Ajker Patrika

বিদ্রোহীদের কাছে বারবার ধরাশায়ী আ.লীগ প্রার্থীরা

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী
আপডেট : ০৩ জানুয়ারি ২০২৩, ১৩: ২২
বিদ্রোহীদের কাছে বারবার ধরাশায়ী আ.লীগ প্রার্থীরা

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমের এলাকায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে বারবার পরাজিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থীরা। দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের কাছেই ধরাশায়ী হচ্ছেন তাঁরা। এমনকি প্রতিমন্ত্রীর নিজ ভোটকেন্দ্রেও শোচনীয় পরাজয় হয়েছে নৌকার।

গত কয়েক বছরে জেলার বাঘা ও চারঘাট উপজেলায় স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণে নৌকার প্রার্থীদের ভরাডুবির চিত্র পাওয়া গেছে। ২০২১ সালে বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহিদুজ্জামান শাহিদ মেয়র পদে ভোট করে হেরে যান। জয়ী হন বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলী। জয়গুননেসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। ওই কেন্দ্রে ১ হাজার ৭০০ ভোটের মধ্যে নৌকা পায় মাত্র ৭৭ ভোট। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী মুক্তার আলী পান ১ হাজার ১৯৫ ভোট।

এর আগে ২০১৭ সালে বাঘা পৌর নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আবদুর রাজ্জাক মেয়র নির্বাচিত হন। তাঁর কাছে পরাজিত হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আক্কাছ আলী। ২০১৪ সালে বাঘা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নেতা আজিজুল আলমকে হারিয়ে চেয়ারম্যান হন জামায়াত নেতা জিন্নাত আলী। ২০১৫ সালে চারঘাট পৌর নির্বাচনেও ভরাডুবি হয়েছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নারগিস খাতুনের। ওই ভোটে বিএনপির প্রার্থী জাকির ইসলাম বিকুল মেয়র হন। ২০১৪ সালে চারঘাট উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ চেয়ারম্যান হন। হেরে যান আওয়ামী লীগ নেতা ফকরুল ইসলাম।

২০২১ সালে বাঘা উপজেলার বাউসা ইউপি নির্বাচনেও ধরাশায়ী হন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শফিকুর রহমান শফিক। কারাগারে থেকেও নির্বাচন করে ৮ হাজার ১৬৫ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান হন স্বতন্ত্র প্রার্থী নূর মোহাম্মদ তুফান। আর ৫ হাজার ৪২৮ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন নৌকার প্রার্থী। চারঘাট উপজেলার ইউসুফপুর ইউপিতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে পরাজিত করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান হন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুল ইসলাম মাখন। নিমপাড়া ইউপি নির্বাচনে ডুবেছে নৌকা। এখানে আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে হারিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী মিজানুর রহমান চেয়ারম্যান হন।

সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার বাঘা পৌর নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগ নেতা আক্কাছ আলী মেয়র হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার ৩৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাহিনুর রহমান পিন্টু পেয়েছেন মাত্র ৬ হাজার ১৮৭ ভোট। প্রায় দ্বিগুণ ভোটের ব্যবধানে হেরেছে নৌকা।

বাঘা ও চারঘাট উপজেলায় গেল কয়েকটি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ফল বিশ্লেষণে দেখা যায়, নৌকার বিদ্রোহী হয়ে ভোট করে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতারাই। অথচ দলের প্রার্থীদের ভরাডুবি হয়েছে।

স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের পরাজয়ের কারণ সম্পর্কে জানতে বাঘা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সংসদ সদস্য শাহরিয়ার আলমের মোবাইল ফোনে গত শুক্রবার বিকেল পাঁচটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

চারঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন বলেন, দলীয় সিদ্ধান্তের যখন প্রার্থী মনোনয়ন হয় তখন সেটি ভুল বলা যায় না। তবে অনেক সময় অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও টাকার প্রভাবের কারণে নৌকার প্রার্থী পাস করতে পারেন না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আমিনুল ইসলাম নন, শিক্ষা উপদেষ্টা হচ্ছেন অধ্যাপক আবরার

গণপিটুনিতে নিহত জামায়াত কর্মী নেজাম ও তাঁর বাহিনী গুলি ছোড়ে, মিলেছে বিদেশি পিস্তল: পুলিশ

বসুন্ধরায় ছিনতাইকারী সন্দেহে ২ বিদেশি নাগরিককে মারধর

বিএনপির দুই পেশাজীবী সংগঠনের কমিটি বিলুপ্ত

ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ: ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা, নিষিদ্ধের দাবি শিক্ষার্থীদের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত