মারুফ কিবরিয়া, নারায়ণগঞ্জ থেকে
শীতের চাদর ভেদ করে যখন সবে সকালের আলো আসি আসি করছে, তখনই ঘরের বাইরে পা রেখেছেন অনেকে। নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া মোড়ে বাড়তে শুরু করেছে লোকজনের আনাগোনা। সবার মেজাজ বেশ ফুরফুরে। সিটি করপোরেশনের নির্বাচন ঘিরে উৎসব-উৎসব ভাব। সেই ফুরফুরে মেজাজ নিয়ে সকাল ৮টার আগেই ভোটকেন্দ্রে হাজির অনেক ভোটার। কিন্তু উৎসবের আমেজ খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণে ধীরগতি ভোটের আনন্দ ম্লান করে দিয়ে দিনভর ছড়িয়েছে বিরক্তি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে গতকাল রোববার ভোট হয়েছে। দুই হেভিওয়েট মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তৈমুর আলম খন্দকারের দ্বৈরথ এবং নীরব শামীম ওসমানকে ঘিরে নানা আলোচনা এই নির্বাচনে ছড়িয়েছিল বাড়তি উত্তেজনা। তবে সব আশঙ্কা উড়িয়ে প্রায় কোনো রকম সহিংসতা, উত্তেজনা ছাড়াই দিনভর ভোট হয়েছে। বিরক্তি যা ছড়ানোর, তা ছড়িয়েছে ইভিএম। ভোটারের ভোগান্তির কারণও হয়েছে ভোট গ্রহণের এই যন্ত্র।
গতকাল সারা দিন নারায়ণগঞ্জের সদর, বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলায় সরেজমিন বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে দেখা যায়, সকাল ৯টার পর থেকে প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোটারের সারি দীর্ঘ হতে থাকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও কেউ কেউ ভোট দিতে না পেরে বাড়ি ফিরে গেছেন। অনেক ভোটার জানতেন না ইভিএম সম্পর্কে। কারও মেলেনি আঙুলের ছাপ। আবার কয়েক জায়গায় ইভিএম বিকল হয়ে যায়। এ জন্য কোথাও কোথাও ওই সব কেন্দ্রে আধঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল।
ভোটারদের অভিযোগ, কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা নির্বাচনী কর্মকর্তারা সঠিকভাবে কাজ করতে পারেননি। দ্রুত ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রেও অনেক কর্মকর্তার অদক্ষতার কথা জানিয়েছেন ভোটাররা। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দায়িত্বরত প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা। এমনকি পাল্টা অভিযোগ করে এই কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, ইভিএমে অভ্যস্ত নন অনেকে। কীভাবে ভোট দিতে হয়, সেটাও জানেন না। পাশাপাশি আঙুলের ছাপ না মেলা নিয়ে তাঁদের করণীয় কিছু ছিল না বলেও দায় এড়িয়ে গেছেন।
সকাল ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ বন্দরের সরকারি কদমরসুল কলেজের নারী ভোটার কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোটকক্ষের সামনে অপেক্ষমাণ ৩০-৪০ জন নারী হইচই করছেন। এই নারীরা সকাল ৮টা থেকেই অপেক্ষা করছেন। কেউ জানেন না তাঁর ভোটকক্ষ কোনটি। দোতলায় গেলে পাঠানো হয় তিনতলায়। তিনতলা থেকে পাঠানো হয় দোতলায়। এভাবে অন্তত এক ঘণ্টা কেটে গেছে বলে অভিযোগ করেন হোসনে আরা নামের একজন। শুধু তিনিই নন, এমন অনেক ভোটার জানেন না, তাঁদের কক্ষ কোনটি। ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরাও হিমশিম খাচ্ছেন সামাল দিতে। ভোগান্তির শিকার হয়ে একাধিক নারী ভোটার বিরক্ত হয়ে ভোট না দিয়েই চলে যান।
ভোটকেন্দ্রে কেন এমন ভোগান্তি, তা জানতে যোগাযোগ করা হয় প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে। সরকারি কদমরসুল কলেজকেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করা প্রিসাইডিং অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, ভোট দিতে আসা বেশির ভাগ নারীরই সিরিয়াল নম্বরের সঙ্গে আঙুলের ছাপ মিলছে না। তাই এমন বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।
সরকারি কদমরসুল কলেজে পুরুষদের কেন্দ্রে সকালেই বিকল হয়ে যায় একটি ভোটকক্ষের স্ক্যানার (আঙুলে ছাপ নেওয়ার যন্ত্র)। এরপর শুধুই লম্বা হতে থাকে ভোটারের সারি। এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবুল হোসেন পাটোয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সকাল থেকে ঠিকভাবে ভোট গ্রহণ চলছিল। হুট করে একটা স্ক্যানার বিকল হয়ে যায়। সেটা রিপ্লেস করতে কিছুটা সময় লেগে যায়। তাই ভোট গ্রহণে ধীরগতি চলে আসে।
নারায়ণগঞ্জ শহরের মর্গ্যান বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবু জাফর সাইফুল্লাহ বলেন, ‘তিনজন ভোট দিয়েছেন অন্তত আধঘণ্টা সময় নষ্ট করে। এঁরা ঠিকঠাক না বোঝায় সময় নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে বাইরে দীর্ঘ লাইন। আমরা গোপন কক্ষের বাইরে থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি বোঝাতে।’
এ ছাড়া নগরীর বন্দরের লক্ষণখোলা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্বল্পের চর প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু কেন্দ্র ঘুরে ভোটারদের দীর্ঘ সারি ও ভোট প্রয়োগে ভোগান্তির চিত্র দেখা গেছে। স্বল্পের চর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে আসা আশরাফ হোসেন নামের এক তরুণ চার ঘণ্টা অপেক্ষা করেও আঙুলের ছাপ মেলাতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘সকালে লাইনে দাঁড়িয়ে সিরিয়াল মিলিয়ে নিই। দুপুর পর্যন্ত এসে দেখি আমার ফিঙ্গার মিলে নাই। এত কষ্ট ইভিএমে। এমন জানলে ভোট দিতে আসতাম না।’
শীতের চাদর ভেদ করে যখন সবে সকালের আলো আসি আসি করছে, তখনই ঘরের বাইরে পা রেখেছেন অনেকে। নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া মোড়ে বাড়তে শুরু করেছে লোকজনের আনাগোনা। সবার মেজাজ বেশ ফুরফুরে। সিটি করপোরেশনের নির্বাচন ঘিরে উৎসব-উৎসব ভাব। সেই ফুরফুরে মেজাজ নিয়ে সকাল ৮টার আগেই ভোটকেন্দ্রে হাজির অনেক ভোটার। কিন্তু উৎসবের আমেজ খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট গ্রহণে ধীরগতি ভোটের আনন্দ ম্লান করে দিয়ে দিনভর ছড়িয়েছে বিরক্তি।
নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে গতকাল রোববার ভোট হয়েছে। দুই হেভিওয়েট মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াৎ আইভী ও তৈমুর আলম খন্দকারের দ্বৈরথ এবং নীরব শামীম ওসমানকে ঘিরে নানা আলোচনা এই নির্বাচনে ছড়িয়েছিল বাড়তি উত্তেজনা। তবে সব আশঙ্কা উড়িয়ে প্রায় কোনো রকম সহিংসতা, উত্তেজনা ছাড়াই দিনভর ভোট হয়েছে। বিরক্তি যা ছড়ানোর, তা ছড়িয়েছে ইভিএম। ভোটারের ভোগান্তির কারণও হয়েছে ভোট গ্রহণের এই যন্ত্র।
গতকাল সারা দিন নারায়ণগঞ্জের সদর, বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলায় সরেজমিন বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে দেখা যায়, সকাল ৯টার পর থেকে প্রায় প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোটারের সারি দীর্ঘ হতে থাকে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও কেউ কেউ ভোট দিতে না পেরে বাড়ি ফিরে গেছেন। অনেক ভোটার জানতেন না ইভিএম সম্পর্কে। কারও মেলেনি আঙুলের ছাপ। আবার কয়েক জায়গায় ইভিএম বিকল হয়ে যায়। এ জন্য কোথাও কোথাও ওই সব কেন্দ্রে আধঘণ্টা থেকে এক ঘণ্টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ বন্ধ ছিল।
ভোটারদের অভিযোগ, কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা নির্বাচনী কর্মকর্তারা সঠিকভাবে কাজ করতে পারেননি। দ্রুত ভোট গ্রহণের ক্ষেত্রেও অনেক কর্মকর্তার অদক্ষতার কথা জানিয়েছেন ভোটাররা। তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন দায়িত্বরত প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা। এমনকি পাল্টা অভিযোগ করে এই কর্মকর্তারা দাবি করেছেন, ইভিএমে অভ্যস্ত নন অনেকে। কীভাবে ভোট দিতে হয়, সেটাও জানেন না। পাশাপাশি আঙুলের ছাপ না মেলা নিয়ে তাঁদের করণীয় কিছু ছিল না বলেও দায় এড়িয়ে গেছেন।
সকাল ৯টার দিকে নারায়ণগঞ্জ বন্দরের সরকারি কদমরসুল কলেজের নারী ভোটার কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, ভোটকক্ষের সামনে অপেক্ষমাণ ৩০-৪০ জন নারী হইচই করছেন। এই নারীরা সকাল ৮টা থেকেই অপেক্ষা করছেন। কেউ জানেন না তাঁর ভোটকক্ষ কোনটি। দোতলায় গেলে পাঠানো হয় তিনতলায়। তিনতলা থেকে পাঠানো হয় দোতলায়। এভাবে অন্তত এক ঘণ্টা কেটে গেছে বলে অভিযোগ করেন হোসনে আরা নামের একজন। শুধু তিনিই নন, এমন অনেক ভোটার জানেন না, তাঁদের কক্ষ কোনটি। ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্যরাও হিমশিম খাচ্ছেন সামাল দিতে। ভোগান্তির শিকার হয়ে একাধিক নারী ভোটার বিরক্ত হয়ে ভোট না দিয়েই চলে যান।
ভোটকেন্দ্রে কেন এমন ভোগান্তি, তা জানতে যোগাযোগ করা হয় প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে। সরকারি কদমরসুল কলেজকেন্দ্রের দায়িত্ব পালন করা প্রিসাইডিং অফিসার রফিকুল ইসলাম বলেন, ভোট দিতে আসা বেশির ভাগ নারীরই সিরিয়াল নম্বরের সঙ্গে আঙুলের ছাপ মিলছে না। তাই এমন বিড়ম্বনার শিকার হতে হচ্ছে।
সরকারি কদমরসুল কলেজে পুরুষদের কেন্দ্রে সকালেই বিকল হয়ে যায় একটি ভোটকক্ষের স্ক্যানার (আঙুলে ছাপ নেওয়ার যন্ত্র)। এরপর শুধুই লম্বা হতে থাকে ভোটারের সারি। এই কেন্দ্রের প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবুল হোসেন পাটোয়ারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সকাল থেকে ঠিকভাবে ভোট গ্রহণ চলছিল। হুট করে একটা স্ক্যানার বিকল হয়ে যায়। সেটা রিপ্লেস করতে কিছুটা সময় লেগে যায়। তাই ভোট গ্রহণে ধীরগতি চলে আসে।
নারায়ণগঞ্জ শহরের মর্গ্যান বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ কেন্দ্রে সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা আবু জাফর সাইফুল্লাহ বলেন, ‘তিনজন ভোট দিয়েছেন অন্তত আধঘণ্টা সময় নষ্ট করে। এঁরা ঠিকঠাক না বোঝায় সময় নষ্ট হচ্ছে। অন্যদিকে বাইরে দীর্ঘ লাইন। আমরা গোপন কক্ষের বাইরে থেকে যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি বোঝাতে।’
এ ছাড়া নগরীর বন্দরের লক্ষণখোলা উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের স্বল্পের চর প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমিরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু কেন্দ্র ঘুরে ভোটারদের দীর্ঘ সারি ও ভোট প্রয়োগে ভোগান্তির চিত্র দেখা গেছে। স্বল্পের চর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভোট দিতে আসা আশরাফ হোসেন নামের এক তরুণ চার ঘণ্টা অপেক্ষা করেও আঙুলের ছাপ মেলাতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘সকালে লাইনে দাঁড়িয়ে সিরিয়াল মিলিয়ে নিই। দুপুর পর্যন্ত এসে দেখি আমার ফিঙ্গার মিলে নাই। এত কষ্ট ইভিএমে। এমন জানলে ভোট দিতে আসতাম না।’
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
২০ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫