ডুমুরিয়া প্রতিনিধি
ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন সারা দেশের কৃষক। এর মধ্যে ডুমুরিয়া উপজেলার বেশির ভাগ আমনখেত নুয়ে পড়েছে। কাটা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। নষ্ট হয়েছে সবজিখেত। অনেক স্থানে বোরোর জন্য তৈরি বীজতলাও ডুবে গেছে। এতে গোটা উপজেলার কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর ডুমুরিয়া উপজেলায় মোট ১৫ হাজার ৬২৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৮ হাজার ১২৫ মেট্রিক টন। কিন্তু এই অসময়ে বৃষ্টির কারণে ৫ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির ধান এখনো মাঠে রয়েছে। বোরো মৌসুমে ১৩০ হেক্টর জমিতে বীজতলা করা হয়েছিল। তার মধ্যে ৫ হেক্টর জমির বীজতলা নষ্ট হয়েছে। ১৩০ হেক্টর জমির সরিষার মধ্যে ৬ হেক্টর ও ২ হাজার ৫ হেক্টর জমির সবজির মধ্যে ১০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সরজমিনে উপজেলার চুকনগর বিল, কুড়ির বিল, মালতিয়ার বিল, কুলবাড়িয়ার বিলসহ কয়েকটি বিলে গিয়ে দেখা গেছে, অনেকের খেতের ধান কাটা অবস্থায় পানির ওপর ভাসছে। অনেকের পাকা ও আধা পাকা ধানের ওপর এক থেকে দেড় হাত পানি উঠে গেছে।
তা ছাড়া শীত মৌসুমে সবজি ও শস্য উৎপাদনের অন্যতম ভান্ডার হিসেবে খ্যাত ডুমুরিয়া উপজেলার চাষিরা ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। উপজেলার পূর্বাঞ্চলের ভবদহ জলাবদ্ধ এলাকার মানুষ এই বৃষ্টিতে বেশি ভোগান্তির শিকার হবে বলে ওই এলাকার কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান।
এ ব্যাপারে কৃষক আবদুল হাই, ইদ্রিস আলী, আবদুল মালেক গাজি, মাসুদ সরদার বলেন, ‘মাছ চাষের পাশাপাশি মৎস্য ঘেরের আইলে শিম চাষ করেছিলাম। ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু অসময়ে বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ শিম গাছ হেলে পড়েছে। শিমও নষ্ট হয়েছে প্রচুর।’
কৃষক রফিকুল ইসলাম গাজি, হেলাল হোসেন, হাফিজুর রহমান বলেন, ‘অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ধানের বাম্পার হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে সব নষ্ট হয়ে গেছে।’ কৃষকদের দাবি পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই এলাকা তলিয়ে যায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ‘দ্রুত বৃষ্টির পানি কমে গেলে ধানের খুব বেশি ক্ষতি হবে না। তবে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার চেষ্টা করব।’
এদিকে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাব উপকূলবর্তী এলাকা ছেড়ে খুলনা অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে এমন আশঙ্কা জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জনসাধারণকে সতর্ক করা হয়েছে।
ঘুর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে ক্ষতির মুখে পড়েছেন সারা দেশের কৃষক। এর মধ্যে ডুমুরিয়া উপজেলার বেশির ভাগ আমনখেত নুয়ে পড়েছে। কাটা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। নষ্ট হয়েছে সবজিখেত। অনেক স্থানে বোরোর জন্য তৈরি বীজতলাও ডুবে গেছে। এতে গোটা উপজেলার কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর ডুমুরিয়া উপজেলায় মোট ১৫ হাজার ৬২৫ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষ করা হয়েছে। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৭৮ হাজার ১২৫ মেট্রিক টন। কিন্তু এই অসময়ে বৃষ্টির কারণে ৫ হাজার ৫০০ হেক্টর জমির ধান এখনো মাঠে রয়েছে। বোরো মৌসুমে ১৩০ হেক্টর জমিতে বীজতলা করা হয়েছিল। তার মধ্যে ৫ হেক্টর জমির বীজতলা নষ্ট হয়েছে। ১৩০ হেক্টর জমির সরিষার মধ্যে ৬ হেক্টর ও ২ হাজার ৫ হেক্টর জমির সবজির মধ্যে ১০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সরজমিনে উপজেলার চুকনগর বিল, কুড়ির বিল, মালতিয়ার বিল, কুলবাড়িয়ার বিলসহ কয়েকটি বিলে গিয়ে দেখা গেছে, অনেকের খেতের ধান কাটা অবস্থায় পানির ওপর ভাসছে। অনেকের পাকা ও আধা পাকা ধানের ওপর এক থেকে দেড় হাত পানি উঠে গেছে।
তা ছাড়া শীত মৌসুমে সবজি ও শস্য উৎপাদনের অন্যতম ভান্ডার হিসেবে খ্যাত ডুমুরিয়া উপজেলার চাষিরা ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। উপজেলার পূর্বাঞ্চলের ভবদহ জলাবদ্ধ এলাকার মানুষ এই বৃষ্টিতে বেশি ভোগান্তির শিকার হবে বলে ওই এলাকার কয়েকজন ভুক্তভোগী জানান।
এ ব্যাপারে কৃষক আবদুল হাই, ইদ্রিস আলী, আবদুল মালেক গাজি, মাসুদ সরদার বলেন, ‘মাছ চাষের পাশাপাশি মৎস্য ঘেরের আইলে শিম চাষ করেছিলাম। ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু অসময়ে বৃষ্টির কারণে অধিকাংশ শিম গাছ হেলে পড়েছে। শিমও নষ্ট হয়েছে প্রচুর।’
কৃষক রফিকুল ইসলাম গাজি, হেলাল হোসেন, হাফিজুর রহমান বলেন, ‘অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর ধানের বাম্পার হয়েছে। কিন্তু বৃষ্টির কারণে সব নষ্ট হয়ে গেছে।’ কৃষকদের দাবি পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই এলাকা তলিয়ে যায়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ‘দ্রুত বৃষ্টির পানি কমে গেলে ধানের খুব বেশি ক্ষতি হবে না। তবে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা তৈরি করে সরকারিভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার চেষ্টা করব।’
এদিকে ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাব উপকূলবর্তী এলাকা ছেড়ে খুলনা অঞ্চলে আঘাত হানতে পারে এমন আশঙ্কা জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে জনসাধারণকে সতর্ক করা হয়েছে।
সৈয়দ মুজতবা আলীর ‘দেশে বিদেশে’ বইয়ের হরফুন মৌলা বা সকল কাজের কাজী আবদুর রহমানের বলা একটি বাক্য—‘ইনহাস্ত ওয়াতানাম’—‘এই আমার জন্মভূমি’। সে কথা বলার সময় আফগানি আবদুর রহমানের চোখেমুখে যে অম্লান দ্যুতি ছড়িয়ে পড়েছিল, সে কথা দিব্যি অনুভব করে নেওয়া যায়...
৬ ঘণ্টা আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৭ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪