সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত বারৈয়ারঢালা ও বাড়বকুণ্ড আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুই শতাধিক শিশু। এসব শিশুকে বিদ্যালয়মুখী করতে নেওয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপ। এতে অনিশ্চয়তায় পড়ছে তাদের ভবিষ্যৎ।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গৃহহীন ও অসহায় পরিবারকে পুনর্বাসন করতে ২০০০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ও বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণ করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের ভায়েরখীল এলাকার পাহাড়ে গৃহহীন ৬০টি পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ করা হয়। একইভাবে বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের ছোট দারোগারহাট বাজারের পূর্ব দিকে তিন কিলোমিটার ভেতরে পাহাড়ের ওপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৬০ পরিবারের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর তৈরি করা হয়।
সরকার দুটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ছিন্নমূল ও ভাসমান পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রতি পরিবারকে ঘরের পাশাপাশি ১০ শতক করে জমি বরাদ্দ দেয়। এদের দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের।
জানা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা কৃষি খামার, অন্যের বাড়ির কাজ, দিনমজুরসহ বিভিন্ন কাজ করেন। তাদের সংসারে সব সময় অভাব থাকে। আর অধিকাংশ নারী অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। বর্ষা মৌসুমে প্রায় সবাই কর্মহীন থাকেন।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা অজি উল্ল্যাহ (৪০) বলেন, ‘২০০০ সালে সরকারিভাবে আমাদের ঘর দেওয়া হয়। সরকারি অনুদান ও ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর থমকে যায় এসব প্রতিশ্রুতি। এতে নানামুখী সমস্যায় পড়েন এখানকার বাসিন্দারা। আমাদের আশপাশে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। আমাদের ছেলেমেয়েরা এ জন্য শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। লেখাপড়া না করায় এখানকার শিশুরা খারাপ সঙ্গে পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’
আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এখানে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায় নিরক্ষর হয়ে আছে পাঁচ থেকে ১২ বছরের অধিকাংশ শিশু। আমাদের অনেকেই সন্তানকে লেখাপড়া করাতে চান। তবে ছোট শিশু সন্তানকে দূরের স্কুলে পাঠাতে রাজি না। এতে নিরক্ষর শিশুর সংখ্যা ক্রমই বাড়ছে।’
রোকেয়া বেগম (৪৫) নামে এক নারী অনেকটা আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, ‘ছোট থেকে দরিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করে বড় হয়েছি। অভাবের কারণে লেখাপড়া করতে পারিনি। স্বপ্ন ছিল ছেলেমেয়েকে লেখাপড়া শেখাব। কিন্তু এখানে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায় সেটি সম্ভব হচ্ছে না।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুরুচ্ছাফা বলেন, ‘সরকারি নীতিমালা ছাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করা সম্ভব না।’
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিক্ষা থেকে বঞ্চিত বারৈয়ারঢালা ও বাড়বকুণ্ড আশ্রয়ণ প্রকল্পের দুই শতাধিক শিশু। এসব শিশুকে বিদ্যালয়মুখী করতে নেওয়া হয়নি কোনো পদক্ষেপ। এতে অনিশ্চয়তায় পড়ছে তাদের ভবিষ্যৎ।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গৃহহীন ও অসহায় পরিবারকে পুনর্বাসন করতে ২০০০ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ও বারৈয়ারঢালা ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণ করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার। বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের ভায়েরখীল এলাকার পাহাড়ে গৃহহীন ৬০টি পরিবারের জন্য ঘর নির্মাণ করা হয়। একইভাবে বারৈয়াঢালা ইউনিয়নের ছোট দারোগারহাট বাজারের পূর্ব দিকে তিন কিলোমিটার ভেতরে পাহাড়ের ওপর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৬০ পরিবারের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর তৈরি করা হয়।
সরকার দুটি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ছিন্নমূল ও ভাসমান পরিবারগুলোকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রতি পরিবারকে ঘরের পাশাপাশি ১০ শতক করে জমি বরাদ্দ দেয়। এদের দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের।
জানা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা কৃষি খামার, অন্যের বাড়ির কাজ, দিনমজুরসহ বিভিন্ন কাজ করেন। তাদের সংসারে সব সময় অভাব থাকে। আর অধিকাংশ নারী অন্যের বাড়িতে কাজ করেন। বর্ষা মৌসুমে প্রায় সবাই কর্মহীন থাকেন।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা অজি উল্ল্যাহ (৪০) বলেন, ‘২০০০ সালে সরকারিভাবে আমাদের ঘর দেওয়া হয়। সরকারি অনুদান ও ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর থমকে যায় এসব প্রতিশ্রুতি। এতে নানামুখী সমস্যায় পড়েন এখানকার বাসিন্দারা। আমাদের আশপাশে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নেই। আমাদের ছেলেমেয়েরা এ জন্য শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। লেখাপড়া না করায় এখানকার শিশুরা খারাপ সঙ্গে পড়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’
আলমগীর হোসেন বলেন, ‘এখানে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায় নিরক্ষর হয়ে আছে পাঁচ থেকে ১২ বছরের অধিকাংশ শিশু। আমাদের অনেকেই সন্তানকে লেখাপড়া করাতে চান। তবে ছোট শিশু সন্তানকে দূরের স্কুলে পাঠাতে রাজি না। এতে নিরক্ষর শিশুর সংখ্যা ক্রমই বাড়ছে।’
রোকেয়া বেগম (৪৫) নামে এক নারী অনেকটা আক্ষেপের সঙ্গে বলেন, ‘ছোট থেকে দরিদ্রতার সঙ্গে লড়াই করে বড় হয়েছি। অভাবের কারণে লেখাপড়া করতে পারিনি। স্বপ্ন ছিল ছেলেমেয়েকে লেখাপড়া শেখাব। কিন্তু এখানে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না থাকায় সেটি সম্ভব হচ্ছে না।’
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নুরুচ্ছাফা বলেন, ‘সরকারি নীতিমালা ছাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান করা সম্ভব না।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫