Ajker Patrika

পাহাড়ে হঠাৎ বৃষ্টিতে দুশ্চিন্তায় আলুচাষিরা

মানিকছড়ি (খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ১২: ৪১
পাহাড়ে হঠাৎ বৃষ্টিতে দুশ্চিন্তায় আলুচাষিরা

পাহাড়ে হাড় কাঁপানো শীতের মধ্যে হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হয়েছে। গত শুক্রবার রাত থেকে বজ্রপাতসহ হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টি শুরু হয়। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন খাগড়াছড়ির মানিকছড়ির প্রান্তিক আলু চাষিরা। উপজেলায় প্রায় ১০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে বলে জানা গেছে।

কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, হালদা নদীর পাড় গোরখানা, তুলাবিল, বড়বিল, ছদুরখীল, কালাপানি, ডাইনছড়ি, বাটনাতলী, মাস্টারঘাটা, যোগ্যাছোলা, ফকিরটিলা, সাপমারা, তিনটহরী মধ্যম ও নামারপাড়া, গোদারপাড়, ধর্মঘর, গচ্ছাবিল, উত্তর ডলু, এয়াতলংপাড়ায় শতাধিক প্রান্তিক কৃষক ১০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষ করেছেন।

আলু চাষ করা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ কৃষকের খেতে আলু পরিপক্ব হয়ে গেছে। তাঁরা ১৫ দিন ধরে আলু বাজারজাত শুরু করেছেন। প্রতি কেজি আলু প্রথম অবস্থায় কেজি ২০ টাকা দরে বিক্রি হলেও গতকাল উপজেলার সাপ্তাহিক হাটে প্রতি কেজি আলু বিক্রি হয়েছে ১৫ টাকায়। এ ছাড়া প্রায় ৬০ শতাংশ কৃষকের খেতে এখনো আলু পরিপক্ব হয়নি। এ সময়ে আকাশ মাতিয়ে জনপদে বৃষ্টি নামায় কৃষকেরা দুশ্চিন্তা পড়েছেন।

এদিকে গতকাল শনিবার সকাল থেকে হালদার উজানে গোরখানা, তুলাবিল ও কালাপানি এলাকায় আলু খেতে জমে থাকা পানি দ্রুত নিষ্কাশন করেছে কৃষকেরা।

গোরখানার প্রান্তিক কৃষক মো. সাইফুল ইসলাম ও মো. চাঁন মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, হালদার পাড়ে তামাক চাষ ছেড়ে তাঁরা আলু চাষ করছেন। খেতে ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ বৃষ্টিতে খেতে পানি জমে গেছে। সকালে লোকজন নিয়ে জমা পানি সরিয়ে দিচ্ছেন। নয়তো আলুতে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হতে পারে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হাসিনুর রহমান বলেন, ‘রবিশস্য আলু এখন মোটামুটি পরিপক্ব হয়ে গেছে। এই বৃষ্টির পানি খেতে জমে না থাকলে আলুর ক্ষতি হবে না। তবে কোনোক্রমেই জমিতে পানি জমে থাকা চলবে না। গাছের গোড়া হেলে যেতে পারে। তাতে গাছ মরে যাওয়ার উপক্রম হলে আলু তুলে নিতে হবে। সামান্য বৃষ্টি নিয়ে কৃষকের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত