Ajker Patrika

আশ্রয়কেন্দ্রে স্বস্তি নেই, বাড়ি ফেরার প্রতীক্ষা বাসিন্দাদের

শাহ আলম সুমন, কুলাউড়া
Thumbnail image

বন্যায় বাড়িঘর প্লাবিত। এক সপ্তাহ ধরে প্রাপ্তবয়স্ক দুই মেয়ে ও ছোট এক ছেলে নিয়ে নূরজাহান বেগম এবং তাঁর স্বামী খলিল মিয়া থাকছেন মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার ভূকশীমইল স্কুল অ্যান্ড কলেজের আশ্রয়কেন্দ্রে। তাঁদের বাড়ি ওই এলাকার মদনগৌরী গ্রামে। তবে আশ্রয়কেন্দ্রে স্বস্তিতে নেই বলে দাবি নূরজাহানের। তিনি বলেন, ‘বাড়িতে পানি ওঠে যাওয়ায় বাধ্য হয়েই আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছি। এখানে থাকা, খাওয়া গোসল সব করতে হয়। ত্রাণ নিয়ে অথবা অন্য কারণে যে কেউ আশ্রয়কেন্দ্রে আসছেন। এখানে অনেক পরিবার থাকেন। তাদের আত্মীয়স্বজনও আসেন। আমার প্রাপ্তবয়স্ক দুটি মেয়েকে নিয়ে এখানে থাকতে অস্বস্তি লাগছে। কবে পানি নামবে আর কবে বাড়িতে ফিরব সেই প্রতীক্ষায় দিন গুনছি।’

এভাবেই নূরজাহানের মতো কুলাউড়ার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা অনেক মানুষ বাড়ি ফেরার প্রতীক্ষায় রয়েছেন। বন্যার পানিতে বাড়িঘর তলিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত সবাই। পানি কমে গেলে সেগুলো কীভাবে সংস্কার করবেন এমন দুশ্চিন্তাও জেঁকে বসেছে তাঁদের মাথায়।

গতকাল শনিবার উপজেলার হাওর তীরবর্তী উপজেলার ভূকশীমইল এলাকার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে গিয়ে মানুষের মধ্যে এমন উৎকণ্ঠা দেখা গেছে। দীর্ঘ তিন দশক পরে এমন পানিবন্দী হয়ে দুর্ভোগে দিন কাটাচ্ছেন উপজেলার লাখো মানুষ। গত শুক্রবার থেকে হাওর তীরবর্তী এলাকাসহ ৭টি ইউনিয়ন ও পৌরসভার ৫টি ওয়ার্ড পানিতে প্লাবিত হয়।

ভূকশীমইল স্কুল অ্যান্ড কলেজের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা আরেক নারী মিনা বেগম বলেন, ‘লোক এসে ডেকে নিয়ে যায়। একসঙ্গে জড়ো করে ত্রাণের প্যাকেট হাতে ধরিয়ে ছবি তুলতে ব্যস্ত সবাই। খুব খারাপ লাগে তখন। ঘরে পানি, নয়তো এখান থেকে বাড়িতে চলে যেতাম। বাধ্য হয়ে থাকছি।’

ভূকশীমইলের কাইরচক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা জাহাঙ্গীর আলী বলেন, ‘২ / ৩ দিন ধরে পানি একটু কমার পরে আবার বৃষ্টি শুরু হলে আতঙ্কে থাকি। ৬ দিন ধরে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বাড়িছাড়া। ঘরের ভেতর সবকিছু প্রায় পানির নিচে। দিনে নৌকা দিয়ে বাড়িতে গিয়ে দেখে আসি। রাতে যেতে পারি না। ঘরের মালামাল চুরি ও নষ্ট হয়ে গেলে কীভাবে কী করব এই চিন্তায় কাটছে।’

কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী বলেন, ‘উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন ও পৌর এলাকার ২৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে সাত শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। বন্যাদুর্গত ১৫ হাজার পরিবারের মধ্যে চাল ও ১৭ শতাধিক পরিবারে মধ্যে শুকনো খাবার, পানি বিশুদ্ধিকরণ ওষুধ ও স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকবে। বন্যা পরবর্তী সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পুনর্বাসনসহ সকল সহায়তায় জেলা ও উপজেলা প্রশাসন থাকবে। আমরা সার্বক্ষণিক বন্যাদুর্গতদের খোঁজ নিচ্ছি।’ 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ঋণের ১৩০০ কোটির এক টাকাও দেননি হলিডে ইনের মালিক

নারীদের খেলায় আর নাক গলাবে না, দেশ ও বিশ্ববাসীর কাছে ক্ষমা চাইল ভাঙচুরকারীরা

ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় ফরিদপুরের ২ জনকে গুলি করে হত্যা

গণ–সমাবেশে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিলেন বিএনপি নেতা

হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যু, সেনা ক্যাম্প কমান্ডারকে প্রত্যাহার

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত