আবির হাকিম, ঢাকা
জীবিকার তাগিদে ২০০১ সালে শেরপুর থেকে রাজধানী ঢাকায় আসেন সাখাওয়াত আলী জুয়েল। ২০ বছর ধরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। থাকেন আজিমপুরে একটি ভাড়া বাসায়। দীর্ঘদিন ঢাকায় থেকেও এখন পর্যন্ত নিজস্ব কোনো বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেননি তিনি। সরকারের বিভিন্ন আবাসন প্রকল্প থাকলেও উচ্চমূল্য এবং ঋণ সহজলভ্য না হওয়ায় জুয়েল আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারেননি বলে জানান।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, রাজধানী ঢাকায় বসবাসকারী প্রায় এক কোটি মানুষের নিজস্ব কোনো বাসস্থান নেই। এই বিপুলসংখ্যক মানুষকে ভাড়া বাসায়, সরকারি বাসায় বা বস্তিতে বসবাস করতে হয়। এর মধ্যে বস্তিবাসী থাকেন সরকারি জায়গায়। এ ছাড়া নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের অধিকাংশেরই নিজস্ব কোনো বাসস্থান নেই।
বিভিন্ন দেশে স্বল্প সুদে সরকার আবাসনের জন্য কম আয়ের মানুষকে ঋণ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশে তা থাকলেও নানা জটিলতার কারণে এ ঋণের সুবিধা নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা পান না। এ কারণে সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা আবাসন পাচ্ছেন না। সরকারের বিভিন্ন আবাসন প্রকল্প থাকলেও এর সুবিধাভোগীরা হলেন সম্পদশালী, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। বাস্তুহারা, দরিদ্র, নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তরা এসব সুবিধা পাচ্ছেন না। তবে বাস্তুহারা মানুষের জন্য রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প। এ অবস্থার মধ্য দিয়েই আজ সোমবার বাংলাদেশসহ বিশ্বে পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব বসতি দিবস’।
২০১৮ সালে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের ১ হাজার বর্গফুটের একটি অ্যাপার্টমেন্ট কেনার জন্য একটি পরিবারের মাসিক আয় ন্যূনতম প্রায় ৯৫ হাজার টাকা হওয়া প্রয়োজন। এ রকম আয় সাধারণত উচ্চবিত্ত এবং উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের ক্ষেত্রেই জোগান দেওয়া সম্ভব।
পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) হিসাবমতে, ঢাকা শহরে মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ উচ্চবিত্ত শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত, অন্যদিকে মধ্যবিত্ত ৪৫ শতাংশ এবং বাকি ৫০ শতাংশ মানুষই নিম্নবিত্ত শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। এর মধ্যে বেশির ভাগ মানুষ আবাসনের চাহিদা পূরণ করে ভাড়া বাসায় আশ্রয় নিয়ে।
এ বিষয়ে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য ফরমাল হাউজিংয়ের ব্যবস্থা রাষ্ট্র করে। কিন্তু বাংলাদেশে এ ধরনের সুযোগ না থাকায় নগর এলাকায় বস্তি তৈরি হয়। এর বাইরে মানুষ যেভাবে থাকে সেগুলোকেও কোয়ালিটি হাউজিং বলা যায় না। এর মূল কারণ হচ্ছে, ভূমির ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই।’ তিনি বলেন, ‘ক্ষেত্রবিশেষে সরকার যা করছে নাগরিকের জন্য তা পর্যাপ্ত নয়। সরকার যদি বেসরকারি খাতে হাউজিংগুলোকে ভূমির ব্যবস্থা করে দিতে পারে তাতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের আবাসন-সংকটের একটা গতি হতে পারে।’
শেল্টেক্ প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ বলেন, ‘কম আয়ের মানুষের আবাসনের জন্য সরকারকে ডেভেলপারদের উৎসাহিত করতে হবে, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের ব্যবস্থা চালু করতে হবে।’
রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট লায়ন শরীফ আলী খান বলেন, ‘আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে কম খরচে আবাসন সরবরাহ করতে পারে, সে ক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।’
এদিকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের বিত্তবান, মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত, এমনকি যাদের কোনো কিছু নেই অর্থাৎ যারা ভাসমান বস্তিবাসী তাদের জন্যও সরকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। একজন লোকও দেশে আবাসহীন থাকবে না।’
জীবিকার তাগিদে ২০০১ সালে শেরপুর থেকে রাজধানী ঢাকায় আসেন সাখাওয়াত আলী জুয়েল। ২০ বছর ধরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি। থাকেন আজিমপুরে একটি ভাড়া বাসায়। দীর্ঘদিন ঢাকায় থেকেও এখন পর্যন্ত নিজস্ব কোনো বাসস্থানের ব্যবস্থা করতে পারেননি তিনি। সরকারের বিভিন্ন আবাসন প্রকল্প থাকলেও উচ্চমূল্য এবং ঋণ সহজলভ্য না হওয়ায় জুয়েল আবাসনের ব্যবস্থা করতে পারেননি বলে জানান।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, রাজধানী ঢাকায় বসবাসকারী প্রায় এক কোটি মানুষের নিজস্ব কোনো বাসস্থান নেই। এই বিপুলসংখ্যক মানুষকে ভাড়া বাসায়, সরকারি বাসায় বা বস্তিতে বসবাস করতে হয়। এর মধ্যে বস্তিবাসী থাকেন সরকারি জায়গায়। এ ছাড়া নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের অধিকাংশেরই নিজস্ব কোনো বাসস্থান নেই।
বিভিন্ন দেশে স্বল্প সুদে সরকার আবাসনের জন্য কম আয়ের মানুষকে ঋণ দিয়ে থাকে। বাংলাদেশে তা থাকলেও নানা জটিলতার কারণে এ ঋণের সুবিধা নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা পান না। এ কারণে সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হলেও নিম্ন ও মধ্যবিত্তরা আবাসন পাচ্ছেন না। সরকারের বিভিন্ন আবাসন প্রকল্প থাকলেও এর সুবিধাভোগীরা হলেন সম্পদশালী, সরকারি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ। বাস্তুহারা, দরিদ্র, নিম্নবিত্ত ও নিম্নমধ্যবিত্তরা এসব সুবিধা পাচ্ছেন না। তবে বাস্তুহারা মানুষের জন্য রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ণ প্রকল্প। এ অবস্থার মধ্য দিয়েই আজ সোমবার বাংলাদেশসহ বিশ্বে পালিত হচ্ছে ‘বিশ্ব বসতি দিবস’।
২০১৮ সালে আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ডেভেলপার প্রতিষ্ঠানের ১ হাজার বর্গফুটের একটি অ্যাপার্টমেন্ট কেনার জন্য একটি পরিবারের মাসিক আয় ন্যূনতম প্রায় ৯৫ হাজার টাকা হওয়া প্রয়োজন। এ রকম আয় সাধারণত উচ্চবিত্ত এবং উচ্চমধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের ক্ষেত্রেই জোগান দেওয়া সম্ভব।
পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) হিসাবমতে, ঢাকা শহরে মাত্র ৫ শতাংশ মানুষ উচ্চবিত্ত শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত, অন্যদিকে মধ্যবিত্ত ৪৫ শতাংশ এবং বাকি ৫০ শতাংশ মানুষই নিম্নবিত্ত শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। এর মধ্যে বেশির ভাগ মানুষ আবাসনের চাহিদা পূরণ করে ভাড়া বাসায় আশ্রয় নিয়ে।
এ বিষয়ে ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ‘নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য ফরমাল হাউজিংয়ের ব্যবস্থা রাষ্ট্র করে। কিন্তু বাংলাদেশে এ ধরনের সুযোগ না থাকায় নগর এলাকায় বস্তি তৈরি হয়। এর বাইরে মানুষ যেভাবে থাকে সেগুলোকেও কোয়ালিটি হাউজিং বলা যায় না। এর মূল কারণ হচ্ছে, ভূমির ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই।’ তিনি বলেন, ‘ক্ষেত্রবিশেষে সরকার যা করছে নাগরিকের জন্য তা পর্যাপ্ত নয়। সরকার যদি বেসরকারি খাতে হাউজিংগুলোকে ভূমির ব্যবস্থা করে দিতে পারে তাতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তদের আবাসন-সংকটের একটা গতি হতে পারে।’
শেল্টেক্ প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদ বলেন, ‘কম আয়ের মানুষের আবাসনের জন্য সরকারকে ডেভেলপারদের উৎসাহিত করতে হবে, সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বের ব্যবস্থা চালু করতে হবে।’
রিহ্যাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট লায়ন শরীফ আলী খান বলেন, ‘আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে কম খরচে আবাসন সরবরাহ করতে পারে, সে ক্ষেত্রে সরকারকে সহযোগিতা করতে হবে।’
এদিকে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেশের বিত্তবান, মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত, এমনকি যাদের কোনো কিছু নেই অর্থাৎ যারা ভাসমান বস্তিবাসী তাদের জন্যও সরকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। একজন লোকও দেশে আবাসহীন থাকবে না।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪