলেন, ‘ভবনের অভাবে খুব কষ্ট করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান দেওয়া হচ্ছে। বহুদিন ধরে এই অবস্থায় চলছে। জায়গা সংকুলান না হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী অন্য প্রতিষ্ঠানে চলে গেছে।’

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) আনসার উদ্দীন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট সংখ্যা ১৭৯। এগুলোর মধ্যে ২৫টি বিদ্যালয় অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে নতুন ভবন নির্মাণ করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। আর জরুরি ভিত্তিতে ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ প্রয়োজন সাতটি বিদ্যালয়ে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সমস্যার কথা তুলে ধরে চিঠি ও তথ্য পাঠিয়েছি। আশ্বাস পেয়েছি, খুব শিগগির নতুন ভবন নির্মাণকাজ শুরু করা হবে।’

আনসার উদ্দীন আরও জানান, উপজেলার হরিমঞ্জুরী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হরিমঞ্জুরী পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় একই চত্বরে অবস্থিত। জমি নিয়ে সমস্যা থাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবনটি নির্মাণে দেরি হয়েছে। তবে বর্তমানে জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব সমাধান হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ শুরু হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১০০ বছর পর জানা গেল ‘অপ্রয়োজনীয়’ প্রত্যঙ্গটি নারীর প্রজননের জন্য গুরুত্বপূর্ণ

‘এই টাকা দিয়ে কী হয়, আমি এত চাপ নিচ্ছি, লাখ পাঁচেক দিতে বলো’, ওসির অডিও ফাঁস

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল, যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের এপিএস মোয়াজ্জেমকে অব্যাহতি

ঘন ঘন নাক খুঁটিয়ে স্মৃতিভ্রংশ ডেকে আনছেন না তো!

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত