Ajker Patrika

চালকলের ছাইয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন

কোম্পানীগঞ্জ (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২২, ১৫: ৩৭
চালকলের ছাইয়ে  অতিষ্ঠ জনজীবন

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে অটো রাইস মিলের ছাইয়ে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। খোলা জমিতে ফেলা মিলের ছাই উড়ে এসে চোখে পড়ছে। চলমান গাড়ির চালকের চোখে পড়ায় ঘটছে দুর্ঘটনা। এ নিয়ে বারবার অভিযোগ করেও প্রতিকার হচ্ছে না বলে জানায় স্থানীয় বাসিন্দারা।

জানা গেছে, উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডে পরিবেশ আইন লঙ্ঘন করে আবাসিক এলাকায় স্থাপিত লুনা এগ্রো অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেড নামক রাইস মিলের ছাই জনজীবনে ভোগান্তির সৃষ্টি করছে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, ওই অটো রাইস মিলের ছাই ফেলা হয় বসুরহাট-হাজারীহাট সড়কের পাশে একটি খোলা জায়গায়। এই ছাই বাতাসে উড়ে প্রতিনিয়ত সড়কে চলাচলকারী বিভিন্ন বয়সের মানুষ, স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, বিভিন্ন যানবাহনের যাত্রী ও চালকদের চোখে পড়ে। এতে সড়ক দুর্ঘটনার পাশাপাশি চোখের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এমন বিব্রতকর পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে চান এই সড়কে চলাচলকারী ও আশপাশে বসবাসকারীরা।

চরহাজারী ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আলী হায়দার (২৩) বলেন, ‘খোলা জমিতে ফেলা রাইস মিলের ছাই উড়ে এসে চোখে পড়ে চোখে প্রচণ্ড যন্ত্রণা করে। চলন্ত গাড়ি চালকের চোখে পড়লে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। একবার চোখে ছাই পড়লে ২ থেকে ৩ দিন পর্যন্ত চোখে যন্ত্রণা করে, চোখ লাল হয়ে থাকে।’ তিনি আরে বলেন, এ বিষয়ে রাইস মিলের তত্ত্বাবধায়ক বিপ্লব সাহাকে বেশ কয়েকবার অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাইনি।’

বসুরহাট সেন্ট্রাল হসপিটালের চেয়ারম্যান আবদুল মালেক এই সড়কে নিয়মিত মোটরসাইকেলে যাতায়াত করেন। তিনি জানান, খোলা জমিতে ফেলা এই ছাই প্রতিনিয়ত উড়তে থাকে। পথে মোটরসাইকেলসহ যেকোনো যানবাহন চালানো কষ্টকর ও ঝুঁকিপূর্ণ। গাড়ি চালানোর সময় চোখে ছাই পড়লে আর কিছুই দেখা যায় না। শুধু চোখ জ্বলতে থাকে। কয়েকবার মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর চোখেও ছাই পড়েছিল দাবি করে তিনি জানান, চোখে পড়া ছাই খুব ভুগিয়েছে।

এদিকে লুনা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ প্রাইভেট লিমিটেডের তত্ত্বাবধায়ক বিপ্লব সাহা বলেন, অভিযোগকারীদের অভিযোগ সত্য। পাশের বাড়ির পুকুর থেকে ঘণ্টায় ৩০০ টাকা দিয়ে পানি ছিটিয়ে ছাই ওড়া বন্ধ করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে পুকুরের পানি কমে যাওয়ায়, তাঁরা এখন আর পানি দিচ্ছে না।

স্থানীয় ভুক্তভোগীরা আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাইস মিল মালিক কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে অগভীর নলকূপ বসিয়ে এ সমস্যার সমাধান করতে পারেন। কিন্তু তাঁরা তা কেন করছেন না, তা বুঝে আসেনি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, লুনা এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের ওড়ে যাওয়া ছাইয়ে যারা ভুক্তভোগী এবং ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন, তাঁরা লিখিত অভিযোগ করলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত