মুহাম্মদ শফিকুর রহমান
হলঘরে পোষা পাখির ডাকে প্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছিল। লম্বা টেবিলের ওপর খাঁচায় সুন্দর করে সাজানো নানা রঙের পাখি। হাতের ডান পাশে ফিঞ্চ, ককাটেল প্রজাতির পাখি, মাঝের সারিতে বাজরিগার, টারকুইজিন, ম্যাকাও—আরও কতশত পাখি! ককাটেল পাখিগুলো মিস্টি সুরে শিস দিয়ে যাচ্ছিল। দুটি লাভবার্ড একে অপরের গা খুঁটে দিয়ে ভালোবাসা জানান দিচ্ছিল। ম্যাকাও কড়া সুরে ডেকে হয়তো বলছিল, এত মানুষ তার ভালো লাগছে না। গোল্ডিয়ান ফিঞ্চের নৃত্য মুগ্ধ হয়ে দেখছিল মানুষজন। একজন তো বলেই বসলেন, এত সুন্দর গেয়ে-নেচে মেয়েবন্ধুকে আহ্বান তো মানুষও করে না! এমন দৃশ্যই দেখা গেল শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে। গতকাল সেখানে হয়ে গেল এভিয়ান কমিউনিটি অব বাংলাদেশের আয়োজনে পোষা পাখির মেলা।
দর্শনার্থীদের কেউ কেউ পাখিদের সঙ্গে খুনসুটিতে মেতে ওঠেন। পাখিরাও তেমনি! যেন দর্শকদের খুনসুটির জবাব দিচ্ছিল। ফিঞ্চ, বাজরিগার, লাভবার্ড, ককাটেল, নিওফেমাসহ প্রতিটি প্রজাতির পাখি রাখা হয়েছিল ভিন্ন ভিন্ন জায়গায়। পাখির সঙ্গে থাকা এক্সপার্টরা জানিয়ে দিচ্ছিলেন দর্শনার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব।
মিলনায়তনে, হাতের ডানে ছিল ম্যাকাওসহ বিভিন্ন ধরনের বড় পাখি। বাংলাদেশের অন্যতম বড় পাখির দোকান অ্যাংরিবার্ডস বিডি পেট শপও এসেছিল প্রদর্শনীতে। কথা হলো প্রতিষ্ঠানটির মালিক হাসান রাজার সঙ্গে ম্যাকাও পাখি নিয়ে। ম্যাকাও অন্য সব পাখির মতো বাংলাদেশে ভালোই ডিম ও বাচ্চা দিচ্ছে বলে জানালেন তিনি। পোষা পাখিপ্রেমীদের সংখ্যা আগের চেয়ে বেড়েছে বলেও জানালেন। মেলায় লরি, কনুইর, কাকাতুয়া, ডায়মন্ড ডোভ, ফরপাস, রিংনেক, ম্যাকাওসহ আরও অনেক দৃষ্টিনন্দন পাখির সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন দর্শনার্থীরা।
দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে শতাধিক পাখিপ্রেমী তাঁদের সেরা পাখিগুলো নিয়ে মেলায় এসেছিলেন। বরিশাল থেকে এসেছিলেন মনির। তিনি জানান, বিভিন্ন প্রজাতির পোষা পাখি দেখার সুযোগ সব সময় হয় না। এই মেলা সেই সুযোগ করে দিয়েছে; যদিও তিনি তা হারাতে চাননি। গৃহবধূ ইশরাত জাহান ইভা বাসায় পোষেন ফিঞ্চ পাখি। করোনার কারণে মেলা না হওয়ায় মন খারাপ ছিল তাঁর। মেলা দেখতে এসেছিলেন সরকারি কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন। বিস্মিত জামাল জানান, এখানে না এলে কোনো দিন জানা হতো না এমন সুন্দর সব পোষা পাখি আমাদের দেশে আছে।
শুধু পাখিই নয়, মেলায় পোষা পাখি নিয়ে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, টিভি মনিটরে পাখি দেখানোর ব্যবস্থা ছিল। ছিল খাবারের দোকানও। তবে খাদ্যের দাম বাইরের দোকানের মতো।
করোনাসহ বিভিন্ন কারণে পাখির ব্রিডারদের মধ্যে একরকম ঝিমুনি চলে এসেছিল। এই মেলার মাধ্যমে তা কেটে যাবে বলে মনে করেন এভিয়ান কমিউনিটির অর্গানাইজিং সেক্রেটারি মির্জা ফেরদৌস গালিব।
পোষা পাখিপ্রেমীদের সংগঠন এভিয়ান কমিউনিটি অব বাংলাদেশ। পাখি মেলার এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন কাজী ফিরোজ রশিদ (এমপি)। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ড. মো. শহীদুর রশীদ ভুইয়া। উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, এভিয়ান কমিটির সভাপতি মোহম্মদ আলী চৌধুরী, এভিয়ান কমিটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বজলুর রশিদ সেলিমসহ অনেকে।
লেখক: পাখিপ্রেমী ও পোষা পাখিবিষয়ক লেখক।
হলঘরে পোষা পাখির ডাকে প্রাণ জুড়িয়ে যাচ্ছিল। লম্বা টেবিলের ওপর খাঁচায় সুন্দর করে সাজানো নানা রঙের পাখি। হাতের ডান পাশে ফিঞ্চ, ককাটেল প্রজাতির পাখি, মাঝের সারিতে বাজরিগার, টারকুইজিন, ম্যাকাও—আরও কতশত পাখি! ককাটেল পাখিগুলো মিস্টি সুরে শিস দিয়ে যাচ্ছিল। দুটি লাভবার্ড একে অপরের গা খুঁটে দিয়ে ভালোবাসা জানান দিচ্ছিল। ম্যাকাও কড়া সুরে ডেকে হয়তো বলছিল, এত মানুষ তার ভালো লাগছে না। গোল্ডিয়ান ফিঞ্চের নৃত্য মুগ্ধ হয়ে দেখছিল মানুষজন। একজন তো বলেই বসলেন, এত সুন্দর গেয়ে-নেচে মেয়েবন্ধুকে আহ্বান তো মানুষও করে না! এমন দৃশ্যই দেখা গেল শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে। গতকাল সেখানে হয়ে গেল এভিয়ান কমিউনিটি অব বাংলাদেশের আয়োজনে পোষা পাখির মেলা।
দর্শনার্থীদের কেউ কেউ পাখিদের সঙ্গে খুনসুটিতে মেতে ওঠেন। পাখিরাও তেমনি! যেন দর্শকদের খুনসুটির জবাব দিচ্ছিল। ফিঞ্চ, বাজরিগার, লাভবার্ড, ককাটেল, নিওফেমাসহ প্রতিটি প্রজাতির পাখি রাখা হয়েছিল ভিন্ন ভিন্ন জায়গায়। পাখির সঙ্গে থাকা এক্সপার্টরা জানিয়ে দিচ্ছিলেন দর্শনার্থীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব।
মিলনায়তনে, হাতের ডানে ছিল ম্যাকাওসহ বিভিন্ন ধরনের বড় পাখি। বাংলাদেশের অন্যতম বড় পাখির দোকান অ্যাংরিবার্ডস বিডি পেট শপও এসেছিল প্রদর্শনীতে। কথা হলো প্রতিষ্ঠানটির মালিক হাসান রাজার সঙ্গে ম্যাকাও পাখি নিয়ে। ম্যাকাও অন্য সব পাখির মতো বাংলাদেশে ভালোই ডিম ও বাচ্চা দিচ্ছে বলে জানালেন তিনি। পোষা পাখিপ্রেমীদের সংখ্যা আগের চেয়ে বেড়েছে বলেও জানালেন। মেলায় লরি, কনুইর, কাকাতুয়া, ডায়মন্ড ডোভ, ফরপাস, রিংনেক, ম্যাকাওসহ আরও অনেক দৃষ্টিনন্দন পাখির সৌন্দর্য উপভোগ করেছেন দর্শনার্থীরা।
দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে শতাধিক পাখিপ্রেমী তাঁদের সেরা পাখিগুলো নিয়ে মেলায় এসেছিলেন। বরিশাল থেকে এসেছিলেন মনির। তিনি জানান, বিভিন্ন প্রজাতির পোষা পাখি দেখার সুযোগ সব সময় হয় না। এই মেলা সেই সুযোগ করে দিয়েছে; যদিও তিনি তা হারাতে চাননি। গৃহবধূ ইশরাত জাহান ইভা বাসায় পোষেন ফিঞ্চ পাখি। করোনার কারণে মেলা না হওয়ায় মন খারাপ ছিল তাঁর। মেলা দেখতে এসেছিলেন সরকারি কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন। বিস্মিত জামাল জানান, এখানে না এলে কোনো দিন জানা হতো না এমন সুন্দর সব পোষা পাখি আমাদের দেশে আছে।
শুধু পাখিই নয়, মেলায় পোষা পাখি নিয়ে ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, টিভি মনিটরে পাখি দেখানোর ব্যবস্থা ছিল। ছিল খাবারের দোকানও। তবে খাদ্যের দাম বাইরের দোকানের মতো।
করোনাসহ বিভিন্ন কারণে পাখির ব্রিডারদের মধ্যে একরকম ঝিমুনি চলে এসেছিল। এই মেলার মাধ্যমে তা কেটে যাবে বলে মনে করেন এভিয়ান কমিউনিটির অর্গানাইজিং সেক্রেটারি মির্জা ফেরদৌস গালিব।
পোষা পাখিপ্রেমীদের সংগঠন এভিয়ান কমিউনিটি অব বাংলাদেশ। পাখি মেলার এই আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন কাজী ফিরোজ রশিদ (এমপি)। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ড. মো. শহীদুর রশীদ ভুইয়া। উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম, এভিয়ান কমিটির সভাপতি মোহম্মদ আলী চৌধুরী, এভিয়ান কমিটির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট বজলুর রশিদ সেলিমসহ অনেকে।
লেখক: পাখিপ্রেমী ও পোষা পাখিবিষয়ক লেখক।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৪ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪