Ajker Patrika

মাধ্যমিকের হাজারো পাঠ্য বই মিলল কৃষকের ঘরে

রায়পুরা (নরসিংদী) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৪ জুন ২০২২, ১৫: ৩১
মাধ্যমিকের হাজারো পাঠ্য বই মিলল কৃষকের ঘরে

নরসিংদীর রায়পুরায় বকুল মিয়া (৫৫) নামের এক কৃষকের ঘরে বাঁধা অবস্থায় চলতি শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক শ্রেণির হাজারেরও বেশি পাঠ্যপুস্তক পাওয়া গেছে। পাঠ্যপুস্তকগুলো চারাবাগ আইডিয়াল হাইস্কুল নামের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের। বকুল মিয়া মরজালের চারাবাগ এলাকার বাসিন্দা। স্কুলটির পেছনেই তাঁর বাড়ি। স্থানীয়দের ধারণা, বিদ্যালয়টির একটি অসাধু চক্র বইগুলো চুরি করে অবৈধভাবে বিক্রির জন্য লুকিয়ে রেখেছিল। জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস বলছে, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি নিয়ে সরেজমিন তদন্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় বলছে, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাদের মাধ্যমে প্রতিটি বিদ্যালয়ে কত বই লাগবে, তার চাহিদা নিরূপণ করা হয়। তবে চাহিদাপত্রে আগের বছরের তুলনায় ৫ শতাংশ বই বেশি চাহিদা দেওয়া হয়। প্রতিবছরের নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়ে বই জেলা শিক্ষা অফিসে আসে। এরপর চাহিদা অনুযায়ী বই বিতরণ শুরু হয় এবং শর্ত থাকে যে, উদ্বৃত্ত বই অন্যান্য বিদ্যালয়ের মধ্যে সমন্বয় করতে হবে। একটি রেজিস্টার মেইনটেইন করতে হবে, সেখানে শিক্ষার্থীরা স্বাক্ষর দিয়ে বই সংগ্রহ করবে। ফেব্রুয়ারির পরপরই এসব উদ্বৃত্ত বা অতিরিক্ত বই বিদ্যালয়গুলো থেকে সংগ্রহ করা হয়।

সরেজমিনে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে বকুল মিয়ার বাড়িতে দেখা যায়, একটি ঘরে বিপুল সংখ্যক পাঠ্যপুস্তক বাঁধা অবস্থায় পড়ে আছে। বইগুলো চলতি শিক্ষাবর্ষের মাধ্যমিক শাখার বিভিন্ন শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য ছাপানো হয়েছিল।

এত পাঠ্যপুস্তক আপনি কোথায় পেলেন জানতে চাইলে বকুল মিয়া বলেন, ‘পাঠ্যপুস্তকগুলো চারাবাগ আইডিয়াল হাইস্কুলের। প্রায় দুই মাস আগে স্কুলটির দপ্তরি জাহাঙ্গীর মিয়া আমার বাড়িতে এগুলো রেখে যান। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলায় বইগুলো রাখতে দিয়েছি। এরপর থেকে আর বইগুলো নেওয়ার নাম নেই তাঁদের। এ ছাড়া বইগুলো কেন আমার এখানে রাখা হয়েছে, এই বিষয়েও আমি কিছু জানি না।’

গত বৃহস্পতিবার বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা যায়, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন ট্রেনিংয়ের কারণে জেলার বাইরে আছেন। এই বিষয়ে জানতে কয়েক দফা শিক্ষক জাকির হোসেনের মোবাইলে ফোনে কল করা হয়। কিন্তু ফোন না ধরায় তাঁর মন্তব্য জানা যায়নি। এ ছাড়া দপ্তরি জাহাঙ্গীরকেও স্কুলে পাওয়া যায়নি। তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।

বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য জামাল উদ্দিন বলেন, ‘এই বিষয়ে কমিটির সবাই অবগত আছেন। বিদ্যালয়ে রাখার স্থান না থাকায় বইগুলো ওই বাড়িতে রেখেছে।’

জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গৌতম চন্দ্র মিত্র বলেন, ‘ইতিমধ্যে রায়পুরা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করার নির্দেশ দিয়েছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পদত্যাগ করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী আমিনুল ইসলাম

পাগল বেশে রাস্তায় মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা কন্টেন্ট ক্রিয়েটর সম্পর্কে যা জানা গেল

প্রধান উপদেষ্টার নতুন বিশেষ সহকারী কে এই আনিসুজ্জামান চৌধুরী

সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে জাতিসংঘের ফলকার তুর্কের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানাল আইএসপিআর

হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত