রুদ্র রুহান, বরগুনা
বরগুনা সদর হাসপাতালে রোগ নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র নেই। যেগুলো আছে সেগুলো চালানোর মতো দক্ষ লোকবলের অভাব রয়েছে। এ কারণে এসব যন্ত্র বছরের পর বছর অচল হয়ে পড়ে আছে। ফলে রোগীদের চিকিৎসা-সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বেসরকারি পরীক্ষাগারে যেতে হয়।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের সরবরাহ করা তথ্যমতে, ১০০ শয্যার বরগুনা সদর হাসপাতালে মোট ১৮ ধরনের চিকিৎসাযন্ত্র থাকার কথা। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ ধরনের যন্ত্রই নেই। বাকি ১৩ ধরনের যন্ত্রের দক্ষ জনবলের অভাবে অচল হয়ে পড়ে থেকে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
তথ্যমতে, হাসপাতালের চারটি এক্স-রে মেশিনের একটি অচল, পাঁচটি ইসিজি মেশিনের চারটি অচল, দুটি আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনের একটিও সচল নেই। একটি ওটি লাইট (স্পট এমএস) থাকলেও নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। একটি ডায়াথার্মি মেশিন সচল আছে, তিনটি সাকার মেশিনের দুটি সচল, তিনটি অটোক্লেভ মেশিনের দুটি সচল, একটি ডেন্টাল চেয়ার সচল আছে, ২০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার সচল, চারটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর সচল, তিনটি নেবুলাইজার মেশিনের দুটি সচল ও একটি অক্সিজেন জেনারেটর সচল আছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ ওটি পোর্টেবল লাইট, অ্যানেসথেসিয়া মেশিন, এনজিওগ্রাম, এমআরআই ও সিটিস্ক্যান মেশিন নেই।
হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের প্রধান সুভাষ চন্দ্র বলেন, ‘মূলত ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে যেসব চিকিৎসা যন্ত্রপাতি থাকার কথা আমাদের এখানে তার অনেক যন্ত্রই নেই। যা আছে তাও দক্ষ জনবল না থাকায় বছরের পর বছর পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। এর ফলে রোগীরা এসব যন্ত্রের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’
বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচরের আফজাল হোসেন নামের এক রোগী বলেন, ‘ডিসেম্বর মাসে আমি বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলাম এবং সেখানে বেশ কয়েক দিন ভর্তি ছিলাম। আমার একটি আলট্রাসনোগ্রামের জন্য জেনারেল হাসপাতালের সেবিকারা প্রাইভেট প্যাথলজিতে যেতে বলেছিলেন। পরে আমি বাইরে গিয়ে সেই আলট্রাসনোগ্রাম করে আসি।’
একই ধরনের কথা বলেন বরগুনা সদরের এম বালিয়াতলীর খাদিজা বেগম। তিনি বলেন, এখানে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয় না। রোগীদের কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাইরের প্যাথলজি দেখিয়ে দেয় এবং সেখানে গিয়ে আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আসি।’
অর্থোপেডিকস বিভাগে চিকিৎসাধীন সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘এখানে তিনটি এক্স-রে মেশিন রয়েছে, এ তথ্য আমাদের জানা নেই। আমি বাইরে থেকে এক্স-রে করিয়ে এনেছি।’
সাইফুলের অভিযোগ, বাইরের বেশ কিছু প্যাথলজির লোক বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের ভেতরে কাজ করেন। তাদের কাজ পরীক্ষার প্রয়োজন হলে নার্সদের দিয়ে তাদের ওই প্যাথলজির নামে লিখিয়ে নেওয়া।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক তাজকিয়া সিদ্দিকাহ বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে আমরা সংকটে ভুগছি। একদিকে চিকিৎসক সংকট অন্যদিকে টেকনিশিয়ান সংকট। যে কারণে যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও আমরা সেবা দিতে পারছি না। তবে এখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয় না—এমন অভিযোগ সত্য নয়। আমাদের যেসব যন্ত্রের লোকবল রয়েছে সেসব পরীক্ষা এখানেই হয়। মূলত লোকবল নিয়োগ না করা হলে এই সমস্যার সমাধান অসম্ভব।’
বরগুনা সদর হাসপাতালে রোগ নির্ণয়ের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্র নেই। যেগুলো আছে সেগুলো চালানোর মতো দক্ষ লোকবলের অভাব রয়েছে। এ কারণে এসব যন্ত্র বছরের পর বছর অচল হয়ে পড়ে আছে। ফলে রোগীদের চিকিৎসা-সংক্রান্ত পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য বেসরকারি পরীক্ষাগারে যেতে হয়।
বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের সরবরাহ করা তথ্যমতে, ১০০ শয্যার বরগুনা সদর হাসপাতালে মোট ১৮ ধরনের চিকিৎসাযন্ত্র থাকার কথা। এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ ধরনের যন্ত্রই নেই। বাকি ১৩ ধরনের যন্ত্রের দক্ষ জনবলের অভাবে অচল হয়ে পড়ে থেকে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
তথ্যমতে, হাসপাতালের চারটি এক্স-রে মেশিনের একটি অচল, পাঁচটি ইসিজি মেশিনের চারটি অচল, দুটি আলট্রাসনোগ্রাম মেশিনের একটিও সচল নেই। একটি ওটি লাইট (স্পট এমএস) থাকলেও নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। একটি ডায়াথার্মি মেশিন সচল আছে, তিনটি সাকার মেশিনের দুটি সচল, তিনটি অটোক্লেভ মেশিনের দুটি সচল, একটি ডেন্টাল চেয়ার সচল আছে, ২০০টি অক্সিজেন সিলিন্ডার সচল, চারটি অক্সিজেন কনসেনট্রেটর সচল, তিনটি নেবুলাইজার মেশিনের দুটি সচল ও একটি অক্সিজেন জেনারেটর সচল আছে। তবে গুরুত্বপূর্ণ ওটি পোর্টেবল লাইট, অ্যানেসথেসিয়া মেশিন, এনজিওগ্রাম, এমআরআই ও সিটিস্ক্যান মেশিন নেই।
হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগের প্রধান সুভাষ চন্দ্র বলেন, ‘মূলত ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে যেসব চিকিৎসা যন্ত্রপাতি থাকার কথা আমাদের এখানে তার অনেক যন্ত্রই নেই। যা আছে তাও দক্ষ জনবল না থাকায় বছরের পর বছর পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। এর ফলে রোগীরা এসব যন্ত্রের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।’
বরগুনা সদর উপজেলার বুড়িরচরের আফজাল হোসেন নামের এক রোগী বলেন, ‘ডিসেম্বর মাসে আমি বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েছিলাম এবং সেখানে বেশ কয়েক দিন ভর্তি ছিলাম। আমার একটি আলট্রাসনোগ্রামের জন্য জেনারেল হাসপাতালের সেবিকারা প্রাইভেট প্যাথলজিতে যেতে বলেছিলেন। পরে আমি বাইরে গিয়ে সেই আলট্রাসনোগ্রাম করে আসি।’
একই ধরনের কথা বলেন বরগুনা সদরের এম বালিয়াতলীর খাদিজা বেগম। তিনি বলেন, এখানে কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয় না। রোগীদের কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে হলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাইরের প্যাথলজি দেখিয়ে দেয় এবং সেখানে গিয়ে আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে আসি।’
অর্থোপেডিকস বিভাগে চিকিৎসাধীন সাইফুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘এখানে তিনটি এক্স-রে মেশিন রয়েছে, এ তথ্য আমাদের জানা নেই। আমি বাইরে থেকে এক্স-রে করিয়ে এনেছি।’
সাইফুলের অভিযোগ, বাইরের বেশ কিছু প্যাথলজির লোক বরগুনা জেনারেল হাসপাতালের ভেতরে কাজ করেন। তাদের কাজ পরীক্ষার প্রয়োজন হলে নার্সদের দিয়ে তাদের ওই প্যাথলজির নামে লিখিয়ে নেওয়া।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক তাজকিয়া সিদ্দিকাহ বলেন, ‘বছরের পর বছর ধরে আমরা সংকটে ভুগছি। একদিকে চিকিৎসক সংকট অন্যদিকে টেকনিশিয়ান সংকট। যে কারণে যন্ত্রপাতি থাকা সত্ত্বেও আমরা সেবা দিতে পারছি না। তবে এখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা হয় না—এমন অভিযোগ সত্য নয়। আমাদের যেসব যন্ত্রের লোকবল রয়েছে সেসব পরীক্ষা এখানেই হয়। মূলত লোকবল নিয়োগ না করা হলে এই সমস্যার সমাধান অসম্ভব।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
৩ দিন আগেবিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪