সম্পাদকীয়
সম্পর্কের চেয়ে টাকা অনেক দামি হয়ে উঠছে জীবনে। টাকার সামনে পরিবারও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না। স্বয়ং বাবার সঙ্গে ভাঁওতাবাজি করার জন্য বাজি রাখা হচ্ছে নিজ সন্তানকে, অর্থাৎ বাবার নাতিকে!
কামরুজ্জামানের ছবি উঠেছে আজকের পত্রিকায়। দুজন পুলিশ সদস্যের মাঝখানে হাতকড়া পরা অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। শ্রীপুর উপজেলার মাওনা গ্রামে প্রাইভেট কার চালাতেন। তাঁর প্রবাসী বাবা ছুটিতে এসেছেন দেশে। বাবার অনেক টাকা আছে, তাই সে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফন্দি আঁটেন ছেলে। কামরুজ্জামান তাঁর নিজের শিশুসন্তানকে অপহরণের নাটক সাজান। এবং অপহৃত ছেলের দাদার কাছে অন্য আরেকজনের মাধ্যমে মুক্তিপণ দাবি করান। একসময় বোঝা যায় স্বয়ং শিশুটির পিতা অপহরণ নাটক সাজিয়েছেন এবং তা করেছেন অপহৃত শিশুটির দাদার কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করার জন্য।
নাটকটি শেষ হয়েছে কামরুজ্জামান ও তাঁর সহযোগীকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে। কিন্তু কামরুজ্জামান ধরা পড়ায় কি কোনো ইতিবাচক সত্যের মুখোমুখি হলাম আমরা, নাকি আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কগুলো যে পচে যাচ্ছে, তার ইঙ্গিত পেলাম?
পরে পুলিশ তদন্ত করে কামরুজ্জামান সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য বের করে আনতে পেরেছে। এর আগেও অনেক অপহরণ আর ছিনতাইয়ের সঙ্গে তাঁর সংযোগের খবর পাওয়া গেছে। শিশু নির্যাতন দমন আইনেও তাঁর নামে মামলা আছে। সুতরাং নিজের সাত বছর বয়সী সন্তানকে নিয়ে অপহরণ
নাটক সাজাতে কিছুমাত্র বেগ পেতে হয়নি তাঁকে।
কামরুজ্জামানের ছেলেকে নিয়ে কথা বলব। এই ছবি যদি কামরুজ্জামানের সন্তানের চোখে পড়ে, তাহলে তার মনেও প্রশ্ন আসবে, কেন তার বাবার হাতে হাতকড়া? যখন সে জানতে পারবে, দাদার কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করার জন্য বাবা তাকে অপহরণ করেছিল, তখন জগৎ, জীবন, পরিবার ইত্যাদির কি কোনো মূল্য থাকবে তার কাছে? জীবন থেকে কি স্বাভাবিক মূল্যবোধগুলো এভাবেই হারিয়ে যাচ্ছে? ছোট ছোট পদস্খলন যখন বড় পদস্খলনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তখন আর তা রোধ করা যায় না। কামরুজ্জামান সেই বড় পদস্খলন ঘটিয়ে দেওয়া মানুষ।
ঘটনা তো শুধু কামরুজ্জামানে সীমাবদ্ধ নয়। বোঝাই যাচ্ছে, সামাজিক বন্ধনগুলো শিথিল হয়ে পড়ছে। লোভ মানুষকে অস্বাভাবিক জীবনযাপনের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। পদস্খলনের জন্য সম্ভবত সামাজিকভাবে লজ্জা দেওয়া হয় না এখন আর। খোলা চোখেই দেখা যায়, দুর্নীতিবাজেরা শাস্তি এড়িয়ে যেতে পারছে, সমাজে শিক্ষকসহ যাঁদের সম্মান ছিল, তাঁদের সম্মানহানি হচ্ছে। টাকাপয়সার রাজত্ব কায়েম হচ্ছে। এ রকম অবস্থায় ভালো-মন্দের ব্যবধান ঘুচে যায়। আর তখন এ রকম কামরুজ্জামানদের জন্ম হতে থাকে।
সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করতে না পারলে এই সংকট কাটিয়ে ওঠা যাবে না। বরং বারবার কামরুজ্জামানের সাত বছর বয়সী সন্তানের কথা মনে করে বিবর্ণ হতে থাকব আমরা। এবং এই ছেলের ট্রমা আরও অনেক ছেলে বা মেয়ের মধ্যে ছড়িয়ে যাবে কি না, সে আশঙ্কায় সময় কাটাতে বাধ্য হব।
সম্পর্কের চেয়ে টাকা অনেক দামি হয়ে উঠছে জীবনে। টাকার সামনে পরিবারও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না। স্বয়ং বাবার সঙ্গে ভাঁওতাবাজি করার জন্য বাজি রাখা হচ্ছে নিজ সন্তানকে, অর্থাৎ বাবার নাতিকে!
কামরুজ্জামানের ছবি উঠেছে আজকের পত্রিকায়। দুজন পুলিশ সদস্যের মাঝখানে হাতকড়া পরা অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছেন তিনি। শ্রীপুর উপজেলার মাওনা গ্রামে প্রাইভেট কার চালাতেন। তাঁর প্রবাসী বাবা ছুটিতে এসেছেন দেশে। বাবার অনেক টাকা আছে, তাই সে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ফন্দি আঁটেন ছেলে। কামরুজ্জামান তাঁর নিজের শিশুসন্তানকে অপহরণের নাটক সাজান। এবং অপহৃত ছেলের দাদার কাছে অন্য আরেকজনের মাধ্যমে মুক্তিপণ দাবি করান। একসময় বোঝা যায় স্বয়ং শিশুটির পিতা অপহরণ নাটক সাজিয়েছেন এবং তা করেছেন অপহৃত শিশুটির দাদার কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করার জন্য।
নাটকটি শেষ হয়েছে কামরুজ্জামান ও তাঁর সহযোগীকে গ্রেপ্তারের মাধ্যমে। কিন্তু কামরুজ্জামান ধরা পড়ায় কি কোনো ইতিবাচক সত্যের মুখোমুখি হলাম আমরা, নাকি আমাদের পারস্পরিক সম্পর্কগুলো যে পচে যাচ্ছে, তার ইঙ্গিত পেলাম?
পরে পুলিশ তদন্ত করে কামরুজ্জামান সম্পর্কে আরও কিছু তথ্য বের করে আনতে পেরেছে। এর আগেও অনেক অপহরণ আর ছিনতাইয়ের সঙ্গে তাঁর সংযোগের খবর পাওয়া গেছে। শিশু নির্যাতন দমন আইনেও তাঁর নামে মামলা আছে। সুতরাং নিজের সাত বছর বয়সী সন্তানকে নিয়ে অপহরণ
নাটক সাজাতে কিছুমাত্র বেগ পেতে হয়নি তাঁকে।
কামরুজ্জামানের ছেলেকে নিয়ে কথা বলব। এই ছবি যদি কামরুজ্জামানের সন্তানের চোখে পড়ে, তাহলে তার মনেও প্রশ্ন আসবে, কেন তার বাবার হাতে হাতকড়া? যখন সে জানতে পারবে, দাদার কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করার জন্য বাবা তাকে অপহরণ করেছিল, তখন জগৎ, জীবন, পরিবার ইত্যাদির কি কোনো মূল্য থাকবে তার কাছে? জীবন থেকে কি স্বাভাবিক মূল্যবোধগুলো এভাবেই হারিয়ে যাচ্ছে? ছোট ছোট পদস্খলন যখন বড় পদস্খলনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, তখন আর তা রোধ করা যায় না। কামরুজ্জামান সেই বড় পদস্খলন ঘটিয়ে দেওয়া মানুষ।
ঘটনা তো শুধু কামরুজ্জামানে সীমাবদ্ধ নয়। বোঝাই যাচ্ছে, সামাজিক বন্ধনগুলো শিথিল হয়ে পড়ছে। লোভ মানুষকে অস্বাভাবিক জীবনযাপনের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। পদস্খলনের জন্য সম্ভবত সামাজিকভাবে লজ্জা দেওয়া হয় না এখন আর। খোলা চোখেই দেখা যায়, দুর্নীতিবাজেরা শাস্তি এড়িয়ে যেতে পারছে, সমাজে শিক্ষকসহ যাঁদের সম্মান ছিল, তাঁদের সম্মানহানি হচ্ছে। টাকাপয়সার রাজত্ব কায়েম হচ্ছে। এ রকম অবস্থায় ভালো-মন্দের ব্যবধান ঘুচে যায়। আর তখন এ রকম কামরুজ্জামানদের জন্ম হতে থাকে।
সামাজিক বন্ধন দৃঢ় করতে না পারলে এই সংকট কাটিয়ে ওঠা যাবে না। বরং বারবার কামরুজ্জামানের সাত বছর বয়সী সন্তানের কথা মনে করে বিবর্ণ হতে থাকব আমরা। এবং এই ছেলের ট্রমা আরও অনেক ছেলে বা মেয়ের মধ্যে ছড়িয়ে যাবে কি না, সে আশঙ্কায় সময় কাটাতে বাধ্য হব।
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫