Ajker Patrika

১০ কিমিজুড়ে খানাখন্দে ভেঙে সড়ক সংকীর্ণ

বালিয়াডাঙ্গী (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ মে ২০২২, ১৮: ২০
Thumbnail image

ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী বাজার থেকে পাড়িয়া ইউনিয়নে যাওয়ার একমাত্র রাস্তাটির প্রায় ১০ কিলোমিটারজুড়ে খানাখন্দে পরিণত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না করায় দুপাশ ভেঙে সংকীর্ণ হয়ে পড়েছে। ঢালাই উঠে গিয়ে চলাচলে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

স্থানীয়রা বলছেন, ঝুঁকিপূর্ণ এ রাস্তাটি দিয়ে যাতায়াতের সময় প্রতিদিন ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। দ্রুত রাস্তাটি সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন বিভিন্ন যানবাহনের চালক ও স্থানীয়রা।

তবে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলা প্রকৌশলীকে বিষয়টি জানানোর পরও রাস্তাটি সংস্কারের কোনো নেওয়া হয়নি। অভিযোগ অস্বীকার করে উপজেলা প্রকৌশলী বলছেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য বরাদ্দ চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার সীমান্তবর্তী পাড়িয়া ইউনিয়নের সঙ্গে উপজেলা সদর ও লাহিড়ী হাটের সংযোগ স্থাপনের জন্য প্রায় ১০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি নির্মিত হয়েছিল ৩০ বছর আগে। নির্মাণ হওয়ার পর থেকে দীর্ঘ সময়ে সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে বেহাল হয়ে পড়েছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন পাড়িয়া ইউনিয়নের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ।

পাড়িয়া ইউনিয়নের বামুনিয়া গ্রামের আইয়ুব আলী জানান, গত ৩০ বছরে জনসংখ্যার পাশাপাশি যানবাহন বেড়েছে কয়েকগুণ। আগে এ রাস্তায় মাসেও ট্রাকের দেখা মিলতো না। এখন প্রতিদিন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা ট্রাকে করে ধান, গম ও ভুট্টা পাঠাচ্ছেন ঢাকাসহ অন্যান্য জেলায়। সড়ক বড় হয়নি, বরং দুপাশ ভেঙে আরও ছোট হয়েছে।

ব্যাটারিচালিত ইজিবাইকের চালক কামরুল ইসলাম জানান, চলাচলের সময় সংকীর্ণ সড়কে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। গাড়ি ওভারটেক করা যায় না। একটি গাড়িকে দাঁড় করে আরেকটি পার হতে হয়। রাস্তায় সৃষ্টি হওয়া গর্তে প্রায়ই সময় গাড়ি আটকে যায়। নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছা যায় না। ২৫ মিনিটের রাস্তা যেতে সময় লাগে দেড় ঘণ্টা।

স্কুলশিক্ষক আঞ্জুমান আরা বলেন, কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া যায় না বেহাল রাস্তার কারণে। বিশেষ করে গর্ভবতী ও বৃদ্ধদের নিয়ে বিপাকে পড়তে হয়।

বামুনিয়া গ্রামের ব্যবসায়ী ও ঠিকাদার তোজাম্মেল হক বলেন, রাস্তাটি জরাজীর্ণ হওয়ায় চালকেরা মালামাল বহনে দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করেন। বিকল্প কোনো উপায় না থাকায় চালকদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছি।

পাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ফজলে রাব্বী রুবেল বলেন, ‘রাস্তাটি মেরামত ও প্রশস্ত করার বিষয়ে উপজেলা এলজিইডি প্রকৌশলীকে বলেও কোনো কাজ হয়নি। বেহাল সড়কে জনগণের দুর্ভোগ চরমে গিয়ে ঠেকেছে। রাস্তাটি সংস্কার করা খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে।’

উপজেলা প্রকৌশলী মাইনুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাস্তাটির জরাজীর্ণ অবস্থা আমাদের নজরে এসেছে। সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন করা হয়েছে। অনুমোদন পেলেই সংস্কার শুরু হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত