Ajker Patrika

২১ বছর পড়ে থেকে মরিচা এক্স-রে মেশিনে

ইমরান হোসাইন, পেকুয়া (কক্সবাজার)
আপডেট : ১৭ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ৩৭
Thumbnail image

চীনের তৈরি ৩০০ এমএ ক্লাসের এক্স-রে মেশিনটি ২০০০ সালে কেনা হয়েছিল ৫০ লাখ টাকায়। সেই বছরই মেশিনটি বরাদ্দ দেওয়া হয় পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার একটি কক্ষে তা স্থাপন করা হয়। তবে আজ পর্যন্ত কোনো কাজে আসেনি মেশিনটি।

সূত্রে জানা গেছে, টেকনিশিয়ানের (রেডিওগ্রাফার) অভাবে পড়ে থাকতে থাকতে এক্স-রে মেশিনে মরিচা পড়েছে। গত ২১ বছরে একবারের জন্যও রোগীদের কাজে আসেনি মেশিনটি।

রাজাখালী ইউনিয়নের আমিলাপাড়া গ্রামের বাসিন্দা রোজিনা আক্তার বলেন, ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভালো চিকিৎসক আছেন। কিন্তু এক্স-রে করানোর সুযোগ নেই। এক্স-রে করাতে বেসরকারি হাসপাতাল বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যেতে হয়। এতে ভোগান্তি ও খরচ বেশি হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ১৯৯৮ সালে ২০ শয্যার পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০১১ সালে ৩১ শয্যায় উন্নীত করা হয়। উন্নয়ন খাত থেকে হাসপাতালটি স্থানান্তরিত হয় রাজস্ব খাতে। কিন্তু প্রয়োজনের তুলনায় জনবল বাড়েনি। জনবল নিয়োগ না দিয়েই ২০১৯ সালে হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ জন্য অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) মুজিবুর রহমান বলেন, ‘রেডিওগ্রাফার না থাকায় ২১ বছর ধরে এক্স-রে মেশিনটি সচল করা যায়নি। রেডিওগ্রাফারের জন্য মন্ত্রণালয়ে অনেকবার চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু জনবল পাওয়া যায়নি। মেশনটি এখন সচল আছে কিনা, সেটি বলা যাচ্ছে না।’

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা কমিটির সহসভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উপজেলাবাসীর চিকিৎসার একমাত্র ভরসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। আগের চেয়ে এখন চিকিৎসার মান ভালো হয়েছে। তবে এক্স-রে মেশিন চালু না থাকায় রোগীদের ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। প্রত্যেক মাসিক সভায় জনবলের বিষয়ে আলোচনা হলেও, সেটি মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা শুনছেন না।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত