আবুল আহসান টিটু, ফকিরহাট (বাগেরহাট)
দেশের প্রথম উপজেলা হিসেবে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় শতভাগ মানুষকে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এই উপজেলায় ১২ বছর ও তার বেশি বয়সী সব মানুষই করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।
২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রথম ডোজ টিকায় দেশের মধ্যে প্রথম উপজেলা হিসেবে ফকিরহাটের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। স্বাস্থ্য বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব লোকমান হোসেন এ ঘোষণা দিয়েছিলেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় দেশজুড়ে করোনার টিকাদান। ধাপে ধাপে কমানো হয় করোনার টিকা নেওয়ার বয়সসীমা। সর্বশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে বয়সসীমা আরও কমিয়ে ১২ বছর করা হয়। সেই হিসেবে ফকিরহাটে ১২ বছর বা তার বেশি বয়সী সবাই টিকার আওতায় চলে এসেছে।
গত সোমবার বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ জানান, জেলায় করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের শতকরা হার ৭০ দশমিক ৭৪ ভাগ। সারা বাংলাদেশের চিত্রও মোটামুটি এর আশপাশে। সেখানে ফকিরহাট উপজেলা শতভাগ টিকা প্রদানের গৌরব অর্জন করেছে। উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ সমন্বিত প্রচেষ্টায় ফকিরহাটে ধারাবাহিকভাবে শতভাগ দ্বিতীয় ডোজ টিকাদানের মাইলফলক অর্জন করেছে।
ইপিআই ম্যানেজমেন্ট ও মাইক্রো প্লানিং রিপোর্ট ২০২২-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী ফকিরহাটের মোট জনসংখ্যা ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৯১ জন। ফকিরহাটে বসবাসকারী ১২ বছরের ঊর্ধ্বে টিকার নিবন্ধনযোগ্য জনসংখ্যা প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার ১৬৫ জন। এর মধ্যে ব্যবসা ও চাকরির সুবাদে উপজেলার প্রায় দেড় হাজার মানুষ এলাকার বাইরে বসবাস করেন। ফলে টিকাযোগ্য জনসংখ্যা থাকে ১ লাখ ২২ হাজার ৬৪১ জন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা প্রযুক্তিবিদ মো. কামাল হোসেন বলেন, ফকিরহাটে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, সিনোফার্মা ও জনসনের টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৬১ হাজার ৩৪৪ জন পুরুষ ও ৬১ হাজার ২০২ জন নারী দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন।
এ ছাড়া ৯৫ জন মানুষ জনসনের কম্বাইন্ড (এক টিকায় দুই ডোজ) ডোজ নিয়েছেন। উপজেলায় মোট টিকা গ্রহণ নিয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৬৪১ জন। ফলে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ায় শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শাহ মুহাম্মদ মহিবুল্লাহ বলেন, জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় স্বাস্থ্য বিভাগ সীমিত জনবল নিয়েও উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ২৫২টি স্থায়ী ও অস্থায়ী ক্যাম্পে টিকা দেওয়া হয়। বেদেপল্লি, ফলতিতা মৎস্য শ্রমিক পল্লিসহ বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর কাছেও তাঁরা টিকা পৌঁছে দিয়েছেন। বাইরে বসবাসকারী বা কোনো ভাসমান জনগোষ্ঠী ফকিরহাটে আসলে তাঁদেরও টিকার আওতায় আনা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী টিকা কর্মসূচি জোরদার করার চেষ্টা করা হয়েছিল। সবার সহযোগিতায় এটা সম্ভব হয়েছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন দাশ বলেন, টিকা নেওয়ার জন্য উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং, পোস্টার ও বিভিন্ন সভায় জনগণকে সম্মিলিতভাবে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
সরকারি সেবা, ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা বিতরণের ক্ষেত্রে টিকার আওতায় আসা বাধ্যতামূলক করেছেন। টিকার নিবন্ধন যাতে মানুষ বিনা মূল্যে ও বিনা ভোগান্তিতে করতে পারে, সে ব্যবস্থাও করেছেন। এসব প্রচেষ্টার কারণেই ফকিরহাটকে শতভাগ টিকার আওতায় আনা গেছে।
দেশের প্রথম উপজেলা হিসেবে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলায় শতভাগ মানুষকে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এই উপজেলায় ১২ বছর ও তার বেশি বয়সী সব মানুষই করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ টিকা পেয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।
২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বর প্রথম ডোজ টিকায় দেশের মধ্যে প্রথম উপজেলা হিসেবে ফকিরহাটের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। স্বাস্থ্য বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব লোকমান হোসেন এ ঘোষণা দিয়েছিলেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২৭ জানুয়ারি দেশে টিকা কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এরপর ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয় দেশজুড়ে করোনার টিকাদান। ধাপে ধাপে কমানো হয় করোনার টিকা নেওয়ার বয়সসীমা। সর্বশেষ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার আগে বয়সসীমা আরও কমিয়ে ১২ বছর করা হয়। সেই হিসেবে ফকিরহাটে ১২ বছর বা তার বেশি বয়সী সবাই টিকার আওতায় চলে এসেছে।
গত সোমবার বাগেরহাটের সিভিল সার্জন ডা. জালাল উদ্দিন আহমেদ জানান, জেলায় করোনাভাইরাসের টিকার দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের শতকরা হার ৭০ দশমিক ৭৪ ভাগ। সারা বাংলাদেশের চিত্রও মোটামুটি এর আশপাশে। সেখানে ফকিরহাট উপজেলা শতভাগ টিকা প্রদানের গৌরব অর্জন করেছে। উপজেলা প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে স্বাস্থ্য বিভাগ সমন্বিত প্রচেষ্টায় ফকিরহাটে ধারাবাহিকভাবে শতভাগ দ্বিতীয় ডোজ টিকাদানের মাইলফলক অর্জন করেছে।
ইপিআই ম্যানেজমেন্ট ও মাইক্রো প্লানিং রিপোর্ট ২০২২-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী ফকিরহাটের মোট জনসংখ্যা ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৯১ জন। ফকিরহাটে বসবাসকারী ১২ বছরের ঊর্ধ্বে টিকার নিবন্ধনযোগ্য জনসংখ্যা প্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার ১৬৫ জন। এর মধ্যে ব্যবসা ও চাকরির সুবাদে উপজেলার প্রায় দেড় হাজার মানুষ এলাকার বাইরে বসবাস করেন। ফলে টিকাযোগ্য জনসংখ্যা থাকে ১ লাখ ২২ হাজার ৬৪১ জন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা প্রযুক্তিবিদ মো. কামাল হোসেন বলেন, ফকিরহাটে অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, সিনোফার্মা ও জনসনের টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৬১ হাজার ৩৪৪ জন পুরুষ ও ৬১ হাজার ২০২ জন নারী দ্বিতীয় ডোজের টিকা নিয়েছেন।
এ ছাড়া ৯৫ জন মানুষ জনসনের কম্বাইন্ড (এক টিকায় দুই ডোজ) ডোজ নিয়েছেন। উপজেলায় মোট টিকা গ্রহণ নিয়েছেন ১ লাখ ২২ হাজার ৬৪১ জন। ফলে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়ায় শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা শাহ মুহাম্মদ মহিবুল্লাহ বলেন, জনপ্রতিনিধিদের সহায়তায় স্বাস্থ্য বিভাগ সীমিত জনবল নিয়েও উপজেলার আটটি ইউনিয়নে ২৫২টি স্থায়ী ও অস্থায়ী ক্যাম্পে টিকা দেওয়া হয়। বেদেপল্লি, ফলতিতা মৎস্য শ্রমিক পল্লিসহ বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর কাছেও তাঁরা টিকা পৌঁছে দিয়েছেন। বাইরে বসবাসকারী বা কোনো ভাসমান জনগোষ্ঠী ফকিরহাটে আসলে তাঁদেরও টিকার আওতায় আনা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী টিকা কর্মসূচি জোরদার করার চেষ্টা করা হয়েছিল। সবার সহযোগিতায় এটা সম্ভব হয়েছে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান স্বপন দাশ বলেন, টিকা নেওয়ার জন্য উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং, পোস্টার ও বিভিন্ন সভায় জনগণকে সম্মিলিতভাবে উদ্বুদ্ধ করেছেন।
সরকারি সেবা, ইউনিয়ন পরিষদের ভিজিডি, ভিজিএফ, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা বিতরণের ক্ষেত্রে টিকার আওতায় আসা বাধ্যতামূলক করেছেন। টিকার নিবন্ধন যাতে মানুষ বিনা মূল্যে ও বিনা ভোগান্তিতে করতে পারে, সে ব্যবস্থাও করেছেন। এসব প্রচেষ্টার কারণেই ফকিরহাটকে শতভাগ টিকার আওতায় আনা গেছে।
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
১ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৮ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪