Ajker Patrika

অবৈধ ক্রসিং বন্ধে কমিটি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
আপডেট : ২৩ ডিসেম্বর ২০২১, ১৩: ১৪
অবৈধ ক্রসিং বন্ধে কমিটি

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে অবৈধ লেভেল ক্রসিংগুলো বন্ধে বিভাগীয় পর্যায়ে কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে দুই বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা, দুই বিভাগীয় প্রকৌশলী-১ ও সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালককে সদস্য করা হয়েছে। তাঁদের দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তাঁদের প্রতিবেদনে চিহ্নিত করা অবৈধ ক্রসিংগুলো পর্যায়ক্রমে বন্ধ করা হবে বলে রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে।

সম্প্রতি ওই কমিটি গঠন করা হয় বলে আজকের পত্রিকাকে জানিয়েছেন নির্বাহী প্রকৌশলী (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) আবু রাফি মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোছাইন। তিনি বলেন, পূর্বাঞ্চলে এক হাজার ৫৩৩টি ক্রসিং রয়েছে। এর মধ্যে বৈধ ছিল মাত্র ৪৩৪টি। বাকি ৯০০-র বেশি ক্রসিং অবৈধ।

এর মধ্যে রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের লেভেল ক্রসিং গেটসমূহের পুনর্বাসন ও মান উন্নয়নের প্রকল্পের আওতায় ১৮০টি অবৈধ ক্রসিং বৈধর তালিকায় রাখা হয়েছে। এসব ক্রসিংয়ে লোক নিয়োগসহ নিরাপত্তার জন্য যা যা করা দরকার তা করা হবে বলেও জানান তিনি।

আবু রাফি মোহাম্মদ ইমতিয়াজ হোছাইন আরও বলেন, কমিটির সদস্যরা ঢাকা ও চট্টগ্রামের ক্রসিংগুলো পরিদর্শন করে অবৈধ ক্রসিংগুলোর বিষয়ে পর্যবেক্ষণ দেবেন। কীভাবে ক্রসিংয়ে দুর্ঘটনা রোধ করা যায়, সে সব বিষয় প্রতিবেদনে থাকবে।

প্রকৌশল দপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, রেলওয়ের অনুমোদন ছাড়া ক্রসিংগুলো স্থাপন করেছে সরকারি বিভিন্ন সংস্থা ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান। পূর্বাঞ্চলের ১ হাজার ৫৩৩টি অবৈধ রেলক্রসিংয়ের মধ্যে ১৪০ টিরও বেশি কুমিল্লা অঞ্চলে। লাকসাম-নোয়াখালী রুটে ৪০টি, লাকসাম-চাঁদপুর রুটে ৩৭টি ও লাকসাম-আখাউড়া রুটে ৫০টি এবং লাকসাম-চৌদ্দগ্রাম রুটে ১৫টি অবৈধ লেভেল ক্রসিং রয়েছে।

এ ছাড়া সিলেট-আখাউড়া অংশে প্রায় ১৭৯ কিলোমিটার রেলপথেও অর্ধশতাধিক অবৈধ ক্রসিং রয়েছে। চট্টগ্রাম জেলায়ই রয়েছে দেড় শতাধিক অবৈধ ক্রসিং। এর মধ্যে মিরসরাই উপজেলা এলাকার ৩০ কিলোমিটারে থাকা ৭০টি লেভেল ক্রসিং অবৈধ।

সীতাকুণ্ডের ৩৮ কিলোমিটারের মধ্যে লেভেল ক্রসিং আছে ৮৫টি। এর মধ্যে রেলওয়ের অনুমোদন আছে ৩০ টির। এ ছাড়া বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান আরও ১৫টি পরিচালনা করছে। সব মিলিয়ে ৬০টি লেভেল ক্রসিংয়ের প্রতিটিই মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এসব ক্রসিংয়ে গেটম্যান ও প্রতিবন্ধক না থাকায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা।

গত ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের খুলশী থানার ঝাউতলা এলাকায় ডেমু ট্রেন ও দুটি পরিবহনের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হন। এঁদের মধ্যে একজন ট্রাফিক পুলিশের সদস্যও রয়েছেন। যদিও দুর্ঘটনায় বাসের চালক সবচেয়ে বেশি দায়ী ছিলেন বলে রেলওয়ের তদন্তে বলা হয়। তবে গেটম্যান সময়মতো প্রতিবন্ধক ফেলেননি বলেও উঠে আসে তদন্তে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের নতুন বেতনকাঠামো আসছে, পে কমিশন গঠন

ব্যাংকে চোখ বেঁধে গ্রাহককে হাতুড়িপেটা, পায়ের নখ তোলার চেষ্টা

‘সোজা কথা, যারে ভালো লাগবে তারে কোপামু’

শুল্ক ছাড়া যুক্তরাজ্যে তৈরি পোশাক রপ্তানির সুযোগ পেল ভারত

সর্বাত্মক যুদ্ধে জড়াতে পারে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া—শক্তিতে কে বেশি এগিয়ে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত