Ajker Patrika

নিত্যপণ্যের বাজার চড়া কিনতে হিমশিম ক্রেতা

নাটোর প্রতিনিধি
আপডেট : ১২ মার্চ ২০২২, ১১: ৫৩
নিত্যপণ্যের বাজার চড়া  কিনতে হিমশিম ক্রেতা

নাটোরে বেড়েই চলেছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম। বাজার নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালতের কয়েকটি অভিযান ছাড়া প্রশাসনের দৃশ্যমান কোনো তৎপরতা নেই। এতে নিত্যপণ্যের খুচরা ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা ইচ্ছামাফিক দাম বাড়াচ্ছেন। অপরদিকে, টিসিবির পণ্যের তুলনায় ভোক্তাসংখ্যা কয়েক গুণ বেশি হওয়ায় সরকারের এই কর্মসূচির সুফল পাচ্ছে না দরিদ্র মানুষেরা।

নাটোর শহরের প্রধান তিনটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার নীচাবাজার, মাদ্রাসা মোড় কাঁচাবাজার ও স্টেশন কাঁচাবাজার ঘুরে শাকসবজির দামে তারতম্য লক্ষ করা গেছে। গতকাল শুক্রবার বাজারে ক্রেতার সংখ্যা বেশি থাকায় দাম বাড়িয়েছেন বিক্রেতারা এমন দাবি ভোক্তাদের। অপরদিকে বাজারে চাহিদার তুলনায় পণ্যের সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় দাম না বাড়ার দাবি বিক্রেতাদের।

গ্রীষ্মের শুরুর সবজি হিসেবে নাটোরের বাজারে এসেছে পটোল। তবে সরবরাহ কম থাকায় দাম বেশ চড়া। প্রতি কেজি পটোলের দাম বাজারভেদে ৯০ থেকে ১১০ টাকা। ৬০ থেকে ৭৫ টাকায় বরবটি, ঢ্যাঁড়স ও করলা বিক্রি হচ্ছে। পাশাপাশি অন্যান্য সবজিও প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আলু ২০, বেগুন ৪০, কাঁচা মরিচ ৮০, টমেটো ৩০, ডাঁটা ২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। সবজির এ চড়া দামের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে পেঁয়াজ। সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৬২ টাকায়। ফুলকপি ৫০ থেকে ৬০ টাকা, শিমের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৬০ টাকা, মুলা ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকায়।

সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে মাছের দাম। বাজারে দেশি মাছের আকাল চলছে। সরবরাহ বেড়েছে চাষের মাছ। তবে দাম বাড়তি। আকারভেদে প্রতি কেজি রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ৩০০ টাকা। এক সপ্তাহ আগেও রুই মাছের দাম ছিল কেজি প্রতি ২০০ থেকে ২৫০ টাকা। একই দামে বিক্রি হচ্ছে কাতল মাছ। তেলাপিয়া ও পাঙাশ মাছ কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৭০ টাকায়। এক কেজি ওজনের ইলিশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায়।

আগের সপ্তাহের দরেই বাজারে ব্রয়লারের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭০ টাকায়। সোনালি মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৯০ থেকে ৩২০ টাকা। গরুর মাংস গত সপ্তাহের মতো ৬৫০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে সরকারনির্ধারিত মূল্যে শুরু হয়েছে সয়াবিন তেল বিক্রি। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন ১৪৩ টাকা ও বোতলজাত সয়াবিন ১৬৮ টাকায় বিক্রি শুরু হয়েছে। সয়াবিন তেল যাতে মজুত ও অতিরিক্ত মূল্যে কেউ বিক্রি করতে না পারে, সে জন্য ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন।

শহরের নীচাবাজার কাঁচাবাজারে আসা গৃহিণী আমেনা বেগম বলেন, বাজারে সব পণ্যেরই দাম বাড়তির দিকে। আয় না বাড়ায় প্রয়োজনীয় পণ্য কেনা যায় না। প্রতি সপ্তাহেই মাছের দাম বাড়ছে, অথচ বাজারে মাছ পর্যাপ্ত রয়েছে।

রফিকুল ইসলাম নামের এক ক্রেতা বলেন, জীবনযাপনের সঙ্গে জড়িত প্রতিটি জিনিসের ব্যয় বেড়ে গেছে। বাজারে যে পরিমাণ পণ্য কিনতে আসা হয়, অতিরিক্ত দামের কারণে সে পরিমাণ পণ্য নিয়ে ঘরে ফেরা যায় না।

মাদ্রাসা মোড় কাঁচাবাজারের ব্যবসায়ী জিয়াউল ইসলাম বলেন, আলু, বেগুন, টমেটোর দাম স্বাভাবিক রয়েছে। তবে নতুন সবজিগুলোর দাম একটু বাড়তি। বাজারে নতুন আসায় অনেকে বেশ আগ্রহ নিয়ে নতুন সবজি কিনছেন। সরবরাহ বাড়লে দাম কমে যাবে।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ী হাসিবুর রহমান বলেন, এখন বাজারে দেশি মুড়িকাটা পেঁয়াজ। অল্প কয়েক দিনের মধ্যেই বাজারে হালি পেঁয়াজ চলে আসবে। তখন দাম আরও কমবে।

জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, বাজারে নিত্যপণ্যের চাহিদা ও জোগানের নিরিখে যাতে পণ্যদ্রব্যের দাম না বাড়ে, সে জন্য বিভিন্ন অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। পাশাপাশি আসন্ন রমজান সামনে রেখে কোনো অসাধু ব্যবসায়ী যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য মজুত করে কৃত্রিম সংকট না তৈরি করতে পারে, সে জন্য নজরদারি করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তামিম কি তাহলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সভাপতি হবেন

রাজনৈতিক দলের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগ, হেফাজতে সেনা কর্মকর্তা

পিআর পদ্ধতিতেই হবে ১০০ আসনের উচ্চকক্ষ, ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত

নারীর ‘বগলের গন্ধ’ পুরুষের মানসিক চাপ কমায়, তবে কি মানুষেরও আছে ফেরোমোন!

বাংলাদেশি পণ্যে ভারতের চেয়ে কম শুল্কের ইঙ্গিত দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত