সবুজ শর্মা শাকিল, সীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম)
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জাহাজভাঙা কারখানায় গত এক বছরে ছোট-বড় ৩৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৭ শ্রমিক নিহতের পাশাপাশি আহত হয়েছেন ২৯ জন। আহত অনেকেই শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হারিয়েছেন। বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শ্রম বিধিমালা না মেনে এবং সঠিক পরিকল্পনা না করে স্ক্র্যাপ জাহাজ কাটার কারণে জাহাজভাঙা কারখানায় এসব দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকের পরিবার মালিকপক্ষের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা পেলেও ঠিকাদারের অধীনে হওয়ায় ক্ষতিপূরণের টাকা মেলে না আহত শ্রমিকদের।
গত সোমবার বিকেলে সীতাকুণ্ডের ইপসার মানবসম্পদ কেন্দ্রে ওই প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিলস-ডিটিডিএ প্রকল্পের ওশ সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর ফজলুল কবির মিন্টু। তিনি বলেন, জাহাজভাঙা শিল্পে অব্যাহত দুর্ঘটনার পরও শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও চাকরি স্থায়ীকরণের বিষয়টি এখনো অবহেলিত। তবে আশার কথা হচ্ছে, শিপইয়ার্ডগুলো এখন গ্রিন ইয়ার্ড হচ্ছে। তাই দুর্ঘটনা কমেছে। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার হলে দুর্ঘটনা আরও কমবে বলে তাঁরা আশাবাদী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঠিকাদারের অধীনে এপিএস নামক জাহাজভাঙা কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের আকিলপুর এলাকার দেলোয়ার। চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি কারখানায় অগ্নিদগ্ধ হন তিনি। দেলোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্ক্র্যাপ জাহাজে কাটিং কাজ করার সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। টানা এক মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার জন্য কিছু সহায়তা করেছেন। তবে মেলেনি কোনো ক্ষতিপূরণ।
একই কথা জানালেন জাহাজভাঙা কারখানায় কাজ করতে গিয়ে আহত হওয়া শ্রমিক আজম, মতিউর রহমান, ফরহাদ ও মাইন উদ্দিন বিদ্যুৎ। তাঁরা জানান, ঠিকাদারের অধীনে দীর্ঘদিন ধরে জাহাজভাঙা কারখানায় অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ করছেন। স্ক্র্যাপ জাহাজে কাটিং কাজ করার সময় লোহার পাতের আঘাতে হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান থেঁতলে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁরা। দুর্ঘটনায় তাঁরা প্রাণে বাঁচলেও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতের কারণে এখন আর ভারী কোনো কাজ করতে পারেন না। তারপরও পেটের দায়ে কাজে যেতে হয়। কোনো দিন কাজে গেলেও পরদিন ব্যথার যন্ত্রণায় আর কাজ করা সম্ভব হয় না।
বিলস-এর ফজলুল কবির মিন্টু আজকের পত্রিকাকে বলেন, শ্রম বিধিমালা অনুযায়ী প্রতি এক ঘণ্টা পরপর শ্রমিকদের ১৫ মিনিট বিরতি দেওয়ার কথা থাকলেও তা মানছে না মালিকপক্ষ। পাশাপাশি হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী রাতে জাহাজ কাটার কাজ নিষিদ্ধ হলেও তা না মেনে অধিকাংশ কারখানায় রাতভর চলে জাহাজ কাটার কাজ। ফলে অহরহ ঘটে দুর্ঘটনা।
কবির মিন্টু আরও বলেন, জাহাজভাঙা কারখানার মালিকেরা স্ক্র্যাপ জাহাজ কিনতে ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নেন। ফলে ঋণ পরিশোধের চাপ মাথায় থাকায় তাঁদের মনোনীত ঠিকাদারদের জাহাজ কাটতে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেন। আর ঠিকাদার তা বাস্তবায়নে কোনো ধরনের বিশ্রাম ছাড়াই শ্রমিকদের তাড়াহুড়ো করে কাজ করান। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ এ কাজে সুরক্ষা সামগ্রী সঠিকভাবে না থাকা এবং তাড়াহুড়ো করে কাজ করানোর কারণে ঘটে প্রাণহানি ও অঙ্গহানির মতো ঘটনা। তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকের পরিবার মালিকপক্ষের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা পেলেও ঠিকাদারদের অধীনে হওয়ায় ক্ষতিপূরণের টাকা জোটে না আহত শ্রমিকদের। মালিকপক্ষ যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁদের ইয়ার্ডে আমদানি করা স্ক্র্যাপ জাহাজ কাটত, তাহলে দুর্ঘটনা একেবারেই কমে যেত।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিএ) সভাপতি আবু তাহের আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুর্ঘটনার বিষয়ে বিলসের দেওয়া তথ্য সম্পর্কে তিনি অবগত নন। অধিকাংশ শিপইয়ার্ডই গ্রিন ইয়ার্ড হয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটছে না। কোনো ধরনের শ্রম বিধিমালাও লঙ্ঘন হচ্ছে না। সরকারি সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিয়মিত তদারকিতেই কাজ হচ্ছে।
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জাহাজভাঙা কারখানায় গত এক বছরে ছোট-বড় ৩৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৭ শ্রমিক নিহতের পাশাপাশি আহত হয়েছেন ২৯ জন। আহত অনেকেই শরীরের বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ হারিয়েছেন। বেসরকারি সংস্থা বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজের (বিলস) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
শ্রম বিধিমালা না মেনে এবং সঠিক পরিকল্পনা না করে স্ক্র্যাপ জাহাজ কাটার কারণে জাহাজভাঙা কারখানায় এসব দুর্ঘটনা ঘটছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকের পরিবার মালিকপক্ষের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা পেলেও ঠিকাদারের অধীনে হওয়ায় ক্ষতিপূরণের টাকা মেলে না আহত শ্রমিকদের।
গত সোমবার বিকেলে সীতাকুণ্ডের ইপসার মানবসম্পদ কেন্দ্রে ওই প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন বিলস-ডিটিডিএ প্রকল্পের ওশ সেন্টারের কো-অর্ডিনেটর ফজলুল কবির মিন্টু। তিনি বলেন, জাহাজভাঙা শিল্পে অব্যাহত দুর্ঘটনার পরও শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও চাকরি স্থায়ীকরণের বিষয়টি এখনো অবহেলিত। তবে আশার কথা হচ্ছে, শিপইয়ার্ডগুলো এখন গ্রিন ইয়ার্ড হচ্ছে। তাই দুর্ঘটনা কমেছে। উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার হলে দুর্ঘটনা আরও কমবে বলে তাঁরা আশাবাদী।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঠিকাদারের অধীনে এপিএস নামক জাহাজভাঙা কারখানায় শ্রমিকের কাজ করতেন সীতাকুণ্ডের বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের আকিলপুর এলাকার দেলোয়ার। চলতি বছরের ১২ জানুয়ারি কারখানায় অগ্নিদগ্ধ হন তিনি। দেলোয়ার আজকের পত্রিকাকে বলেন, স্ক্র্যাপ জাহাজে কাটিং কাজ করার সময় বিস্ফোরণে দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন তিনি। টানা এক মাস হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। কারখানা কর্তৃপক্ষ চিকিৎসার জন্য কিছু সহায়তা করেছেন। তবে মেলেনি কোনো ক্ষতিপূরণ।
একই কথা জানালেন জাহাজভাঙা কারখানায় কাজ করতে গিয়ে আহত হওয়া শ্রমিক আজম, মতিউর রহমান, ফরহাদ ও মাইন উদ্দিন বিদ্যুৎ। তাঁরা জানান, ঠিকাদারের অধীনে দীর্ঘদিন ধরে জাহাজভাঙা কারখানায় অস্থায়ী ভিত্তিতে কাজ করছেন। স্ক্র্যাপ জাহাজে কাটিং কাজ করার সময় লোহার পাতের আঘাতে হাত-পাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থান থেঁতলে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন তাঁরা। দুর্ঘটনায় তাঁরা প্রাণে বাঁচলেও শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাতের কারণে এখন আর ভারী কোনো কাজ করতে পারেন না। তারপরও পেটের দায়ে কাজে যেতে হয়। কোনো দিন কাজে গেলেও পরদিন ব্যথার যন্ত্রণায় আর কাজ করা সম্ভব হয় না।
বিলস-এর ফজলুল কবির মিন্টু আজকের পত্রিকাকে বলেন, শ্রম বিধিমালা অনুযায়ী প্রতি এক ঘণ্টা পরপর শ্রমিকদের ১৫ মিনিট বিরতি দেওয়ার কথা থাকলেও তা মানছে না মালিকপক্ষ। পাশাপাশি হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী রাতে জাহাজ কাটার কাজ নিষিদ্ধ হলেও তা না মেনে অধিকাংশ কারখানায় রাতভর চলে জাহাজ কাটার কাজ। ফলে অহরহ ঘটে দুর্ঘটনা।
কবির মিন্টু আরও বলেন, জাহাজভাঙা কারখানার মালিকেরা স্ক্র্যাপ জাহাজ কিনতে ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নেন। ফলে ঋণ পরিশোধের চাপ মাথায় থাকায় তাঁদের মনোনীত ঠিকাদারদের জাহাজ কাটতে নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেন। আর ঠিকাদার তা বাস্তবায়নে কোনো ধরনের বিশ্রাম ছাড়াই শ্রমিকদের তাড়াহুড়ো করে কাজ করান। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ এ কাজে সুরক্ষা সামগ্রী সঠিকভাবে না থাকা এবং তাড়াহুড়ো করে কাজ করানোর কারণে ঘটে প্রাণহানি ও অঙ্গহানির মতো ঘটনা। তিনি বলেন, দুর্ঘটনায় নিহত শ্রমিকের পরিবার মালিকপক্ষের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণের টাকা পেলেও ঠিকাদারদের অধীনে হওয়ায় ক্ষতিপূরণের টাকা জোটে না আহত শ্রমিকদের। মালিকপক্ষ যদি পরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁদের ইয়ার্ডে আমদানি করা স্ক্র্যাপ জাহাজ কাটত, তাহলে দুর্ঘটনা একেবারেই কমে যেত।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএসবিএ) সভাপতি আবু তাহের আজকের পত্রিকাকে বলেন, দুর্ঘটনার বিষয়ে বিলসের দেওয়া তথ্য সম্পর্কে তিনি অবগত নন। অধিকাংশ শিপইয়ার্ডই গ্রিন ইয়ার্ড হয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটছে না। কোনো ধরনের শ্রম বিধিমালাও লঙ্ঘন হচ্ছে না। সরকারি সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিয়মিত তদারকিতেই কাজ হচ্ছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
১৭ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪