আজাদুল আদনান, ঢাকা
কোথাও সংকট আধুনিক ব্যবস্থাপনার, কোথাও নেই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)। আবার শয্যা থাকলেও চিকিৎসকসহ অন্যান্য জনবলের অভাবে বন্ধ হয়েছে পুরো ইউনিট। কোনোটি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে একজনমাত্র চিকিৎসক দিয়ে। বলতে গেলে এটাই দেশের বর্তমান আগুনে পোড়া কিংবা বিদ্যুতায়িত রোগীদের চিকিৎসার অবস্থা। বছরের পর বছর এমন নাজুক অবস্থা পাল্টাতে নানা কথা হলেও শেষ পর্যন্ত ঢাকার ওপর নির্ভরশীলতা কমানো যায়নি। বরং কোথাও আগুন লাগলেই বার্ন ইউনিটের গুরুত্বের বিষয়টি আলোচনায় আসে।
সর্বশেষ, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঝালকাঠিতে লঞ্চে আগুন লাগার পর আবারও পোড়া রোগীদের চিকিৎসার বিষয়টি সামনে এসেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪২ জন মারা গেছে, আহত শতাধিক। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশের সব অঞ্চলেই পোড়ার ঝুঁকি থাকলেও ঢাকার বাইরে নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসা। বিভাগীয় হাসপাতালগুলোতে একটি করে ইউনিট থাকলেও চরম অবহেলা আর সংকটে জর্জরিত। আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ চিকিৎসা উপকরণের অভাবে প্রাথমিক সেবাটুকু পেতে আসতে হয় ঢাকায়। আবারও কোথাও শয্যা থাকলেও ধারণক্ষমতার অন্তত দ্বিগুণ রোগী, যাদের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালের মেঝে কিংবা বারান্দায়।
ঢাকার বাইরে আট বিভাগের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
অথচ ২০১০ সালের ৩ জুন রাজধানীর পুরান ঢাকার নিমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১২৫ জনের মৃত্যুর পর সারা দেশে আগুনে পোড়া রোগীদের চিকিৎসায় বার্ন ইউনিট খোলার উদ্যোগ নিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। পরে ১৪টি সরকারি মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে দ্রুত এই বিভাগ খোলার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সবগুলোতে হয়নি। ফলে মৃত্যুঝুঁকি নিয়েই ঢাকামুখী হতে হচ্ছে সংকটাপন্ন রোগীদের।
বিষয়টি স্বীকার করে সারা দেশের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, না হওয়ার পেছনে নানা সংকট রয়েছে। তবে ৭ ডিসেম্বর পাঁচটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০ শয্যার ইউনিট চালুর অনুমোদন দিয়েছে একনেক। ফরিদপুর, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট ও রংপুরে প্রাথমিকভাবে চালু হবে। এখন টেন্ডারের পর্যায়ে রয়েছে, শিগগিরই কাজ শুরু হবে। তিনি বলেন, বার্ন ইউনিট চালু করতে প্রয়োজন দক্ষ জনবল, যেখানে তীব্র সংকট রয়েছে। বর্তমানে দেশের ১৭টি জেলায় পোড়া রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে। তবে সেগুলো পূর্ণাঙ্গ নয়। যত দ্রুত এই হাসপাতালগুলো বানানো যাবে, ততই মঙ্গল।
শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ২ নভেম্বর পর্যন্ত গত এক বছরে এই হাসপাতালে দগ্ধ হয়ে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন ১২ হাজার ৫৫৫ জন। ভর্তি হন ৯ হাজার ৬৩৭ জন। এই হাসপাতালে চিকিৎসকদের অনুমোদিত পদের সংখ্যা ৪৬১টি হলেও আছেন মাত্র ১৬৮ জন।
ঢাকার বাইরের চিত্র আরও ভয়াবহ। সম্প্রতি ঝালকাঠিতে সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিদগ্ধদের প্রাণ বাঁচাতে অন্তত ৭০ জন রোগীকে নেওয়া হয় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসক না থাকায় দেড় বছর ধরে বন্ধ ছিল এই হাসপাতালের বার্ন ইউনিট। তবে গতকাল রোববার হাসপাতালটিতে ২০ শয্যার ইউনিটটি ফের চালু করা হয়েছে। বর্তমানে ৪১ জন রোগী সেখানে চিকিৎসাধীন। রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ৯ জনের জায়গায় দুজন চিকিৎসক দিয়ে কোনোমতে চলছে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা। নেই কোনো আইসিইউ। ইন্টার্ন চিকিৎসকেরাই এই বিভাগের মূল চালিকাশক্তি।
রামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের ইনচার্জ ডা. এম এ হামিদ পলাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, উত্তরাঞ্চলে শীতের সময় এলে আগুনে পোড়ার সংখ্যা মহামারির রূপ নেয়। চলতি মাসে ১৪ জন দগ্ধ শিশুকে এখানে আনা হয়। এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা খারাপ ছিল, তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। যে ধরনের উন্নত ব্যবস্থাপনা দরকার সেগুলো না থাকায় তাঁরা পারছেন না। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেই আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা। অধিকাংশ রোগীকে পাঠানো হয় ঢাকায়। আছে জনবলের তীব্র সংকটও। বিষয়টি স্বীকার করেছেন হাসপাতালটির উপপরিচালক ডা. ফরাজী।
দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের পাশাপাশি শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালেও ২০ শয্যার ইউনিট চালু করা হয়। কিন্তু জনবলের অভাবে একটিতে কোনোমতে সেবা চললেও অন্যটিতে নেই। খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসকদের ৯টি পদ থাকলেও একমাত্র চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. তরিকুল ইসলাম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ৩৭ শয্যার এই হাসপাতালে গড়ে ৬০ জনের বেশি রোগী চিকিৎসাধীন থাকে। নেই কোনো আইসিইউ, সাধারণ চিকিৎসাটুকু দেওয়া গেলেও অস্ত্রোপচার একার পক্ষে সম্ভব না হওয়ায় একজন সহকারীকে নিয়ে সামাল দিচ্ছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ২০১৪ সালে ১০০ শয্যার বিশেষায়িত একটি বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রস্তাবে ১০ শয্যার আইসিইউ ছাড়াও তিনটি অস্ত্রোপচার কক্ষ এবং অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রাখা হয়। সে অনুযায়ী ২০১৬ সালে এই প্রকল্পের অর্থায়নে এগিয়ে আসে চীন সরকার। বার্ন ইউনিট গড়ে তুলতে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনাও করে চীন। কিন্তু চমেক কর্তৃপক্ষ বার্ন ইউনিট স্থাপনের জায়গা দিতে না পারায় অর্থায়ন থেকে সরে আসে চীন।
তবে চমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, চীনের সঙ্গে মতানৈক্য হওয়ায় তারা সরে যায়। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। বর্তমানে শয্যা ও লোকবল সংকট রয়েছে। নতুন হাসপাতাল না হওয়া পর্যন্ত হয়তো এভাবেই চলতে হবে।
দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসাব্যবস্থার এমন নাজুক অবস্থা নিয়ে কথা হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, দেশে ১৭ কোটি মানুষ, সে অনুযায়ী শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত একটি জাতীয় বার্ন ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম থাকা দরকার। কারণ, প্রাথমিক চিকিৎসানির্ভর করে রোগীর অবস্থা কোন পর্যায়ে যাবে। তিনি বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে ১০ শতাংশ, ৪০ শতাংশের বেশি পোড়াদের জেলা পর্যায়ে এবং বিভাগীয় হাসপাতালগুলোতে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আদলে আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা থাকা জরুরি। সেখানে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া সংকটাপন্ন রোগীদের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা মিলবে। কিন্তু যে অবস্থায় চলছে, তা দিয়ে হবে না।
কোথাও সংকট আধুনিক ব্যবস্থাপনার, কোথাও নেই নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ)। আবার শয্যা থাকলেও চিকিৎসকসহ অন্যান্য জনবলের অভাবে বন্ধ হয়েছে পুরো ইউনিট। কোনোটি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে একজনমাত্র চিকিৎসক দিয়ে। বলতে গেলে এটাই দেশের বর্তমান আগুনে পোড়া কিংবা বিদ্যুতায়িত রোগীদের চিকিৎসার অবস্থা। বছরের পর বছর এমন নাজুক অবস্থা পাল্টাতে নানা কথা হলেও শেষ পর্যন্ত ঢাকার ওপর নির্ভরশীলতা কমানো যায়নি। বরং কোথাও আগুন লাগলেই বার্ন ইউনিটের গুরুত্বের বিষয়টি আলোচনায় আসে।
সর্বশেষ, গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঝালকাঠিতে লঞ্চে আগুন লাগার পর আবারও পোড়া রোগীদের চিকিৎসার বিষয়টি সামনে এসেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত অন্তত ৪২ জন মারা গেছে, আহত শতাধিক। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশের সব অঞ্চলেই পোড়ার ঝুঁকি থাকলেও ঢাকার বাইরে নেই পর্যাপ্ত চিকিৎসা। বিভাগীয় হাসপাতালগুলোতে একটি করে ইউনিট থাকলেও চরম অবহেলা আর সংকটে জর্জরিত। আধুনিক যন্ত্রপাতিসহ চিকিৎসা উপকরণের অভাবে প্রাথমিক সেবাটুকু পেতে আসতে হয় ঢাকায়। আবারও কোথাও শয্যা থাকলেও ধারণক্ষমতার অন্তত দ্বিগুণ রোগী, যাদের চিকিৎসা চলছে হাসপাতালের মেঝে কিংবা বারান্দায়।
ঢাকার বাইরে আট বিভাগের মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে এমন চিত্র উঠে এসেছে।
অথচ ২০১০ সালের ৩ জুন রাজধানীর পুরান ঢাকার নিমতলীতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ১২৫ জনের মৃত্যুর পর সারা দেশে আগুনে পোড়া রোগীদের চিকিৎসায় বার্ন ইউনিট খোলার উদ্যোগ নিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী। পরে ১৪টি সরকারি মেডিকেল কলেজ
হাসপাতালে দ্রুত এই বিভাগ খোলার উদ্যোগ নেওয়া হলেও সবগুলোতে হয়নি। ফলে মৃত্যুঝুঁকি নিয়েই ঢাকামুখী হতে হচ্ছে সংকটাপন্ন রোগীদের।
বিষয়টি স্বীকার করে সারা দেশের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, না হওয়ার পেছনে নানা সংকট রয়েছে। তবে ৭ ডিসেম্বর পাঁচটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১০০ শয্যার ইউনিট চালুর অনুমোদন দিয়েছে একনেক। ফরিদপুর, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট ও রংপুরে প্রাথমিকভাবে চালু হবে। এখন টেন্ডারের পর্যায়ে রয়েছে, শিগগিরই কাজ শুরু হবে। তিনি বলেন, বার্ন ইউনিট চালু করতে প্রয়োজন দক্ষ জনবল, যেখানে তীব্র সংকট রয়েছে। বর্তমানে দেশের ১৭টি জেলায় পোড়া রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া যাচ্ছে। তবে সেগুলো পূর্ণাঙ্গ নয়। যত দ্রুত এই হাসপাতালগুলো বানানো যাবে, ততই মঙ্গল।
শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের তথ্যমতে, ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর থেকে চলতি বছরের ২ নভেম্বর পর্যন্ত গত এক বছরে এই হাসপাতালে দগ্ধ হয়ে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন ১২ হাজার ৫৫৫ জন। ভর্তি হন ৯ হাজার ৬৩৭ জন। এই হাসপাতালে চিকিৎসকদের অনুমোদিত পদের সংখ্যা ৪৬১টি হলেও আছেন মাত্র ১৬৮ জন।
ঢাকার বাইরের চিত্র আরও ভয়াবহ। সম্প্রতি ঝালকাঠিতে সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিদগ্ধদের প্রাণ বাঁচাতে অন্তত ৭০ জন রোগীকে নেওয়া হয় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালে। কিন্তু চিকিৎসক না থাকায় দেড় বছর ধরে বন্ধ ছিল এই হাসপাতালের বার্ন ইউনিট। তবে গতকাল রোববার হাসপাতালটিতে ২০ শয্যার ইউনিটটি ফের চালু করা হয়েছে। বর্তমানে ৪১ জন রোগী সেখানে চিকিৎসাধীন। রংপুর মেডিকেল কলেজ (রমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ৯ জনের জায়গায় দুজন চিকিৎসক দিয়ে কোনোমতে চলছে দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসা। নেই কোনো আইসিইউ। ইন্টার্ন চিকিৎসকেরাই এই বিভাগের মূল চালিকাশক্তি।
রামেক হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের ইনচার্জ ডা. এম এ হামিদ পলাশ আজকের পত্রিকাকে বলেন, উত্তরাঞ্চলে শীতের সময় এলে আগুনে পোড়ার সংখ্যা মহামারির রূপ নেয়। চলতি মাসে ১৪ জন দগ্ধ শিশুকে এখানে আনা হয়। এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা খারাপ ছিল, তাদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। যে ধরনের উন্নত ব্যবস্থাপনা দরকার সেগুলো না থাকায় তাঁরা পারছেন না। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেই আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা। অধিকাংশ রোগীকে পাঠানো হয় ঢাকায়। আছে জনবলের তীব্র সংকটও। বিষয়টি স্বীকার করেছেন হাসপাতালটির উপপরিচালক ডা. ফরাজী।
দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালের পাশাপাশি শহীদ শেখ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালেও ২০ শয্যার ইউনিট চালু করা হয়। কিন্তু জনবলের অভাবে একটিতে কোনোমতে সেবা চললেও অন্যটিতে নেই। খুমেক হাসপাতালে চিকিৎসকদের ৯টি পদ থাকলেও একমাত্র চিকিৎসক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন বার্ন ইউনিটের প্রধান ডা. তরিকুল ইসলাম। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ৩৭ শয্যার এই হাসপাতালে গড়ে ৬০ জনের বেশি রোগী চিকিৎসাধীন থাকে। নেই কোনো আইসিইউ, সাধারণ চিকিৎসাটুকু দেওয়া গেলেও অস্ত্রোপচার একার পক্ষে সম্ভব না হওয়ায় একজন সহকারীকে নিয়ে সামাল দিচ্ছেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ২০১৪ সালে ১০০ শয্যার বিশেষায়িত একটি বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রস্তাব মন্ত্রণালয়ে পাঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রস্তাবে ১০ শয্যার আইসিইউ ছাড়াও তিনটি অস্ত্রোপচার কক্ষ এবং অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা রাখা হয়। সে অনুযায়ী ২০১৬ সালে এই প্রকল্পের অর্থায়নে এগিয়ে আসে চীন সরকার। বার্ন ইউনিট গড়ে তুলতে ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগের পরিকল্পনাও করে চীন। কিন্তু চমেক কর্তৃপক্ষ বার্ন ইউনিট স্থাপনের জায়গা দিতে না পারায় অর্থায়ন থেকে সরে আসে চীন।
তবে চমেক হাসপাতালের উপপরিচালক ডা. আফতাবুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, চীনের সঙ্গে মতানৈক্য হওয়ায় তারা সরে যায়। বিষয়টি নিয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। বর্তমানে শয্যা ও লোকবল সংকট রয়েছে। নতুন হাসপাতাল না হওয়া পর্যন্ত হয়তো এভাবেই চলতে হবে।
দগ্ধ রোগীদের চিকিৎসাব্যবস্থার এমন নাজুক অবস্থা নিয়ে কথা হয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বে-নজির আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, দেশে ১৭ কোটি মানুষ, সে অনুযায়ী শহর থেকে গ্রাম পর্যন্ত একটি জাতীয় বার্ন ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম থাকা দরকার। কারণ, প্রাথমিক চিকিৎসানির্ভর করে রোগীর অবস্থা কোন পর্যায়ে যাবে। তিনি বলেন, স্থানীয় পর্যায়ে ১০ শতাংশ, ৪০ শতাংশের বেশি পোড়াদের জেলা পর্যায়ে এবং বিভাগীয় হাসপাতালগুলোতে জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আদলে আধুনিক চিকিৎসাব্যবস্থা থাকা জরুরি। সেখানে ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ পুড়ে যাওয়া সংকটাপন্ন রোগীদের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা মিলবে। কিন্তু যে অবস্থায় চলছে, তা দিয়ে হবে না।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
২ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪