এস এম নূর মোহাম্মদ, ঢাকা
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) তদন্ত সংস্থায় ২০১১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি একটি অভিযোগ আসে বাগেরহাটের কচুয়ার গজালিয়া গ্রাম থেকে। এতে ৪২ জনের নামোল্লেখ করে অভিযোগ করা হয়, বেশির ভাগ সময় মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় থাকায় কুখ্যাত খুনি, রাজাকার, নারী নির্যাতনকারীদের তালিকা ও বিচারের আবেদন করতে পারিনি। বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকায় এসব রাজাকার ও আলবদরের বিচারের আবেদন করছি।
একইভাবে সাতক্ষীরার আশাশুনির বড়দল ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় সরাসরি পাঠানো একটি অভিযোগ আসে যাতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতার নামসহ স্বাক্ষর রয়েছে। এতে কয়েকজনের নামোল্লেখ করে অভিযোগ করা হয়, এরা ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। সংখ্যালঘু নারীদের ধর্ষণ শেষে হত্যা করেছে। বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট করেছে। তাদের অত্যাচারে সংখ্যালঘুদের অনেকে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়েছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, একাত্তরে নানা অপকর্মে জড়িত ওই ব্যক্তির (নামোল্লেখ করা হলো না) নেতৃত্বে বর্তমানে একটি বাহিনী গড়ে উঠেছে, যারা মাদক ব্যবসায় জড়িত। ওই বাহিনী আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দলকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার মেলেনি।
বরিশাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০১০ সালের ৩১ জানুয়ারি একটি মামলা হয়, যা ২০১১ সালের ২৩ জুন আইসিটিতে পাঠানো হয়। মামলায় ৩১ জনের নামোল্লেখ করা হয়, যাদের বয়স ৫৫-৯০ বছর। ঘটনার তারিখ উল্লেখ করা হয় ১৯৭১ সালের ৯ জুলাই। দীর্ঘ বিলম্বের কারণ হিসেবে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার দৃষ্টান্ত উল্লেখ করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, নিহত ব্যক্তি নিজের জমিতে হালচাষ করতে গেলে আসামিরা তাঁকে খুন করে। মামলায় নিহত ব্যক্তিকে মুক্তিযোদ্ধা এবং আসামিদের রাজাকার ও সর্বহারা পার্টির সদস্য বলে উল্লেখ করা হয়।
তদন্ত শেষে আইসিটির তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম ও দ্বিতীয় ঘটনায় মামলা হওয়ার কোনো উপাদান পাওয়া যায়নি। আর তৃতীয় ঘটনার বিষয়ে বলা হয়, অনুসন্ধানের প্রয়োজন নেই। এতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে।
শুধু ওপরের তিনটি ঘটনা নয়। ২০১০ সালের শুরুর দিকে একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হলে সারা দেশ থেকে আইসিটির তদন্ত সংস্থায় এ রকম ৭৭৮টি অভিযোগ আসে। এসব আবেদনে ৪ হাজার ১৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে কিছু অভিযোগ সরাসরি তদন্ত সংস্থায় এসেছে, কিছু থানায় এফআইআরের মাধ্যমে। এ ছাড়া কিছু অভিযোগ করা হয়েছে বিচারিক আদালতে, যা পরে ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।
তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক এম সানাউল হক বলেন, এমন অনেক অভিযোগ এসেছে, যেগুলোয় মামলা করার মতো উপাদান ছিল না। অনেক অভিযোগ এসেছে, যার অভিযুক্ত ব্যক্তি মারা গেছেন। কিছু আছে, ঘটনাই ঘটেনি। আবার কিছু আছে, বাদী ও আসামি কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আইসিটি সূত্র জানায়, যাচাই-বাছাই ও তদন্ত শেষে ১৪৯টি ঘটনায় আইসিটি আইনে মামলা হওয়ার মতো কোনো উপাদানই খুঁজে পায়নি তদন্ত সংস্থা। এসব ঘটনায় ৫৮৯ জনকে আসামি করা হয়।
প্রধান সমন্বয়ক সানাউল হক বলেন, ‘তদন্ত শেষে আমরা ১৪৯টি অভিযোগে মামলা করার মতো কোনো উপাদান পাইনি। ১২ বছর আগে তদন্ত শুরু করেছি। লোকবলের অভাবে একসঙ্গে সব মামলা তদন্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে সত্যিকারের অপরাধী কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি।’
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর তদন্ত সংস্থা থেকে ৭৮টি অভিযোগের তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে রায় হয়েছে ৪২টি মামলার। এতে ৭১ জনের মৃত্যুদণ্ডসহ ১০৩ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে। এখন ট্রাইব্যুনালে আরও ৩৩টি মামলার বিচারকাজ চলছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) তদন্ত সংস্থায় ২০১১ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি একটি অভিযোগ আসে বাগেরহাটের কচুয়ার গজালিয়া গ্রাম থেকে। এতে ৪২ জনের নামোল্লেখ করে অভিযোগ করা হয়, বেশির ভাগ সময় মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি ক্ষমতায় থাকায় কুখ্যাত খুনি, রাজাকার, নারী নির্যাতনকারীদের তালিকা ও বিচারের আবেদন করতে পারিনি। বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি ক্ষমতায় থাকায় এসব রাজাকার ও আলবদরের বিচারের আবেদন করছি।
একইভাবে সাতক্ষীরার আশাশুনির বড়দল ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড থেকে ২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় সরাসরি পাঠানো একটি অভিযোগ আসে যাতে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতার নামসহ স্বাক্ষর রয়েছে। এতে কয়েকজনের নামোল্লেখ করে অভিযোগ করা হয়, এরা ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। সংখ্যালঘু নারীদের ধর্ষণ শেষে হত্যা করেছে। বাড়িঘরে হামলা ও লুটপাট করেছে। তাদের অত্যাচারে সংখ্যালঘুদের অনেকে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়েছেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, একাত্তরে নানা অপকর্মে জড়িত ওই ব্যক্তির (নামোল্লেখ করা হলো না) নেতৃত্বে বর্তমানে একটি বাহিনী গড়ে উঠেছে, যারা মাদক ব্যবসায় জড়িত। ওই বাহিনী আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দলকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার মেলেনি।
বরিশাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২০১০ সালের ৩১ জানুয়ারি একটি মামলা হয়, যা ২০১১ সালের ২৩ জুন আইসিটিতে পাঠানো হয়। মামলায় ৩১ জনের নামোল্লেখ করা হয়, যাদের বয়স ৫৫-৯০ বছর। ঘটনার তারিখ উল্লেখ করা হয় ১৯৭১ সালের ৯ জুলাই। দীর্ঘ বিলম্বের কারণ হিসেবে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার দৃষ্টান্ত উল্লেখ করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, নিহত ব্যক্তি নিজের জমিতে হালচাষ করতে গেলে আসামিরা তাঁকে খুন করে। মামলায় নিহত ব্যক্তিকে মুক্তিযোদ্ধা এবং আসামিদের রাজাকার ও সর্বহারা পার্টির সদস্য বলে উল্লেখ করা হয়।
তদন্ত শেষে আইসিটির তদন্ত সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রথম ও দ্বিতীয় ঘটনায় মামলা হওয়ার কোনো উপাদান পাওয়া যায়নি। আর তৃতীয় ঘটনার বিষয়ে বলা হয়, অনুসন্ধানের প্রয়োজন নেই। এতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধ রয়েছে।
শুধু ওপরের তিনটি ঘটনা নয়। ২০১০ সালের শুরুর দিকে একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার শুরু হলে সারা দেশ থেকে আইসিটির তদন্ত সংস্থায় এ রকম ৭৭৮টি অভিযোগ আসে। এসব আবেদনে ৪ হাজার ১৫০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে কিছু অভিযোগ সরাসরি তদন্ত সংস্থায় এসেছে, কিছু থানায় এফআইআরের মাধ্যমে। এ ছাড়া কিছু অভিযোগ করা হয়েছে বিচারিক আদালতে, যা পরে ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়।
তদন্ত সংস্থার প্রধান সমন্বয়ক এম সানাউল হক বলেন, এমন অনেক অভিযোগ এসেছে, যেগুলোয় মামলা করার মতো উপাদান ছিল না। অনেক অভিযোগ এসেছে, যার অভিযুক্ত ব্যক্তি মারা গেছেন। কিছু আছে, ঘটনাই ঘটেনি। আবার কিছু আছে, বাদী ও আসামি কাউকেই খুঁজে পাওয়া যায়নি।
আইসিটি সূত্র জানায়, যাচাই-বাছাই ও তদন্ত শেষে ১৪৯টি ঘটনায় আইসিটি আইনে মামলা হওয়ার মতো কোনো উপাদানই খুঁজে পায়নি তদন্ত সংস্থা। এসব ঘটনায় ৫৮৯ জনকে আসামি করা হয়।
প্রধান সমন্বয়ক সানাউল হক বলেন, ‘তদন্ত শেষে আমরা ১৪৯টি অভিযোগে মামলা করার মতো কোনো উপাদান পাইনি। ১২ বছর আগে তদন্ত শুরু করেছি। লোকবলের অভাবে একসঙ্গে সব মামলা তদন্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে সত্যিকারের অপরাধী কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি।’
মুক্তিযুদ্ধের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে ট্রাইব্যুনাল গঠনের পর তদন্ত সংস্থা থেকে ৭৮টি অভিযোগের তদন্ত শেষে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয়েছে। ট্রাইব্যুনালে রায় হয়েছে ৪২টি মামলার। এতে ৭১ জনের মৃত্যুদণ্ডসহ ১০৩ জনের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে। এখন ট্রাইব্যুনালে আরও ৩৩টি মামলার বিচারকাজ চলছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪