Ajker Patrika

২৬ একর জমিতে বোরো চাষাবাদে অনিশ্চয়তা

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ জানুয়ারি ২০২২, ১১: ৫১
২৬ একর জমিতে বোরো চাষাবাদে অনিশ্চয়তা

লক্ষ্মীপুরে একটি বোরো সেচ প্রকল্প চালু নিয়ে দুদিনে দুই ধরনের নির্দেশনা দিয়েছেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান হোসেন। প্রথম চিঠিতে তিনি সেচ প্রকল্প চালুর অনুমতি দিলেও পরের চিঠিতে সেই আদেশ বাতিল করেন। এ কারণে চলতি মৌসুমে প্রায় ২৬ একর জমিতে ধানের আবাদ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

বাংলাদেশের কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) আওতায় নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরকে নিয়ে ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্পটি লক্ষ্মীপুর সদরের মান্দারীর পশ্চিম গন্ধব্যপুর এলাকায়।

কৃষকেরা বলেন, বোরো ধানের চারা লাগানোর সময় যাচ্ছে। কিন্তু পানির অভাবে জমিতে এখনো হাল দিতে পারছেন না। সময়মতো চারা লাগাতে না পারলে তাঁরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। প্রকল্পের ম্যানেজার ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন মহিউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। প্রকল্পটি ইসমাইলের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতে তিনি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অভিযোগটি করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যা বিএডিসি এবং কৃষি কর্মকর্তাদের তদন্তেও উঠে আসে।

তাঁদের দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে উপজেলা সেচ প্রকল্পের সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইমরান হোসেন গত ২০ জানুয়ারি ইসমাইল হোসেনকে সেচ প্রকল্প চালু করার নির্দেশনা দিয়ে চিঠি দেন। কিন্তু তিন দিন পর ২৩ জানুয়ারি আবার ওই চিঠির আদেশ বাতিল করে সেচ প্রকল্প বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।

প্রকল্পের আওতাধীন কৃষক মমিন উল্যা, খলিল মিয়া, শাহ আলম, মফিজ উল্যা, আবদুস সহিদসহ অনেকে বলেন, পানির অভাবে চাষ দিতে পারছেন না। অথচ দুই সপ্তাহ আগে চারা লাগানোর সময় ছিল। বীজতলার চারাগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।

এদিকে মান্দারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহিমের সুপারিশ নিয়ে গত ১৯ জুলাই মো. মহিউদ্দিন নামের এক ব্যক্তি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন। ১৬ নভেম্বর পাল্টা অভিযোগ করেন প্রকল্পের ম্যানেজার ইসমাইল হোসেন ও হারাধন চন্দ্র মজুমদার। গত

১৯ জানুয়ারি মহিউদ্দিনের অভিযোগটি ব্যক্তিস্বার্থে করা হয়েছে উল্লেখ করে প্রতিবেদন দেন সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসান ইমাম। পরে ইউএনও আরেকটি চিঠি দেন পাম্প চালু না করতে।

তবে মহিউদ্দিন বলেন, ‘ম্যানেজার ইসমাইল ঠিকমতো পানি দিতেন না। তিনি অতিরিক্ত টাকা আদায় করতেন এবং কৃষকদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করতেন। তাই কৃষকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি অভিযোগ করেছি।’

বিএডিসির উপসহকারী প্রকৌশলী মো. মামুন বলেন, ‘অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা সেচ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেছি। কৃষকেরা জমিতে পানি চাচ্ছেন। কিন্তু প্রকল্প ম্যানেজার ইসমাইল সেচ পাম্প চালু করতে পারছেন না।’

সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা হাসান ইমাম বলেন, ‘প্রকল্পটি বিএডিসির। এতে আমাদের সম্পৃক্ততা নেই। তবে অভিযোগগুলো আমরা তদন্ত করে প্রতিবেদন দিয়েছি। বিষয়টি সমাধান হলে কৃষকেরা চাষাবাদ শুরু করতে পারবেন।’

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সেচ কমিটির সভাপতি মো. ইমরান হোসেন বলেন, ‘ইসমাইলের আবেদনের ভিত্তিতে সেচ পাম্প চালানোর নির্দেশনা দিয়েছি। কিন্তু আরেকটি অভিযোগের কারণে পাম্প বন্ধ রাখতে বলেছি। দুই-এক দিনের মধ্যে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইউটিউবে ১০০০ ভিউতে আয় কত

বাকৃবির ৫৭ শিক্ষকসহ ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা

বাংলাদেশে ফেরত পাঠাতে পারে সরকার, ভয়ে কলকাতায় দিলীপ কুমারের আত্মহত্যা

স্ত্রী রাজি নন, সাবেক সেনাপ্রধান হারুনের মরদেহের ময়নাতদন্ত হবে না: পুলিশ

সাবেক সেনাপ্রধান হারুন ছিলেন চট্টগ্রাম ক্লাবের গেস্ট হাউসে, দরজা ভেঙে বিছানায় মিলল তাঁর লাশ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত