আজকের পত্রিকা ডেস্ক
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে সম্প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেছে দেশটির বিরোধী জোট। বিরোধীদের এমন পদক্ষেপ সফল হলে পাকিস্তানের রাজনীতি একটি ‘অশুভ মোড়’ নিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। এ ছাড়া ইমরান খানের বিরুদ্ধে তাঁরই দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সাংসদদের একাংশ অবস্থান নিয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে।
মূলত ঊর্ধ্বমুখী মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার জন্যই ইমরানকে দায়ী করছেন বিরোধীরা। বারবার এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। যদিও দেশটির রাজনৈতিক ইতিহাসে কোনো নির্বাচিত সরকারকে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে অপসারণের নজির নেই।
চলতি মাসের শেষ দিকে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোট গ্রহণের আগে পাকিস্তানে ক্ষমতাসীন এবং বিরোধীদের মধ্যে চলছে রাজনীতির খেলা। আর এই রাজনীতির বিভিন্ন দিক উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যম স্ক্রলের এক প্রতিবেদনে।
অভ্যন্তরীণ কোন্দল
অস্থিতিশীল পরিবেশের উত্তাপ যে পাকিস্তান সরকার অনুভব করছে, জোটের অংশীদারদের খুশি করতে ইমরান খানের নানা পদক্ষেপে তা স্পষ্ট। কিন্তু দলের মধ্যে বড় ধরনের বিভক্তিই এখন ক্ষমতাসীনদের মাথাব্যথার বড় কারণ। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সর্বশেষ বিদ্রোহ দলটির অভ্যন্তরীণ কোন্দলেরই ইঙ্গিত দেয়, যা সরকারের টিকে থাকাকেও হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
ফলে সরকারবিরোধী জোট যেমন চূড়ান্ত লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত, তেমনি হাল ছাড়ছেন না পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীও। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে যাওয়ার সিদ্ধান্তও পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারে ইমরান খানের একটি মরিয়া পদক্ষেপ বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু চলমান সংকট সমাধানে এই পদক্ষেপ ফলপ্রসূ না হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে।
‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বক্তব্য
অতীতেও ইমরান খানের দায়িত্বজ্ঞানহীন অনেক বক্তব্য অন্য দেশের সঙ্গে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তবে পশ্চিমা দেশগুলোকে নিয়ে তার সাম্প্রতিক মন্তব্য ছিল সবচেয়ে অনুপযুক্ত। কারণ, এ ধরনের মন্তব্য জটিল বৈদেশিক এবং নিরাপত্তা নীতির বিষয়ে তাঁর জ্ঞানের অভাবেরই বহিঃপ্রকাশ।
যদিও স্থানীয় রাজনীতিবিদদের মতে, এমন মন্তব্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে বিদেশি ষড়যন্ত্রের তত্ত্বকে শক্তিশালী করার জন্য একটি ইচ্ছাকৃত পদক্ষেপ হতে পারে। কারণ, সংকটের সময় জাতীয়তাবাদী অনুভূতি নিয়ে খেলা পপুলিস্ট রাজনীতির অন্যতম চরিত্র।
পাঞ্জাবে অন্য কোনো প্রার্থীর বিষয়ে ঐকমত্য না থাকাও বড় সমস্যা। পারভেজ এলাহি ছাড়া অন্য কাউকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিচ্ছে না পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কিউ)। ইমরান খানের মাথার ওপর যখন অনাস্থা প্রস্তাব ঝুলছে, তখনই নিজেদের পক্ষে বাজি ধরেছে দলটি। তবে গুরুত্বপূর্ণ এই প্রদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী পদটি জোটের শরিকদের হাতে ইমরান তুলে দেবেন, এমন সম্ভাবনাও কম। ফলে ক্ষমতাসীন জোটে বিভেদ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে জোড়াতালি দিয়ে এর সমাধান করা কঠিন।
ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ
সরকার নিয়ন্ত্রণ করা সত্ত্বেও তেহরিক-ই-ইনসাফ এরই মধ্যে পাঞ্জাবে তার রাজনৈতিক অবস্থান হারিয়েছে। আর পাঞ্জাব সংকটের সমাধান না করে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পক্ষে অনাস্থা ভোটে বিরোধীদের হারানো বেশ কঠিনই হবে।
এদিকে বিরোধীদের দাবি, তেহরিক-ই-ইনসাফের অনেক সাংসদ পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এন) থেকে টিকিটের আশ্বাস পেলে দলবদলে আগ্রহী। এ ছাড়া পরবর্তী সময়ে কী ঘটবে তা বহুলাংশে নির্ভর করবে দেশটির সামরিক বাহিনী রাজনীতির এই খেলায় কতটা নিরপেক্ষ থাকবে, তার ওপর।
ইমরান খান সরকারের পতন হলেও এর মধ্য দিয়ে দেশটির বিরাজমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার অবসান হবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, অনাস্থা ভোটে ইমরান পরাজিত হলে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে কোনো সমঝোতা হয়নি। আর বিরোধী জোট পরাজিত হলে আরও কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠতে পারে তেহরিক-ই-ইনসাফ।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে সম্প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব পেশ করেছে দেশটির বিরোধী জোট। বিরোধীদের এমন পদক্ষেপ সফল হলে পাকিস্তানের রাজনীতি একটি ‘অশুভ মোড়’ নিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে। এ ছাড়া ইমরান খানের বিরুদ্ধে তাঁরই দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের সাংসদদের একাংশ অবস্থান নিয়েছে বলেও শোনা যাচ্ছে।
মূলত ঊর্ধ্বমুখী মুদ্রাস্ফীতির মধ্যে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার জন্যই ইমরানকে দায়ী করছেন বিরোধীরা। বারবার এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। যদিও দেশটির রাজনৈতিক ইতিহাসে কোনো নির্বাচিত সরকারকে অনাস্থা ভোটের মাধ্যমে অপসারণের নজির নেই।
চলতি মাসের শেষ দিকে অনাস্থা প্রস্তাব নিয়ে ভোট গ্রহণের আগে পাকিস্তানে ক্ষমতাসীন এবং বিরোধীদের মধ্যে চলছে রাজনীতির খেলা। আর এই রাজনীতির বিভিন্ন দিক উঠে এসেছে সংবাদমাধ্যম স্ক্রলের এক প্রতিবেদনে।
অভ্যন্তরীণ কোন্দল
অস্থিতিশীল পরিবেশের উত্তাপ যে পাকিস্তান সরকার অনুভব করছে, জোটের অংশীদারদের খুশি করতে ইমরান খানের নানা পদক্ষেপে তা স্পষ্ট। কিন্তু দলের মধ্যে বড় ধরনের বিভক্তিই এখন ক্ষমতাসীনদের মাথাব্যথার বড় কারণ। পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সর্বশেষ বিদ্রোহ দলটির অভ্যন্তরীণ কোন্দলেরই ইঙ্গিত দেয়, যা সরকারের টিকে থাকাকেও হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
ফলে সরকারবিরোধী জোট যেমন চূড়ান্ত লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত, তেমনি হাল ছাড়ছেন না পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীও। সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছুটে যাওয়ার সিদ্ধান্তও পরিস্থিতি পুনরুদ্ধারে ইমরান খানের একটি মরিয়া পদক্ষেপ বলেই মনে হচ্ছে। কিন্তু চলমান সংকট সমাধানে এই পদক্ষেপ ফলপ্রসূ না হওয়ার শঙ্কাও রয়েছে।
‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ বক্তব্য
অতীতেও ইমরান খানের দায়িত্বজ্ঞানহীন অনেক বক্তব্য অন্য দেশের সঙ্গে পাকিস্তানের কূটনৈতিক সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। তবে পশ্চিমা দেশগুলোকে নিয়ে তার সাম্প্রতিক মন্তব্য ছিল সবচেয়ে অনুপযুক্ত। কারণ, এ ধরনের মন্তব্য জটিল বৈদেশিক এবং নিরাপত্তা নীতির বিষয়ে তাঁর জ্ঞানের অভাবেরই বহিঃপ্রকাশ।
যদিও স্থানীয় রাজনীতিবিদদের মতে, এমন মন্তব্য পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তাঁর সরকারের বিরুদ্ধে বিদেশি ষড়যন্ত্রের তত্ত্বকে শক্তিশালী করার জন্য একটি ইচ্ছাকৃত পদক্ষেপ হতে পারে। কারণ, সংকটের সময় জাতীয়তাবাদী অনুভূতি নিয়ে খেলা পপুলিস্ট রাজনীতির অন্যতম চরিত্র।
পাঞ্জাবে অন্য কোনো প্রার্থীর বিষয়ে ঐকমত্য না থাকাও বড় সমস্যা। পারভেজ এলাহি ছাড়া অন্য কাউকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মেনে নিচ্ছে না পাকিস্তান মুসলিম লীগ (কিউ)। ইমরান খানের মাথার ওপর যখন অনাস্থা প্রস্তাব ঝুলছে, তখনই নিজেদের পক্ষে বাজি ধরেছে দলটি। তবে গুরুত্বপূর্ণ এই প্রদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী পদটি জোটের শরিকদের হাতে ইমরান তুলে দেবেন, এমন সম্ভাবনাও কম। ফলে ক্ষমতাসীন জোটে বিভেদ এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে, যেখানে জোড়াতালি দিয়ে এর সমাধান করা কঠিন।
ক্রমবর্ধমান অসন্তোষ
সরকার নিয়ন্ত্রণ করা সত্ত্বেও তেহরিক-ই-ইনসাফ এরই মধ্যে পাঞ্জাবে তার রাজনৈতিক অবস্থান হারিয়েছে। আর পাঞ্জাব সংকটের সমাধান না করে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের পক্ষে অনাস্থা ভোটে বিরোধীদের হারানো বেশ কঠিনই হবে।
এদিকে বিরোধীদের দাবি, তেহরিক-ই-ইনসাফের অনেক সাংসদ পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (এন) থেকে টিকিটের আশ্বাস পেলে দলবদলে আগ্রহী। এ ছাড়া পরবর্তী সময়ে কী ঘটবে তা বহুলাংশে নির্ভর করবে দেশটির সামরিক বাহিনী রাজনীতির এই খেলায় কতটা নিরপেক্ষ থাকবে, তার ওপর।
ইমরান খান সরকারের পতন হলেও এর মধ্য দিয়ে দেশটির বিরাজমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার অবসান হবে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, অনাস্থা ভোটে ইমরান পরাজিত হলে পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে বিরোধীদের মধ্যে কোনো সমঝোতা হয়নি। আর বিরোধী জোট পরাজিত হলে আরও কর্তৃত্ববাদী হয়ে উঠতে পারে তেহরিক-ই-ইনসাফ।
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৯ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৯ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৯ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫