Ajker Patrika

চুঁইঝাল, মাল্টা, কমলা ও লেবু চাষে সফলতা

বটিয়াঘাটা প্রতিনিধি
আপডেট : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০৭: ৪৯
চুঁইঝাল, মাল্টা, কমলা ও লেবু চাষে সফলতা

বটিয়াঘাটা উপজেলার বটিয়াঘাটা গ্রামের সুব্রত মণ্ডল নিজের এক একর জমিতে চুঁইঝাল, মাল্টা, দার্জিলিং কমলা ও বিচিহীন লেবু চাষ করে সফলতা পেয়েছেন।

সুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘একটা সময় টিউশনি করতাম। ২০১৯ সালে ৩০৮টি বারি জাতের মাল্টা, ২০টি দার্জিলিং জাতের কমলা, দেশি জাতের ছোট চুঁইঝাল ও প্রায় ২ হাজার বিচিহীন লেবুর চারা লাগিয়েছিলাম। বাগান থেকে এবারই প্রথম মাল্টা ও চুঁইঝাল পেয়েছি। যে পরিমাণ মাল্টা ও চুঁইঝাল পেয়েছি তাতে আমরা খুশি। প্রতি গাছে ১০ কেজি করে মাল্টা পেয়েছি। তা ছাড়া একটি চুঁইঝাল গাছ থেকে বেশ কয়েকটি গাছ হয়েছে। এখন প্রায় প্রতিটি চুঁইঝাল গাছের গোড়ায় কম হলেও ২০-২৫টি করে ডাল-পালা গজিয়েছে। এই কাজে আমার পরিবারের সব সদস্য আমাকে সহযোগিতা করেন।’

সুব্রত মণ্ডল আরও বলেন, ‘বাজারের অধিকাংশ ফলেই ফরমালিন দেওয়া থাকে। আমি চেষ্টা করছি বিষমুক্ত ফলের চাষ করতে। সরকারি সহযোগিতা পেলে আরও বড় করে ফলের চাষ করতে পারতাম।’

সুব্রত মণ্ডলের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, চুঁইঝালের বর্তমান বাজার মূল্য কেজিপ্রতি ৫০০-৬০০ টাকা। ইতিমধ্যে সুব্রত তাঁর বাগান থেকে প্রায় তিন লাখ টাকার চুঁইঝাল বিক্রি করেছেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বছরে তিনি তাঁর এই বাগান থেকে সর্বনিম্ন ৫০-৬০ লাখ টাকার চুঁইঝাল, লেবু, কমলা ও মালটা বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন সুব্রতর পরিবারের সদস্যরা।

জানা গেছে, ইতিমধ্যে সুব্রতর খামার পরিদর্শনে এসেছেন বিভাগীয় কমিশনার, এডিসি, কৃষি মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব, বিএডিসির চেয়ারম্যান, ময়মনসিংহের কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, বটিয়াঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও), জেলা কৃষি কর্মকর্তা, বটিয়াঘাটা কৃষি কর্মকর্তা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘উপজেলায় এই প্রথম এত বড় কৃষি বাগান করেছেন সুব্রত মণ্ডল। আমরা তাঁকে নানাভাবে সহযোগিতা করছি। সরকারি সহযোগিতা পাওয়ার বিষয়ে আমরা তাঁকে সহযোগিতা চেষ্টা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত