Ajker Patrika

প্রচারবিধি শুধুই কাগজে মানেন না কোনো প্রার্থী

জগন্নাথপুর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রচারবিধি শুধুই কাগজে মানেন না কোনো প্রার্থী

সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার আগেই প্রচারে মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা।  ১৮ অক্টোবর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার কথা। ২ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন।

নির্বাচনের বিধিমতে, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রচার শুরু করতে হবে। এর আগে প্রচার চালানো যাবে না। কিন্তু জগন্নাথপুরে এই বিধি মানা হচ্ছে না। তফসিল ঘোষণার পর থেকেই প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচার শুরু করেছেন। এ যেন প্রচারবিধি না মানার প্রতিযোগিতায় মেতেছেন প্রার্থীরা।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন প্রার্থী রয়েছেন। তাঁরা হলেন উপজেলা পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী আতাউর রহমান, আওয়ামী লীগের প্রার্থী আকমল হোসেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী মুক্তাদীর আহমদ মুক্তা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী যুক্তরাজ্যপ্রবাসী আব্বাস চৌধুরী লিটন। এ ছাড়া ভাইস চেয়ারম্যান পদে পাঁচজন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থী রয়েছেন।

এলাকাবাসী ও নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, মেয়াদপূর্তিতে গত ৬ জুন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম তফসিল ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ২৭ জুলাই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও বন্যার কারণে স্থগিত করা হয়। গত ২০ সেপ্টেম্বর পুনরায় তফসিল ঘোষণা করে ২ নভেম্বর ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়।

তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তোড়জোড় শুরু হয় সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে। গত ৬ অক্টোবর মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষেই প্রচারে মাঠে নেমেছেন প্রার্থীরা। ১০ অক্টোবর বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। ১৭ অক্টোবর প্রার্থিতা প্রত্যাহার এবং ১৮ অক্টোবর প্রতীক বরাদ্দের কথা রয়েছে।

নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, প্রতীক বরাদ্দের আগে প্রচার চালানোয় নিষেধাজ্ঞা থাকলেও প্রার্থীরা তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে মাঠে নেমে পড়েছেন। নির্বাচনী নীতিমালার  তোয়াক্কা করছেন না তাঁরা। প্রকাশ্যে বিপুলসংখ্যক লোক নিয়ে প্রচার, গণসংযোগ, সভা, সমাবেশ চালিয়ে যাচ্ছেন প্রার্থীরা। উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট ও সমর্থন চাচ্ছেন। সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত প্রচারে ব্যস্ত তাঁরা।

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে তাঁর সমর্থকেরা নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে প্রচার চালিয়েছেন। এর আগে একই অভিযোগ ওঠে জমিয়াতে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলমের বিরুদ্ধে। তাঁর পক্ষে খেজুরগাছ প্রতীকে ভোট চাওয়া হয়।

এ বিষয়ে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের প্রার্থী সৈয়দ তালহা আলম বলেন, অতি উৎসাহী হয়ে কর্মীরা প্রচার চালিয়েছিল। প্রতীক বরাদ্দের আগে নিষেধ করে দেওয়ার পর আর কেউ প্রচার চালায়নি।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী আকমল হোসেন বলেন, ‘প্রতীক ব্যবহার করে প্রচার চালাতে নিষেধ করেছি।’

সিলেটের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোহাম্মদ শুকুর মাহমুদ মিঞা বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী প্রতীক বরাদ্দের পর প্রচার করতে হবে প্রার্থীদের।

ইতিমধ্যে আচরণবিধি মেনে চলার জন্য আমরা প্রার্থীদের বলে দিয়েছি। এরপরও অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মেঘালয়ে হানিমুনে গিয়ে বর খুন, নিখোঁজ নববধূকে উদ্ধারে নেমেছে ড্রোন

‘তাণ্ডব’ সিনেমার শো চলার সময় ছায়াবাণী হলে দর্শকদের ভাঙচুর, টাকা লুট

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান বিচার ও কিছু প্রশ্ন

রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সেনাপ্রধানের সস্ত্রীক ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময়

ইরান-ইসরায়েলের সম্ভাব্য মুখোমুখি সংঘর্ষের পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত