মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
কর্মব্যস্ত জীবনের অবসাদ দূর করতে বরাবরই পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে থাকে পাহাড়-সমুদ্রের কক্সবাজার। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। টানা তিন দিনের ছুটিতে অবকাশ যাপনে ছুটে এসেছেন লাখো পর্যটক। কোথাও ঠাঁই নেই। সৈকতের লোনাজলে মন মজেছে নানা বয়সী পর্যটকের।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ এবং কয়েকটি নেতিবাচক ঘটনায় ছেদ পড়েছিল দেশের প্রধান এই পর্যটনকেন্দ্রে। এসব ঘটনায় ভরা মৌসুমেও পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছিল। এরপর পর্যটনশিল্পের সংশ্লিষ্টরা নড়েচড়ে বসেন।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এ মাসের শুরু থেকেই ভালো পর্যটক সমাগম ঘটেছে। ইতিমধ্যে পর্যটকদের সেবা, থাকা-খাওয়া, নিরাপত্তাসহ নানা বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পর্যটক সমাগম বাড়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যেও চাঙাভাব দেখা দিয়েছে।
গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের কিছুটা নিরিবিলি পরিবেশে দাঁড়িয়ে আছেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আশফাক আহমেদ। পাশে তাঁর স্ত্রী হোসনে আরা নাতিদের ছবি তুলতে ব্যস্ত। তাঁরা ঢাকার বাড্ডা থেকে এসেছেন সপরিবার। নাতি-নাতনিদের সঙ্গে তাঁরা সৈকতে ঘুরতে বেরিয়েছেন বলে জানান আশফাক আহমেদ।
আশফাক আহমেদ জানান, তাঁরা পরিবারসহ ১২ জন এসেছেন। শহরের বদ্ধ পরিবেশ থেকে নাতি-নাতনিরা সৈকতে এসে বেশ আনন্দ উপভোগ করছে। তাদের আনন্দ দেখে নিজেদেরও আনন্দ লাগছে। তাঁদের মতো নানা বয়সের পর্যটক সমুদ্রসৈকতে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে। কেউ লোনাজলে গা ভেজাচ্ছে, কেউ ঘোড়া, কেউ বিচ বাইক বা ওয়াটারবাইক নিয়ে সৈকত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এসব দৃশ্য স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখতে মোবাইল ও ক্যামেরা নিয়ে ছবি তুলছেন প্রিয়জন ও ফটোগ্রাফাররা।
সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টের তিন কিলোমিটার সৈকতে কোথাও তিল পরিমাণ ঠাঁই নেই। ভরপুর পর্যটকে। সৈকতের বালিয়াড়ি ও আশপাশের শামুক-ঝিনুক, শুঁটকির দোকানেও পর্যটকদের জটলা দেখা যায়।
বেলা ১১টার দিকে কলাতলী মোড়ে দেখা যায়, মেরিন ড্রাইভ ধরে পর্যটকেরা খোলা জিপ, অটোরিকশা, টমটমে করে হিমছড়ি, ইনানী, পাতুয়ারটেক ও টেকনাফের দিকে ছুটছেন। এ ছাড়া সেন্ট মার্টিন, শৈলদ্বীপ মহেশখালী, চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, নিভৃতে নিসর্গে, রামু বৌদ্ধবিহারসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে।
হোটেল ও গেস্টহাউস মালিকেরা জানান, গত বিজয় দিবসের তিন দিনের ছুটিতে কক্সবাজারে প্রায় চার লাখ পর্যটক এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে বেশ কিছুদিন পর্যটক-ভাটা পড়েছিল। গত পয়লা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের ছুটির দিন থেকে ধীরে ধীরে পর্যটক বাড়তে থাকে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে জানান, এবারের তিন দিনের ছুটিতে দুই লাখের বেশি পর্যটক এসেছেন। এ ছাড়া এক-তৃতীয়াংশ পর্যটক রাত যাপন করেন না, তাঁরা সকালে এসে রাতে কক্সবাজার ছেড়ে চলে যান।
সাগরপাড়ের অভিজাত হোটেল কক্স টু ডের ব্যবস্থাপক (রিজার্ভেশন) লোকমান চৌধুরী অপু জানান, তাঁদের ২৭০টি কক্ষের সব কটিই ভাড়া হয়েছে। এ মাসে আশানুরূপ পর্যটক এসেছেন।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস, কটেজ ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার আজকের পত্রিকা জানান, কক্সবাজার শহরের সাড়ে ৪০০ হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউসের ৯৫ ভাগ কক্ষ ভাড়া হয়েছে। সাম্প্রতিক কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনায় পর্যটনশিল্পে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল, তা কেটে যাচ্ছে। পর্যটকদের সব ধরনের সেবায় সার্বক্ষণিক তদারক করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তিন দিনের ছুটিতে পর্যটকের বাড়তি চাপ সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সব স্পটে পর্যটকদের সেবা ও নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ সজাগ রয়েছে।
কর্মব্যস্ত জীবনের অবসাদ দূর করতে বরাবরই পর্যটকদের পছন্দের শীর্ষে থাকে পাহাড়-সমুদ্রের কক্সবাজার। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। টানা তিন দিনের ছুটিতে অবকাশ যাপনে ছুটে এসেছেন লাখো পর্যটক। কোথাও ঠাঁই নেই। সৈকতের লোনাজলে মন মজেছে নানা বয়সী পর্যটকের।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধ এবং কয়েকটি নেতিবাচক ঘটনায় ছেদ পড়েছিল দেশের প্রধান এই পর্যটনকেন্দ্রে। এসব ঘটনায় ভরা মৌসুমেও পর্যটকশূন্য হয়ে পড়েছিল। এরপর পর্যটনশিল্পের সংশ্লিষ্টরা নড়েচড়ে বসেন।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এ মাসের শুরু থেকেই ভালো পর্যটক সমাগম ঘটেছে। ইতিমধ্যে পর্যটকদের সেবা, থাকা-খাওয়া, নিরাপত্তাসহ নানা বিষয়ে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পর্যটক সমাগম বাড়ায় ব্যবসা-বাণিজ্যেও চাঙাভাব দেখা দিয়েছে।
গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টের কিছুটা নিরিবিলি পরিবেশে দাঁড়িয়ে আছেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা আশফাক আহমেদ। পাশে তাঁর স্ত্রী হোসনে আরা নাতিদের ছবি তুলতে ব্যস্ত। তাঁরা ঢাকার বাড্ডা থেকে এসেছেন সপরিবার। নাতি-নাতনিদের সঙ্গে তাঁরা সৈকতে ঘুরতে বেরিয়েছেন বলে জানান আশফাক আহমেদ।
আশফাক আহমেদ জানান, তাঁরা পরিবারসহ ১২ জন এসেছেন। শহরের বদ্ধ পরিবেশ থেকে নাতি-নাতনিরা সৈকতে এসে বেশ আনন্দ উপভোগ করছে। তাদের আনন্দ দেখে নিজেদেরও আনন্দ লাগছে। তাঁদের মতো নানা বয়সের পর্যটক সমুদ্রসৈকতে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে উঠেছে। কেউ লোনাজলে গা ভেজাচ্ছে, কেউ ঘোড়া, কেউ বিচ বাইক বা ওয়াটারবাইক নিয়ে সৈকত দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। এসব দৃশ্য স্মৃতি হিসেবে ধরে রাখতে মোবাইল ও ক্যামেরা নিয়ে ছবি তুলছেন প্রিয়জন ও ফটোগ্রাফাররা।
সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টের তিন কিলোমিটার সৈকতে কোথাও তিল পরিমাণ ঠাঁই নেই। ভরপুর পর্যটকে। সৈকতের বালিয়াড়ি ও আশপাশের শামুক-ঝিনুক, শুঁটকির দোকানেও পর্যটকদের জটলা দেখা যায়।
বেলা ১১টার দিকে কলাতলী মোড়ে দেখা যায়, মেরিন ড্রাইভ ধরে পর্যটকেরা খোলা জিপ, অটোরিকশা, টমটমে করে হিমছড়ি, ইনানী, পাতুয়ারটেক ও টেকনাফের দিকে ছুটছেন। এ ছাড়া সেন্ট মার্টিন, শৈলদ্বীপ মহেশখালী, চকরিয়ার ডুলাহাজারা বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক, নিভৃতে নিসর্গে, রামু বৌদ্ধবিহারসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে পর্যটকদের ভিড় বেড়েছে।
হোটেল ও গেস্টহাউস মালিকেরা জানান, গত বিজয় দিবসের তিন দিনের ছুটিতে কক্সবাজারে প্রায় চার লাখ পর্যটক এসেছিলেন। তাঁদের মধ্যে বেশ কিছুদিন পর্যটক-ভাটা পড়েছিল। গত পয়লা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের ছুটির দিন থেকে ধীরে ধীরে পর্যটক বাড়তে থাকে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ আজকের পত্রিকাকে জানান, এবারের তিন দিনের ছুটিতে দুই লাখের বেশি পর্যটক এসেছেন। এ ছাড়া এক-তৃতীয়াংশ পর্যটক রাত যাপন করেন না, তাঁরা সকালে এসে রাতে কক্সবাজার ছেড়ে চলে যান।
সাগরপাড়ের অভিজাত হোটেল কক্স টু ডের ব্যবস্থাপক (রিজার্ভেশন) লোকমান চৌধুরী অপু জানান, তাঁদের ২৭০টি কক্ষের সব কটিই ভাড়া হয়েছে। এ মাসে আশানুরূপ পর্যটক এসেছেন।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল গেস্টহাউস, কটেজ ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার আজকের পত্রিকা জানান, কক্সবাজার শহরের সাড়ে ৪০০ হোটেল-মোটেল ও গেস্টহাউসের ৯৫ ভাগ কক্ষ ভাড়া হয়েছে। সাম্প্রতিক কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনায় পর্যটনশিল্পে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল, তা কেটে যাচ্ছে। পর্যটকদের সব ধরনের সেবায় সার্বক্ষণিক তদারক করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
পর্যটকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘তিন দিনের ছুটিতে পর্যটকের বাড়তি চাপ সামাল দিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। সব স্পটে পর্যটকদের সেবা ও নিরাপত্তায় ট্যুরিস্ট পুলিশ সজাগ রয়েছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
১১ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪