খান রফিক, বরিশাল
টানা তিন দিনের ছুটিতে ঈদের কেনাকাটা সেরে ফেলছেন বরিশালের মানুষ। যে কারণে পয়লা বৈশাখ থেকে নগরের ঈদবাজার জমজমাট হয়ে উঠেছে। তীব্র গরম উপেক্ষা করে গতকাল শুক্রবারও ক্রেতার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। অবশ্য করোনার সংকট কাটিয়ে না ওঠা অনেক পরিবার বাজারে গিয়ে বাজেটের সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে। কেননা নানা প্রলোভনে পোশাকের দাম উঠছে আকাশচুম্বী। টানা দুই বছর পর ব্যবসায়ীরা এবার লাভের মুখ দেখার আশায় থাকলেও পণ্যের মান ও গলাকাটা দাম নিয়ে হতাশ ক্রেতারা।
ঈদ মৌসুম ধরতে নগরের গীর্জা মহল্লায় জমকালো ডেকরেশনে গড়ে ওঠা নতুন পোশাকের দোকান একটি দোকানে শুক্রবার জুমার নামাজের পরপরই দেখা গেল এক আশ্চর্য চিত্র। এক বিক্রয়কর্মী পাঞ্জাবি কিনতে আসা এক ব্যক্তিকে ধমকাচ্ছেন। অনেকটা অপদস্থ হয়ে ওই ব্যক্তি তড়িঘড়ি করে বের হয়ে যান। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ওই ক্রেতা কয়েকটি পাঞ্জাবি দেখে না কেনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন বিক্রেতা। বরিশাল নগরের ঈদবাজারে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা এখন অহরহ।
ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নগরের গীর্জা মহল্লা ও চকবাজারের অধিকাংশ দোকানে ঈদকে কেন্দ্র করে বেচাকেনার নামে গলা কাটছে ব্যবসায়ীরা। দামের সঙ্গে মানের মিল নেই। চকবাজারের পোশাকের জোনাকি মার্কেটে থ্রি-পিস কিনতে আসা মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সাথী আক্তার জানান, এবারের অধিকাংশ কালেকশনই পুরোনো। যে থ্রি-পিস ৩ হাজার টাকা হাঁকানো হয়েছে, তা ঢাকা থেকে তিনি কিনে এনেছেন ১ হাজার ৮০০ টাকায়। সদর রোডের অভিজাত পোশাকের দোকান দাম নিয়ে আরও অসন্তোষ ক্রেতাদের। সংগ্রহও পুরোনো বলে দাবি করেন অনেকে।
যদিও কিছু দোকানে ক্রেতাদের ভিড় যেমন বেশি তেমনি দামটাও সাশ্রয়ী—এমন মন্তব্য কেনাকাটা করতে আসা স্কুলশিক্ষিকা সাদিয়া আফরিনের। তবে তাঁর দাবি বিগত বছরগুলোতে জেলা প্রশাসন যেভাবে ঈদবাজারে অভিযান চালাত, এ বছর সেটা জোরালো না।
এদিকে চকবাজারের একাধিক দোকানে ভুয়া নাম দিয়ে বিক্রি করছে ‘কাঁচা বাদাম’ নামে এক ধরনের পোশাক। প্রলোভন দেখিয়ে এসব পোশাক বিক্রি হচ্ছে উঠতি তরুণ-তরুণীদের কাছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, পোশাকে এই নাম বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের পণ্য আছে কি না জানা নেই।
এখানকার বিভিন্ন দোকান ঘুরেও একই ধরনের মন্তব্য পাওয়া গেছে ক্রেতাদের কাছ থেকে। তাঁদের দাবি ছুটির দিনে ভিড় বাড়ার সুযোগে দাম হাঁকানো হচ্ছে বেশি।
অবশ্য বিক্রেতারা ন্যায্য দাম রাখার দাবিই করছেন। বাজার রোডের রামকৃষ্ণ বস্ত্রালয়ের বিক্রেতা হৃদয় খান বলেন, তাঁরা ক্রেতাদের সামর্থ্য বিবেচনা করে বিক্রি করছেন।
কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) বরিশাল জেলার সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ দত্ত বলেন, সরকার চেষ্টা করলেও ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফা আদায়ের প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। উৎসব এলে বাড়তি দামে ক্রেতাকে ঠকানো রোধ করা দরকার। বিক্রেতা নাজেহাল করলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করতে পারেন।
টানা তিন দিনের ছুটিতে ঈদের কেনাকাটা সেরে ফেলছেন বরিশালের মানুষ। যে কারণে পয়লা বৈশাখ থেকে নগরের ঈদবাজার জমজমাট হয়ে উঠেছে। তীব্র গরম উপেক্ষা করে গতকাল শুক্রবারও ক্রেতার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। অবশ্য করোনার সংকট কাটিয়ে না ওঠা অনেক পরিবার বাজারে গিয়ে বাজেটের সঙ্গে তাল মেলাতে হিমশিম খাচ্ছে। কেননা নানা প্রলোভনে পোশাকের দাম উঠছে আকাশচুম্বী। টানা দুই বছর পর ব্যবসায়ীরা এবার লাভের মুখ দেখার আশায় থাকলেও পণ্যের মান ও গলাকাটা দাম নিয়ে হতাশ ক্রেতারা।
ঈদ মৌসুম ধরতে নগরের গীর্জা মহল্লায় জমকালো ডেকরেশনে গড়ে ওঠা নতুন পোশাকের দোকান একটি দোকানে শুক্রবার জুমার নামাজের পরপরই দেখা গেল এক আশ্চর্য চিত্র। এক বিক্রয়কর্মী পাঞ্জাবি কিনতে আসা এক ব্যক্তিকে ধমকাচ্ছেন। অনেকটা অপদস্থ হয়ে ওই ব্যক্তি তড়িঘড়ি করে বের হয়ে যান। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, ওই ক্রেতা কয়েকটি পাঞ্জাবি দেখে না কেনায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন বিক্রেতা। বরিশাল নগরের ঈদবাজারে এমন অপ্রীতিকর ঘটনা এখন অহরহ।
ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নগরের গীর্জা মহল্লা ও চকবাজারের অধিকাংশ দোকানে ঈদকে কেন্দ্র করে বেচাকেনার নামে গলা কাটছে ব্যবসায়ীরা। দামের সঙ্গে মানের মিল নেই। চকবাজারের পোশাকের জোনাকি মার্কেটে থ্রি-পিস কিনতে আসা মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী সাথী আক্তার জানান, এবারের অধিকাংশ কালেকশনই পুরোনো। যে থ্রি-পিস ৩ হাজার টাকা হাঁকানো হয়েছে, তা ঢাকা থেকে তিনি কিনে এনেছেন ১ হাজার ৮০০ টাকায়। সদর রোডের অভিজাত পোশাকের দোকান দাম নিয়ে আরও অসন্তোষ ক্রেতাদের। সংগ্রহও পুরোনো বলে দাবি করেন অনেকে।
যদিও কিছু দোকানে ক্রেতাদের ভিড় যেমন বেশি তেমনি দামটাও সাশ্রয়ী—এমন মন্তব্য কেনাকাটা করতে আসা স্কুলশিক্ষিকা সাদিয়া আফরিনের। তবে তাঁর দাবি বিগত বছরগুলোতে জেলা প্রশাসন যেভাবে ঈদবাজারে অভিযান চালাত, এ বছর সেটা জোরালো না।
এদিকে চকবাজারের একাধিক দোকানে ভুয়া নাম দিয়ে বিক্রি করছে ‘কাঁচা বাদাম’ নামে এক ধরনের পোশাক। প্রলোভন দেখিয়ে এসব পোশাক বিক্রি হচ্ছে উঠতি তরুণ-তরুণীদের কাছে। বিক্রেতারা জানিয়েছেন, পোশাকে এই নাম বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। এ ধরনের পণ্য আছে কি না জানা নেই।
এখানকার বিভিন্ন দোকান ঘুরেও একই ধরনের মন্তব্য পাওয়া গেছে ক্রেতাদের কাছ থেকে। তাঁদের দাবি ছুটির দিনে ভিড় বাড়ার সুযোগে দাম হাঁকানো হচ্ছে বেশি।
অবশ্য বিক্রেতারা ন্যায্য দাম রাখার দাবিই করছেন। বাজার রোডের রামকৃষ্ণ বস্ত্রালয়ের বিক্রেতা হৃদয় খান বলেন, তাঁরা ক্রেতাদের সামর্থ্য বিবেচনা করে বিক্রি করছেন।
কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) বরিশাল জেলার সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ দত্ত বলেন, সরকার চেষ্টা করলেও ব্যবসায়ীদের অধিক মুনাফা আদায়ের প্রবণতা নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। উৎসব এলে বাড়তি দামে ক্রেতাকে ঠকানো রোধ করা দরকার। বিক্রেতা নাজেহাল করলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে অভিযোগ করতে পারেন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪