Ajker Patrika

উৎসাহ-উদ্দীপনা, শীর্ষ দুই পদ নিয়ে চলছে আলোচনা

জামালপুর প্রতিনিধি
উৎসাহ-উদ্দীপনা, শীর্ষ দুই পদ নিয়ে চলছে আলোচনা

জামালপুরে প্রায় সাড়ে সাত বছর পর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আগামী সোমবার (২৮ নভেম্বর) সম্মেলনের দিন ধার্য করা হয়েছে। এদিকে সম্মেলন ঘিরে প্রস্তুতি চলছে বেশ জোরেশোরে। নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা গেছে উৎসাহ-উদ্দীপনা। জেলার শীর্ষ দুই পদে কারা আসছেন, তা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন-আলোচনা।

এদিকে নেতা-কর্মীদের অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জামালপুরের সুসংগঠিত এবং শক্তিশালী আওয়ামী লীগকে ধ্বংসের চেষ্টায় নেমেছে দলের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে আঁতাতকারী একটি চক্র। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বিএনপির আন্দোলনকে সামনে রেখে এই সম্মেলন অনেক গুরুত্ব বহন করছে। এ ছাড়া সম্মেলনকে জাতীয়ভাবে তুলে ধরতে ৪ লাখ নেতা-কর্মীর উপস্থিতির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ চৌধুরী।

জানা গেছে, আগামী সোমবার জামালপুর জিলা স্কুল মাঠে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। সম্মেলন সফল করতে জেলার সাতটি উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যেও ব্যস্ততা দেখা গেছে। ইতিমধ্যে প্রতিটি উপজেলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে সম্মেলন ঘিরে। আসন্ন সম্মেলনে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান কমিটির সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক ছাড়াও সম্ভাব্য একাধিক নেতা প্রার্থীর নাম শোনা গেছে।

জেলার কয়েকজন শীর্ষ নেতা-কর্মীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সভাপতি পদে বর্তমান সভাপতি মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ্ একক প্রার্থী। আর সাধারণ সম্পাদক পদে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরীসহ বর্তমান কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ, সাংগঠনিক সম্পাদক আফম জাফর ইকবাল ও সদস্য রেজাউল করীম রেজনুর নাম শোনা যাচ্ছে। তবে মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ ও ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরীর আপাতত বিকল্প নেই বলে মনে করেছেন নেতা-কর্মীরা। কারণ হিসেবে তাঁরা জানান, আগামী নির্বাচন অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আগামী নেতৃত্ব দলের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।

সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদ চৌধুরী বলেন, জামালপুর আওয়ামী লীগ এখন শক্তিশালী সংগঠন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। অতীতে আওয়ামী রাজনীতিতে ভিন্ন মতাদর্শীরা দলে জায়গায় করে নিলেও তাঁরা মুজিব আদর্শকে মানতে পারেননি। তাঁরাই দলের সুদিনে নিজেদের আখের গুছিয়েছেন। এখন তাঁদের ব্যাপারে দল সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে সম্মেলনে। অন্যদিকে সম্মেলন সামনে রেখে মাঠে নেমেছেন জেলার মুক্তিযোদ্ধারা। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার সুজায়েত আলী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গড়া সংগঠন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর মুক্তিযোদ্ধারা ঐক্যবদ্ধ হতে পেরেছেন। জামালপুর জেলার মুক্তিযোদ্ধারা আজ সুসংগঠিত।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের।

সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী। এ ছাড়া উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম প্রমুখ।

এর আগে ২০১৫ সালের ২০ মে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত