নেত্রকোনা প্রতিনিধি
পানি সংকটের কারণে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার ডিঙ্গাপোতা হাওরে বোরো ধানের আবাদ ব্যাহত হচ্ছে। কৃষকেরা জানিয়েছেন কোথাও কোথাও জমির মাটি ফেটে চৌচির হয়েছে। শুকিয়ে মরে যাচ্ছে ধানের চারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে বলা হয়েছে, রোপণ থেকে শুরু করে ধান পরিপক্ব হওয়া পর্যন্ত বোরো জমিতে পানি থাকতে হয়। এ সময় খেতে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় ধানখেতে পোকা-মাকড়ও বেড়েছে। সেচের জন্য হাওরের অভ্যন্তরে আলাদা চ্যানেল তৈরি করা প্রয়োজন।
জানা গেছে, জেলার ১০টি উপজেলায় ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮২৮ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ডিঙ্গাপোতা হাওরে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। ধানের বীজ রোপণ করা হয়েছে পৌষ মাসের শেষ থেকে মাঘ মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত। হাওরের নিচু এলাকার ধান চৈত্র মাসের শেষের দিকে এবং তুলনামূলক উঁচু এলাকার ধান বৈশাখের প্রথম দিকে কাটা শুরু হবে।
উপজেলার সুয়াইর ইউনিয়নের করাচাপুর গ্রামের কৃষক সেলিম মিয়া বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার বৃষ্টিপাত কম। চৈত্র মাস চললেও এখনো বৃষ্টির দেখা নেই। সেচের মাধ্যমেও পানি উঠছে না। ফলে কারও কারও জমি শুকিয়ে ফেটে যাচ্ছে পানির অভাবে। একই গ্রামের হারেছ মিয়া বলেন, ‘এবছর জমিতে পানি কম থাকায় ধানের ভালো ফলন নিয়ে শঙ্কায় আছি। জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না থাকলে ফসল ভালো হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
ভাটিয়া গ্রামের কৃষক সুধীর সরকার বলেন, ‘সেচ মেশিন দিয়েও পানি দেওয়া যাচ্ছে না। পানি কম থাকায় সার ও কীটনাশক বেশি লাগছে। এতে করে বোরো আবাদের খরচ অনেক বেড়ে গেছে।
মেন্দিপুর গ্রামের কৃষক হুসেন আলী জানান, জমি শুকিয়ে গেছে। সেচের মাধ্যমেও পানি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করলেও বৃষ্টির কোনো দেখা নেই।’
ভল্লবপুর গ্রামের কৃষক রঞ্জু সরকার বলেন, ‘জমিতে পানি না থাকায় ইঁদুরে ধানের চারা কাটছে। অন্যদিকে, জমির চারা গাছ লাল রং ধারণ করায় সার ও কীটনাশক দিতে হচ্ছে। অথচ গত বছর এ সমস্যা ছিল না। তিনি হাওরের অভ্যন্তরে জলাধারের সংস্কার ও নাব্য বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।’
নারাই গ্রামের কৃষক বিজন সরকার বলেন, ‘যাদের হাতে টাকা-পয়সা আছে, তারা ছোট ছোট মেশিন কিনে জমিতে সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। আর গরিব কৃষকদের মেশিন কেনার সামর্থ্য নেই, তাই তাদের জমি রক্ষার ব্যবস্থাও নেই।’
সুয়াইর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সেবক চন্দ্র সরকার বলেন, ‘হাওরের কৃষিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। শুধু বাঁধ ভর্তুকি দিয়ে কৃষক ও কৃষিকে বাঁচানো যাবে না’।
সুয়াইর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম মিয়া বলেন, ‘আগাম বন্যার হাত থেকে হাওরের ধান রক্ষার জন্য নদী খনন করছে। অনেকগুলো নদী একসঙ্গে খনন করায় পানি দ্রুত নেমে গেছে। কৃষক কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের জমি শুকিয়েছে। এ সমস্যা নিরসনে হাওরে স্থায়ীভাবে পানি রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া, হাওরের অভ্যন্তরে খাল ও নালা তৈরি করে দিতে হবে, যাতে কৃষকেরা জমিতে সেচ মেশিন দিয়ে হলেও পানি দিতে পারেন।
নেত্রকোনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এফ এম মোবারক আলী বলেন, ডিঙ্গাপোতা হাওরে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি ধান চাষ হয়েছে। এসব জমিতে রোপণ থেকে শুরু করে ধানের চারা পরিপক্ব হওয়ার সময় পর্যন্ত পানি থাকতে হয়। এ সময় পর্যাপ্ত পানি না থাকলে জমিতে পোকা-মাকড়ের উৎপাতসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। এ জন্য হাওরের অভ্যন্তরে সেচের জন্য আলাদা চ্যানেল তৈরি করা প্রয়োজন। যেগুলো দিয়ে রোপণ মৌসুমে জমিতে সেচ দেবেন কৃষকেরা।
পানি সংকটের কারণে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার ডিঙ্গাপোতা হাওরে বোরো ধানের আবাদ ব্যাহত হচ্ছে। কৃষকেরা জানিয়েছেন কোথাও কোথাও জমির মাটি ফেটে চৌচির হয়েছে। শুকিয়ে মরে যাচ্ছে ধানের চারা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে বলা হয়েছে, রোপণ থেকে শুরু করে ধান পরিপক্ব হওয়া পর্যন্ত বোরো জমিতে পানি থাকতে হয়। এ সময় খেতে পর্যাপ্ত পানি না থাকায় ধানখেতে পোকা-মাকড়ও বেড়েছে। সেচের জন্য হাওরের অভ্যন্তরে আলাদা চ্যানেল তৈরি করা প্রয়োজন।
জানা গেছে, জেলার ১০টি উপজেলায় ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮২৮ হেক্টর জমিতে ধান চাষ হয়েছে। এর মধ্যে ডিঙ্গাপোতা হাওরে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে ধান চাষ করা হয়েছে। ধানের বীজ রোপণ করা হয়েছে পৌষ মাসের শেষ থেকে মাঘ মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত। হাওরের নিচু এলাকার ধান চৈত্র মাসের শেষের দিকে এবং তুলনামূলক উঁচু এলাকার ধান বৈশাখের প্রথম দিকে কাটা শুরু হবে।
উপজেলার সুয়াইর ইউনিয়নের করাচাপুর গ্রামের কৃষক সেলিম মিয়া বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার বৃষ্টিপাত কম। চৈত্র মাস চললেও এখনো বৃষ্টির দেখা নেই। সেচের মাধ্যমেও পানি উঠছে না। ফলে কারও কারও জমি শুকিয়ে ফেটে যাচ্ছে পানির অভাবে। একই গ্রামের হারেছ মিয়া বলেন, ‘এবছর জমিতে পানি কম থাকায় ধানের ভালো ফলন নিয়ে শঙ্কায় আছি। জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না থাকলে ফসল ভালো হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
ভাটিয়া গ্রামের কৃষক সুধীর সরকার বলেন, ‘সেচ মেশিন দিয়েও পানি দেওয়া যাচ্ছে না। পানি কম থাকায় সার ও কীটনাশক বেশি লাগছে। এতে করে বোরো আবাদের খরচ অনেক বেড়ে গেছে।
মেন্দিপুর গ্রামের কৃষক হুসেন আলী জানান, জমি শুকিয়ে গেছে। সেচের মাধ্যমেও পানি দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করলেও বৃষ্টির কোনো দেখা নেই।’
ভল্লবপুর গ্রামের কৃষক রঞ্জু সরকার বলেন, ‘জমিতে পানি না থাকায় ইঁদুরে ধানের চারা কাটছে। অন্যদিকে, জমির চারা গাছ লাল রং ধারণ করায় সার ও কীটনাশক দিতে হচ্ছে। অথচ গত বছর এ সমস্যা ছিল না। তিনি হাওরের অভ্যন্তরে জলাধারের সংস্কার ও নাব্য বাড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।’
নারাই গ্রামের কৃষক বিজন সরকার বলেন, ‘যাদের হাতে টাকা-পয়সা আছে, তারা ছোট ছোট মেশিন কিনে জমিতে সেচ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। আর গরিব কৃষকদের মেশিন কেনার সামর্থ্য নেই, তাই তাদের জমি রক্ষার ব্যবস্থাও নেই।’
সুয়াইর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সেবক চন্দ্র সরকার বলেন, ‘হাওরের কৃষিকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য টেকসই ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। শুধু বাঁধ ভর্তুকি দিয়ে কৃষক ও কৃষিকে বাঁচানো যাবে না’।
সুয়াইর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. সেলিম মিয়া বলেন, ‘আগাম বন্যার হাত থেকে হাওরের ধান রক্ষার জন্য নদী খনন করছে। অনেকগুলো নদী একসঙ্গে খনন করায় পানি দ্রুত নেমে গেছে। কৃষক কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাদের জমি শুকিয়েছে। এ সমস্যা নিরসনে হাওরে স্থায়ীভাবে পানি রাখার ব্যবস্থা করতে হবে। এ ছাড়া, হাওরের অভ্যন্তরে খাল ও নালা তৈরি করে দিতে হবে, যাতে কৃষকেরা জমিতে সেচ মেশিন দিয়ে হলেও পানি দিতে পারেন।
নেত্রকোনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক এফ এম মোবারক আলী বলেন, ডিঙ্গাপোতা হাওরে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে ইরি ধান চাষ হয়েছে। এসব জমিতে রোপণ থেকে শুরু করে ধানের চারা পরিপক্ব হওয়ার সময় পর্যন্ত পানি থাকতে হয়। এ সময় পর্যাপ্ত পানি না থাকলে জমিতে পোকা-মাকড়ের উৎপাতসহ নানা সমস্যা দেখা দেয়। এ জন্য হাওরের অভ্যন্তরে সেচের জন্য আলাদা চ্যানেল তৈরি করা প্রয়োজন। যেগুলো দিয়ে রোপণ মৌসুমে জমিতে সেচ দেবেন কৃষকেরা।
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
৬ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫