নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
ডলারের দামে লাগা টানা যাচ্ছে না। খোলাবাজারে এর দাম ১০৫ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। দেশে কয়েক মাস ধরে ডলারের বাজারে অস্থিরতা চলছে। সেই অস্থিরতা নিরসনে কাজ করছে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ডলারের খরচ কমানো ও সরবরাহ বাড়াতে মরিয়া তারা। নেওয়া হচ্ছে একের পর এক পদক্ষেপ। তারই অংশ হিসেবে আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ। পাচার ঠেকাতে পণ্য স্ক্যানিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ। শুরু হয়েছে কৃচ্ছ্রসাধন কর্মসূচি। পাশাপাশি বাড়তি ডলার আয় করতে রেমিট্যান্স আহরণে আনা হয়েছে শিথিলতা। বাড়ানো হয়েছে প্রণোদনা। আর বাজারে ডলার বাড়াতে রপ্তানিকারকদের হিসাবে ডলারের জমা রাখার কোটা অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু এত সবের পরেও ডলারের অস্থিরতা কাটছে না।
এদিকে উন্মুক্ত বাজার চাহিদা পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো ডলার বিক্রি করছে। রিজার্ভ সংগ্রহ ও আমদানি ব্যয় মেটাতে নিজেরাই মূল্য নির্ধারণ করছে। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকও ডলারের দাম দিন দিন বৃদ্ধি করছে। আর বাড়তি দামে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি চলমানও রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কেনা দামের চেয়ে বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে। আর রপ্তানিকারকেরাও একটু চড়া দামে ব্যাংক ও আমদানিকারকদের কাছে ডলার বিক্রি করছে। তবে ডলারের দাম আকাশচুম্বী হয়ে দাঁড়িয়েছে খোলাবাজারে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি করেছে ৯৪ টাকা ৪৫ পয়সা। আর গতকাল শনিবার খোলাবাজারে ডলার বিক্রি হয়েছে ১০৫ টাকা। এই দুইয়ের বিক্রয় করা দরের পার্থক্য ১০ টাকা ৫৫ পয়সা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমানে বাজারে ডলারের ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে। কারণ, ব্যাংকগুলো আমাদের কাছে ডলার বিক্রি করে না। প্রবাসী আয়ে প্রণোদনা দেওয়ার ফলে আগের মতো অনেকে সঙ্গে করে ডলার নিয়ে না এসে ব্যাংকের মাধ্যমে ডলার নিয়ে আসেন। এতে আমাদের ব্যবসা কমে গেছে। তবু যতটা সম্ভব বিদেশফেরতদের কাছ থেকেই আমরা ডলার সংগ্রহ করি। যে দামে ক্রয় করা তার চেয়ে কিছু বেশি দামে বিক্রি করি। ব্যবসায় লাভ ছাড়া চলা যায় না।’
ডলারের দরের ভিন্নতা বিষয়ে হেলাল উদ্দিন সিকদার বলেন, ‘সারা দেশে বৈধ মানি চেঞ্জার ২৫০টি। আর অবৈধ ১ হাজারের বেশি। তারা একেকজন একেক দামে ডলার ক্রয়-বিক্রয় করে। আর দরের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকেরও কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।’
খোলাবাজারে ডলারের খবর নিয়ে জানা গেছে, বাজারে ডলারের তীব্র সংকট রয়েছে। ডলার পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছে। ব্যাংকের তুলনায় খোলাবাজারে দামও বেশি। মানি চেঞ্জার হাউসগুলো চড়া দামে ডলার কেনে। সেখান থেকে ১ বা ২ টাকা লাভে তারা ডলার বিক্রি করে। তবে দাম বাংলাদেশ ব্যাংকের তুলনায় ১০ থেকে ১১ টাকা বেশি।
আলমগীর হোসেন নামে এক বিদেশগামী আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল শনিবার রাজধানীর দিলকুশায় অবস্থিত একটি মানি এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে ১০৫ টাকা দরে ২৫০ ডলার কিনেছেন। এর আগে তিনি ফকিরাপুলের একটি মানি চেঞ্জার থেকে ১০৪ টাকা ৬০ পয়সা দরে ৩০০ ডলার কিনেছেন। কিন্তু ওই মানি চেঞ্জারে পর্যাপ্ত ডলার না থাকায় তিনি চাহিদার সমপরিমাণ ডলার সেখান থেকে কিনতে পারেননি।’
মতিঝিলের জামান মানি এক্সচেঞ্জারের বিক্রয়কর্মী বলেন, ‘শনিবার আমরা ১০৩-১০৪ টাকা পর্যন্ত ডলার বিক্রি করেছি। তবে কেউ কেউ ১০৫ টাকা দরেও ডলার বিক্রি করেছেন।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশে ডলারের যে লেনদেন হয়, তা মোট চাহিদার একেবারে সামান্য। এতে বাজারের ওপর খুব একটা প্রভাব পড়ার কথা নয়। তাদের জন্য দাম বেঁধে দেওয়া থাকে না।
ডলারের দামে লাগা টানা যাচ্ছে না। খোলাবাজারে এর দাম ১০৫ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। দেশে কয়েক মাস ধরে ডলারের বাজারে অস্থিরতা চলছে। সেই অস্থিরতা নিরসনে কাজ করছে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ডলারের খরচ কমানো ও সরবরাহ বাড়াতে মরিয়া তারা। নেওয়া হচ্ছে একের পর এক পদক্ষেপ। তারই অংশ হিসেবে আমদানিতে কড়াকড়ি আরোপ। পাচার ঠেকাতে পণ্য স্ক্যানিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ। শুরু হয়েছে কৃচ্ছ্রসাধন কর্মসূচি। পাশাপাশি বাড়তি ডলার আয় করতে রেমিট্যান্স আহরণে আনা হয়েছে শিথিলতা। বাড়ানো হয়েছে প্রণোদনা। আর বাজারে ডলার বাড়াতে রপ্তানিকারকদের হিসাবে ডলারের জমা রাখার কোটা অর্ধেকে নামিয়ে আনা হয়েছে। কিন্তু এত সবের পরেও ডলারের অস্থিরতা কাটছে না।
এদিকে উন্মুক্ত বাজার চাহিদা পদ্ধতিতে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলো ডলার বিক্রি করছে। রিজার্ভ সংগ্রহ ও আমদানি ব্যয় মেটাতে নিজেরাই মূল্য নির্ধারণ করছে। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকও ডলারের দাম দিন দিন বৃদ্ধি করছে। আর বাড়তি দামে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি চলমানও রেখেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোও বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কেনা দামের চেয়ে বেশি দামে ডলার বিক্রি করছে। আর রপ্তানিকারকেরাও একটু চড়া দামে ব্যাংক ও আমদানিকারকদের কাছে ডলার বিক্রি করছে। তবে ডলারের দাম আকাশচুম্বী হয়ে দাঁড়িয়েছে খোলাবাজারে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি করেছে ৯৪ টাকা ৪৫ পয়সা। আর গতকাল শনিবার খোলাবাজারে ডলার বিক্রি হয়েছে ১০৫ টাকা। এই দুইয়ের বিক্রয় করা দরের পার্থক্য ১০ টাকা ৫৫ পয়সা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মানি চেঞ্জার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন সিকদার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বর্তমানে বাজারে ডলারের ব্যাপক সংকট দেখা দিয়েছে। কারণ, ব্যাংকগুলো আমাদের কাছে ডলার বিক্রি করে না। প্রবাসী আয়ে প্রণোদনা দেওয়ার ফলে আগের মতো অনেকে সঙ্গে করে ডলার নিয়ে না এসে ব্যাংকের মাধ্যমে ডলার নিয়ে আসেন। এতে আমাদের ব্যবসা কমে গেছে। তবু যতটা সম্ভব বিদেশফেরতদের কাছ থেকেই আমরা ডলার সংগ্রহ করি। যে দামে ক্রয় করা তার চেয়ে কিছু বেশি দামে বিক্রি করি। ব্যবসায় লাভ ছাড়া চলা যায় না।’
ডলারের দরের ভিন্নতা বিষয়ে হেলাল উদ্দিন সিকদার বলেন, ‘সারা দেশে বৈধ মানি চেঞ্জার ২৫০টি। আর অবৈধ ১ হাজারের বেশি। তারা একেকজন একেক দামে ডলার ক্রয়-বিক্রয় করে। আর দরের বিষয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকেরও কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।’
খোলাবাজারে ডলারের খবর নিয়ে জানা গেছে, বাজারে ডলারের তীব্র সংকট রয়েছে। ডলার পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছে। ব্যাংকের তুলনায় খোলাবাজারে দামও বেশি। মানি চেঞ্জার হাউসগুলো চড়া দামে ডলার কেনে। সেখান থেকে ১ বা ২ টাকা লাভে তারা ডলার বিক্রি করে। তবে দাম বাংলাদেশ ব্যাংকের তুলনায় ১০ থেকে ১১ টাকা বেশি।
আলমগীর হোসেন নামে এক বিদেশগামী আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল শনিবার রাজধানীর দিলকুশায় অবস্থিত একটি মানি এক্সচেঞ্জ হাউস থেকে ১০৫ টাকা দরে ২৫০ ডলার কিনেছেন। এর আগে তিনি ফকিরাপুলের একটি মানি চেঞ্জার থেকে ১০৪ টাকা ৬০ পয়সা দরে ৩০০ ডলার কিনেছেন। কিন্তু ওই মানি চেঞ্জারে পর্যাপ্ত ডলার না থাকায় তিনি চাহিদার সমপরিমাণ ডলার সেখান থেকে কিনতে পারেননি।’
মতিঝিলের জামান মানি এক্সচেঞ্জারের বিক্রয়কর্মী বলেন, ‘শনিবার আমরা ১০৩-১০৪ টাকা পর্যন্ত ডলার বিক্রি করেছি। তবে কেউ কেউ ১০৫ টাকা দরেও ডলার বিক্রি করেছেন।’
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, দেশে ডলারের যে লেনদেন হয়, তা মোট চাহিদার একেবারে সামান্য। এতে বাজারের ওপর খুব একটা প্রভাব পড়ার কথা নয়। তাদের জন্য দাম বেঁধে দেওয়া থাকে না।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৫ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪