Ajker Patrika

মিশ্র খামার করে স্বাবলম্বী

মোহাম্মদ উজ্জ্বল, মহম্মদপুর
আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২১, ১২: ১৫
মিশ্র খামার করে স্বাবলম্বী

মো. আলাউদ্দীন ২০১৬ সালে বাড়ির আঙিনায় দুই হাজার মুরগি দিয়ে গড়ে তোলেন একটি খামার। নিজের ৬০ শতক এবং লিজ নেওয়া ২০ শতক জমিতে পাঁচ হাজার বর্গফুটের চারটি ঘর তৈরি করেন। ২০১৯ সালে গড়ে তোলেন বিভিন্ন দেশি-বিদেশি উন্নত জাতের গরুর খামার। ২০২০ সালে শুরু করেন মাছ চাষ। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি আলাউদ্দীনকে। মিশ্র খামার তৈরি করে নিজের সফলতার পাশাপাশি অন্যেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছেন এ যুবক।

মহম্মদপুর উপজেলা বালিদিয়া ইউনিয়নের মৌশা গ্রামের কুটি মিয়া ফকিরের বড় ছেলে আলাউদ্দীন। ২০১০ সালে এসএসসি পাস করে উপজেলা সদরের আমিনুর রহমান কলেজে ভর্তি হন। লেখাপড়া শিখে চাকরি করার ইচ্ছা তাঁর কখনোই ছিল না। আলাউদ্দীনের স্বপ্ন ছিল নিজে কিছু করার। লেখাপড়ার পাশাপাশি ২০১২ সালে মা বস্ত্রালয় নামে গার্মেন্টসের ব্যবসা শুরু করেন। ব্যবসা বাড়াতে মা মোবাইল শোরুমের দোকান দেন। এরপর ধীরে ধীরে মুরগি, গরু ও উন্নত জাতের মাছের খামারসহ তৈরি করেন খামারবাড়ি। এই খামারবাড়ি থেকে অর্থনৈতিকভাবে নিজের সফলতা অর্জনের পাশাপাশি এলাকার পাঁচজন বেকার যুবককে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছেন।

জানা গেছে, আলাউদ্দীনের খামারে রঙিন মাছের মধ্যে রয়েছে গোল্ডফিশ, কমেন্ট, কৈ, কার্প, মলি, সলটেল, গাপ্পি, ফাইটার, এঞ্জেল, জেব্রা ও গডামিসহ বিভিন্ন রং বেরঙের মাছ। আলাউদ্দীনের এই ফার্মের সফলতার পেছনে ছোট দুই ভাই সোহাগ ও সালাহউদ্দীন এবং তাঁর স্ত্রী মুক্তা খাতুন সহযোগিতা করেন। আলাউদ্দীনের এই খামার বাড়ির সাফল্য দেখে এলাকার বেকার যুবকদের অনেকেই খামার তৈরিতে ঝুঁকেছেন।

এ বিষয়ে আলাউদ্দীন বলেন, ‘আমার স্বপ্ন ছিল প্রাইভেট ফার্ম গড়ে তোলার। প্রাইভেট ফার্ম তৈরি করে নিজের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি অন্যেরও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করব। এ ভাবনা থেকে আমার এই উদ্যোগ। তবে এই কাজে অনেক টাকার প্রয়োজন, যা আমার পক্ষে ব্যয় করা সম্ভব হচ্ছে না। সরকারি কোনো সহযোগিতা পেলে এলাকার বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পারব।’

উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. শফিউল ইসলাম বলেন, আলাউদ্দীন যুব উন্নয়ন থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে থাকলে তাঁকে ঋণ দেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত