মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
পয়লা বৈশাখ ও সাপ্তাহিক ছুটির তিন দিনে পর্যটকসমাগমের আশা করেছিলেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এবারের নববর্ষ বরণের ছুটিতে পর্যটননগরী কক্সবাজারে পর্যটকের সংখ্যা কম। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পবিত্র রমজান ও অতিরিক্ত গরমের কারণে পর্যটক কমেছে। এতে বেশির ভাগ হোটেল-মোটেল বুকিং নেই। সৈকতও একেবারে ফাঁকা।
কক্সবাজার শহরের সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট। এই স্থানে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি পর্যটকের সমাগম হয়। গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ফুল ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন সৈকতের বালিয়াড়িতে দাঁড়িয়ে এক হাতে রঙিন ফুল এবং আরেক হাতে মোবাইলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কাটছে তাঁর সময়।
জসিম উদ্দিন জানান, সকাল থেকে ৩০০ টাকার মতো বেচাবিক্রি হয়েছে। পর্যটক নেই। স্থানীয় কিছু আদিবাসী তরুণ-তরুণী ঘুরতে এসেছেন। তাঁদের কাছেই ফুলগুলো বেচতে পেরেছি।
এই সৈকতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে হাজারখানেক পর্যটক। কেউ নোনাজলে গোসল করছেন, কেউ ওয়াটার বাইকে চড়ছেন। ঢাকা থেকে আসা এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। ফাঁকা সৈকত। বেশ আনন্দ পাচ্ছেন তিনি। তবে নববর্ষ উপলক্ষে কোনো আয়োজন দেখতে না পেয়ে মেয়ে অবাক হয়েছে বলে জানান তিনি।
পাঁচ-ছয়টি ঘোড়া এদিক-ওদিক ঘুরছে। ঘোড়াগুলোর মালিকেরা পর্যটকদের পিঠে চড়িয়ে আনন্দ দেন। এতে যে বকশিশ পান, তা দিয়ে ঘোড়ার খাবার জোগাড়ের পাশাপাশি মালিকের সংসারও চলে। ঘোড়ার মালিকের কাছে চুক্তিতে থাকে আরমান নামের এক কিশোর। সে জানায়, রোজার শুরু থেকে সৈকতে ঘোরাঘুরি করে সময় কাটছে। কিন্তু পর্যটক না থাকায় রোজগার নেই।
পয়লা বৈশাখ মানে সমুদ্রসৈকতে অন্য রকম আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন পর্যটকেরা। কোথাও তিল পরিমাণ ঠাঁই থাকত না। কিন্তু এই প্রথম সুনসান নীরবতায় বর্ষবরণ হলো কক্সবাজার সৈকতে। এর দু-একটি পয়েন্টে স্থানীয় কিছু পর্যটক দেখা গেলেও দেশের অন্য জেলা থেকে পর্যটক আসেননি বললেই চলে। তবে ঈদে বিপুলসংখ্যক পর্যটক আসবেন বলে আশাবাদী পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
কলাতলীর একটি হোটেলের মালিক মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘পর্যটকের অভাবে অধিকাংশ হোটেল, মোটেল, কটেজ ও রেস্তোরাঁর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। বেশির ভাগ হোটেল বুকিংশূন্য।
সরেজমিনে সুগন্ধা পয়েন্ট, লাবণী ও কলাতলীতে দেখা গেছে, পর্যটকনির্ভর শামুক, ঝিনুক, শুঁটকিসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্যের দোকানপাটও বন্ধ। সৈকতের বালিয়াড়িতে চেয়ার-ছাতা বিছানো থাকলেও খালি পড়ে রয়েছে।
সৈকতের ফটোগ্রাফার মো. নেজাম (২৫) বলেন, ‘পয়লা বৈশাখে সৈকতে লাখো মানুষ ছুটে আসে। কিন্তু এবার রোজার কারণে ব্যতিক্রম দেখা গেছে। যারা এসেছে তারা স্থানীয় পর্যটক। কেউ ছবি তুলতে চায় না। এ রকম নিরানন্দের বৈশাখ আর দেখিনি।’
কক্সবাজার কলাতলী হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এবারের বর্ষবরণ পবিত্র রমজান মাসে হওয়ায় পর্যটক আসেননি। এতে হতাশ হোটেল, মোটেল ব্যবসায়ীরা। অবশ্যই ঈদে বিপুলসংখ্যক পর্যটক আসার সম্ভাবনা রয়েছে।’
পর্যটকদের আরও সেবা ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলার উন্নতি প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘রমজান মাসে পর্যটক একটু কম আসে। কিন্তু এভাবে পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনেও পর্যটকশূন্যতা দেখা দেবে, তা আশা করিনি। তবে ঈদে বিপুল পর্যটক আসবেন বলে আশা করছি। এ জন্য হোটেল, মোটেল, গেস্টহাউস কর্তৃপক্ষ পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এবার পয়লা বৈশাখে পর্যটক আসেননি বললেই চলে। সমুদ্রসৈকতসহ জেলার বিনোদনকেন্দ্রগুলোও ফাঁকা ছিল। তারপরও ট্যুরিস্ট পুলিশ সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের সেবায় প্রস্তুত রয়েছে।’
পয়লা বৈশাখ ও সাপ্তাহিক ছুটির তিন দিনে পর্যটকসমাগমের আশা করেছিলেন পর্যটন ব্যবসায়ীরা। কিন্তু এবারের নববর্ষ বরণের ছুটিতে পর্যটননগরী কক্সবাজারে পর্যটকের সংখ্যা কম। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, পবিত্র রমজান ও অতিরিক্ত গরমের কারণে পর্যটক কমেছে। এতে বেশির ভাগ হোটেল-মোটেল বুকিং নেই। সৈকতও একেবারে ফাঁকা।
কক্সবাজার শহরের সমুদ্রসৈকতের সুগন্ধা পয়েন্ট। এই স্থানে বর্তমানে সবচেয়ে বেশি পর্যটকের সমাগম হয়। গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় ফুল ব্যবসায়ী জসিম উদ্দিন সৈকতের বালিয়াড়িতে দাঁড়িয়ে এক হাতে রঙিন ফুল এবং আরেক হাতে মোবাইলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কাটছে তাঁর সময়।
জসিম উদ্দিন জানান, সকাল থেকে ৩০০ টাকার মতো বেচাবিক্রি হয়েছে। পর্যটক নেই। স্থানীয় কিছু আদিবাসী তরুণ-তরুণী ঘুরতে এসেছেন। তাঁদের কাছেই ফুলগুলো বেচতে পেরেছি।
এই সৈকতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে হাজারখানেক পর্যটক। কেউ নোনাজলে গোসল করছেন, কেউ ওয়াটার বাইকে চড়ছেন। ঢাকা থেকে আসা এক নারী পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মেয়েকে নিয়ে ঘুরতে এসেছেন। ফাঁকা সৈকত। বেশ আনন্দ পাচ্ছেন তিনি। তবে নববর্ষ উপলক্ষে কোনো আয়োজন দেখতে না পেয়ে মেয়ে অবাক হয়েছে বলে জানান তিনি।
পাঁচ-ছয়টি ঘোড়া এদিক-ওদিক ঘুরছে। ঘোড়াগুলোর মালিকেরা পর্যটকদের পিঠে চড়িয়ে আনন্দ দেন। এতে যে বকশিশ পান, তা দিয়ে ঘোড়ার খাবার জোগাড়ের পাশাপাশি মালিকের সংসারও চলে। ঘোড়ার মালিকের কাছে চুক্তিতে থাকে আরমান নামের এক কিশোর। সে জানায়, রোজার শুরু থেকে সৈকতে ঘোরাঘুরি করে সময় কাটছে। কিন্তু পর্যটক না থাকায় রোজগার নেই।
পয়লা বৈশাখ মানে সমুদ্রসৈকতে অন্য রকম আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন পর্যটকেরা। কোথাও তিল পরিমাণ ঠাঁই থাকত না। কিন্তু এই প্রথম সুনসান নীরবতায় বর্ষবরণ হলো কক্সবাজার সৈকতে। এর দু-একটি পয়েন্টে স্থানীয় কিছু পর্যটক দেখা গেলেও দেশের অন্য জেলা থেকে পর্যটক আসেননি বললেই চলে। তবে ঈদে বিপুলসংখ্যক পর্যটক আসবেন বলে আশাবাদী পর্যটনসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
কলাতলীর একটি হোটেলের মালিক মোহাম্মদ সোহেল বলেন, ‘পর্যটকের অভাবে অধিকাংশ হোটেল, মোটেল, কটেজ ও রেস্তোরাঁর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। বেশির ভাগ হোটেল বুকিংশূন্য।
সরেজমিনে সুগন্ধা পয়েন্ট, লাবণী ও কলাতলীতে দেখা গেছে, পর্যটকনির্ভর শামুক, ঝিনুক, শুঁটকিসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্যের দোকানপাটও বন্ধ। সৈকতের বালিয়াড়িতে চেয়ার-ছাতা বিছানো থাকলেও খালি পড়ে রয়েছে।
সৈকতের ফটোগ্রাফার মো. নেজাম (২৫) বলেন, ‘পয়লা বৈশাখে সৈকতে লাখো মানুষ ছুটে আসে। কিন্তু এবার রোজার কারণে ব্যতিক্রম দেখা গেছে। যারা এসেছে তারা স্থানীয় পর্যটক। কেউ ছবি তুলতে চায় না। এ রকম নিরানন্দের বৈশাখ আর দেখিনি।’
কক্সবাজার কলাতলী হোটেল, মোটেল ও রিসোর্ট মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুকিম খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এবারের বর্ষবরণ পবিত্র রমজান মাসে হওয়ায় পর্যটক আসেননি। এতে হতাশ হোটেল, মোটেল ব্যবসায়ীরা। অবশ্যই ঈদে বিপুলসংখ্যক পর্যটক আসার সম্ভাবনা রয়েছে।’
পর্যটকদের আরও সেবা ও সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলার উন্নতি প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্টহাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, ‘রমজান মাসে পর্যটক একটু কম আসে। কিন্তু এভাবে পয়লা বৈশাখ উদ্যাপনেও পর্যটকশূন্যতা দেখা দেবে, তা আশা করিনি। তবে ঈদে বিপুল পর্যটক আসবেন বলে আশা করছি। এ জন্য হোটেল, মোটেল, গেস্টহাউস কর্তৃপক্ষ পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’
ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘এবার পয়লা বৈশাখে পর্যটক আসেননি বললেই চলে। সমুদ্রসৈকতসহ জেলার বিনোদনকেন্দ্রগুলোও ফাঁকা ছিল। তারপরও ট্যুরিস্ট পুলিশ সমুদ্রসৈকতে পর্যটকদের সেবায় প্রস্তুত রয়েছে।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪