এইচ এম মনসুর আলী, হাটহাজারী (চট্টগ্রাম)
মানুষের হাতের মতো নড়াচড়া করছে কবজি ও আঙুলগুলো। ইচ্ছেমতো যেকোনো দিকে ঘোরানো যাচ্ছে। করা যাচ্ছে মুষ্টিবদ্ধ। পানি তুলে দিচ্ছে মুখে। চট্টগ্রামের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে ইলেকট্রনিকস ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অধ্যয়নরত জয় বড়ুয়া লাভলু নামে এক কিশোর তৈরি করেছেন এমন একটি ‘রোবোটিকস হ্যান্ড (হাত)’। এটি সামাজিক মাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলেছে।
জয় বড়ুয়া লাভলু বলেন, মূলত অঙ্গহীন মানুষের সুবিধার্থে তিনি এই রোবোটিকস হাত তৈরি করেছেন।
সরেজমিনে জয় বড়ুয়া লাভলুর ভাড়া বাসায় দেখা যায়, চার কক্ষের বাড়ির তিনটি ঘরে তাঁর পরিবারের বসবাস। অন্য একটি কক্ষকে ল্যাব বানিয়ে কাজ করছেন লাভলু। কখনো ল্যাপটপ থেকে কোড নিয়ে সেট করছেন রোবোটিকস হাতে, আবার কখনো জোড়াতালি দিচ্ছেন কেব্লগুলো। এভাবে দীর্ঘ পাঁচ বছর রোবোটিকস হাত তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
জয় বড়ুয়া লাভলু বলেন, ২০১৭ সালের দিকে রোবোটিকস হাত তৈরির বিষয়টা তাঁর মাথায় আসে। তখন এসএসসি শেষ করেছিলেন মাত্র। শুরুতে মা-বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ কিনেছেন। অধিকাংশ যন্ত্রাংশ দেশে পাওয়া যায় না। তাই চড়া দামে বিদেশ থেকে এনেছেন। তাঁর কৃত্রিম হাতের চারটা প্রজেক্ট আছে।
লাভলু বলেন, যারা বোম ডিসপোজাল ইউনিটে কাজ করেন কিংবা লোহা ফ্যাক্টরি এবং বিপজ্জনক কাজ করেন, তাঁরা এ রোবোটিকস হাত ব্যবহার করতে পারবেন। যেটা কন্ট্রোল করা হবে মানুষের হাতের সঙ্গে লাগানো একটি ট্রান্সমিটার হাতের সাহায্যে।
ডিপ্লোমা শেষ করে লাভলুর ইচ্ছে ঢাকা প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ডুয়েট) রোবোটিকস সম্পর্কিত কোনো বিষয়ে পড়াশোনা করার। ভবিষ্যতে তিনি একটি বড় রোবোটিকস প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চান বলে জানান। যেখানে উন্নত প্রযুক্তি আর রোবোটিকস বিষয়ে গবেষণা করা হবে। নতুন প্রজন্মকে সেসব কাজ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হবে।
লাভলুর মা রীনা বড়ুয়া ও বাবা রবি বড়ুয়া বলেন, ‘তাদের আর্থিক অবস্থা ভালো না। অনেক কষ্টে তাঁরা দুই ছেলেকে পড়াশোনা করাচ্ছেন। তাঁদের প্রত্যাশা লাভলু বড় হয়ে একদিন বিজ্ঞানী হবে। তাই তাঁরা তাঁকে এসব কাজের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। ছেলের পড়াশোনার খরচ চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। তাঁরা লাভলুর জন্য সরকারের কাছে সাহায্য কামনা করেন।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহিদুল আলম বলেন, জয় বড়ুয়া লাভলু ‘রোবোটিকস হাত’ তৈরি করেছেন। মূলত যাদের হাত অথবা হাতের কবজি নেই, তাদের জন্য এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশা করছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে নাসা স্পেস অ্যাপ চ্যালেঞ্জে চট্টগ্রাম থেকে প্রথম স্থান অর্জন করেন লাভলু ও তাঁর দল। ইলেকট্রনিকস সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘আবিষ্কারের খোঁজে’ নামক প্রতিযোগিতায় রানারআপের পুরস্কার পান।
মানুষের হাতের মতো নড়াচড়া করছে কবজি ও আঙুলগুলো। ইচ্ছেমতো যেকোনো দিকে ঘোরানো যাচ্ছে। করা যাচ্ছে মুষ্টিবদ্ধ। পানি তুলে দিচ্ছে মুখে। চট্টগ্রামের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজিতে ইলেকট্রনিকস ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে অধ্যয়নরত জয় বড়ুয়া লাভলু নামে এক কিশোর তৈরি করেছেন এমন একটি ‘রোবোটিকস হ্যান্ড (হাত)’। এটি সামাজিক মাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলেছে।
জয় বড়ুয়া লাভলু বলেন, মূলত অঙ্গহীন মানুষের সুবিধার্থে তিনি এই রোবোটিকস হাত তৈরি করেছেন।
সরেজমিনে জয় বড়ুয়া লাভলুর ভাড়া বাসায় দেখা যায়, চার কক্ষের বাড়ির তিনটি ঘরে তাঁর পরিবারের বসবাস। অন্য একটি কক্ষকে ল্যাব বানিয়ে কাজ করছেন লাভলু। কখনো ল্যাপটপ থেকে কোড নিয়ে সেট করছেন রোবোটিকস হাতে, আবার কখনো জোড়াতালি দিচ্ছেন কেব্লগুলো। এভাবে দীর্ঘ পাঁচ বছর রোবোটিকস হাত তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
জয় বড়ুয়া লাভলু বলেন, ২০১৭ সালের দিকে রোবোটিকস হাত তৈরির বিষয়টা তাঁর মাথায় আসে। তখন এসএসসি শেষ করেছিলেন মাত্র। শুরুতে মা-বাবার কাছ থেকে টাকা নিয়ে বিভিন্ন যন্ত্রাংশ কিনেছেন। অধিকাংশ যন্ত্রাংশ দেশে পাওয়া যায় না। তাই চড়া দামে বিদেশ থেকে এনেছেন। তাঁর কৃত্রিম হাতের চারটা প্রজেক্ট আছে।
লাভলু বলেন, যারা বোম ডিসপোজাল ইউনিটে কাজ করেন কিংবা লোহা ফ্যাক্টরি এবং বিপজ্জনক কাজ করেন, তাঁরা এ রোবোটিকস হাত ব্যবহার করতে পারবেন। যেটা কন্ট্রোল করা হবে মানুষের হাতের সঙ্গে লাগানো একটি ট্রান্সমিটার হাতের সাহায্যে।
ডিপ্লোমা শেষ করে লাভলুর ইচ্ছে ঢাকা প্রযুক্তি ও প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ডুয়েট) রোবোটিকস সম্পর্কিত কোনো বিষয়ে পড়াশোনা করার। ভবিষ্যতে তিনি একটি বড় রোবোটিকস প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চান বলে জানান। যেখানে উন্নত প্রযুক্তি আর রোবোটিকস বিষয়ে গবেষণা করা হবে। নতুন প্রজন্মকে সেসব কাজ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হবে।
লাভলুর মা রীনা বড়ুয়া ও বাবা রবি বড়ুয়া বলেন, ‘তাদের আর্থিক অবস্থা ভালো না। অনেক কষ্টে তাঁরা দুই ছেলেকে পড়াশোনা করাচ্ছেন। তাঁদের প্রত্যাশা লাভলু বড় হয়ে একদিন বিজ্ঞানী হবে। তাই তাঁরা তাঁকে এসব কাজের সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। ছেলের পড়াশোনার খরচ চালাতে অনেক কষ্ট হচ্ছে। তাঁরা লাভলুর জন্য সরকারের কাছে সাহায্য কামনা করেন।
এ ব্যাপারে হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহিদুল আলম বলেন, জয় বড়ুয়া লাভলু ‘রোবোটিকস হাত’ তৈরি করেছেন। মূলত যাদের হাত অথবা হাতের কবজি নেই, তাদের জন্য এটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশা করছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাঁকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে নাসা স্পেস অ্যাপ চ্যালেঞ্জে চট্টগ্রাম থেকে প্রথম স্থান অর্জন করেন লাভলু ও তাঁর দল। ইলেকট্রনিকস সেফটি অ্যান্ড সিকিউরিটি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘আবিষ্কারের খোঁজে’ নামক প্রতিযোগিতায় রানারআপের পুরস্কার পান।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪