রাজশাহী প্রতিনিধি
রাজশাহী শহরে রোজ বিদ্যুতের যে চাহিদা, তার প্রায় ১০ শতাংশ ব্যবহার হচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশায়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত রিকশা ও অটোরিকশা শহরে চলাচল করছে। এতে বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে বলে অনেকেই মনে করছেন। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ব্যাপারে সজাগ হওয়ার পরামর্শ তাঁদের।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) সূত্রে জানা গেছে, শহরে ছয় আসনবিশিষ্ট অটোরিকশা আছে প্রায় ১০ হাজার। তিন আসনের রিকশার অনুমোদন আছে আরও ছয় হাজারের। শহরে রিকশা ও অটোরিকশার অনুমোদন আছে প্রায় ১৬ হাজারের। অবৈধ রিকশা-অটোরিকশাও রয়েছে। সব মিলে প্রায় ১৯ হাজার রিকশা-অটোরিকশা চলছে। এই যানবাহনগুলো চলছে ব্যাটারিতে। আর ব্যাটারি চার্জ করা হচ্ছে শুধু বিদ্যুতে।
নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেডের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী শহরে বিদ্যুতের চাহিদা রোজই ওঠানামা করে। সর্বোচ্চ চাহিদা হয় ৯০ মেগাওয়াট। আর সর্বনিম্ন ৭০ মেগাওয়াট। এর প্রায় ৯ থেকে ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ যায় রিকশা-অটোরিকশার ব্যাটারি চার্জ দিতে। শহরজুড়ে ব্যক্তিমালিকানায় থাকা গ্যারেজে রিকশা ও অটোরিকশা চার্জ দেওয়া হয়।
একাধিক গ্যারেজ মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একটি অটোরিকশায় ১২ ভোল্টের চারটি ব্যাটারি থাকে। তাহলে মোট ভোল্ট হয় ৪৮। ব্যাটারিগুলো চার্জ হতে সময় লাগে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা। এ সময় প্রয়োজন হয় ১০ থেকে ১২ ইউনিট বিদ্যুৎ। একটি রিকশায় প্রতিদিন প্রয়োজন হয় ৬ থেকে ৮ ইউনিট বিদ্যুৎ। শহরে ১৬ হাজার অটোরিকশা-রিকশা চললেও বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় ১ লাখ ৬০ হাজার ইউনিট বা ৬ দশমিক ৬ মেগাওয়াট। এটি শহরের মোট বিদ্যুতের চাহিদার সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৪৩ ভাগ। আর সর্বনিম্ন ৭ দশমিক ৩৪ ভাগ।
নেসকোর রাজশাহীর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আবদুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, অনেক রিকশা-অটোরিকশায় যাত্রী না থাকলেও শহরে টো টো করে ঘোরে। প্রয়োজনের তুলনায় গাড়ি বেশি হলে তো তা-ই হবে। এত রিকশা-অটোরিকশার প্রয়োজন নেই। এগুলো কম হলে বিদ্যুতের ব্যবহারও কমবে। পাশাপাশি সব রিকশা-অটোরিকশা তখন যাত্রী পাবে। যাত্রীর আশায় তাদের শহরের রাস্তায় রাস্তায় আর ঘুরতে হবে না।
রাজশাহী মহানগর অটোরিকশা মালিক সমিতির সভাপতি শরিফুল ইসলাম সাগর আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন লোডশেডিংয়ের ফলে ব্যাটারি ঠিকমতো চার্জ হতে পারছে না। করোনা ও লকডাউনের কারণে এমনিতেই গাড়ির মালিক ও চালকেরা ক্ষতিগ্রস্ত। এখন আরেক বিপদ দেখা দিয়েছে। ঠিকমতো চার্জ না হলে ব্যাটারিগুলোও দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। অতিরিক্ত রিকশা-অটোরিকশা ও বিদ্যুতের অপচয় নিয়ে তিনি বলেন, কদিন আগে মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে তাঁরা বসেছিলেন। সেদিন চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিও এসেছিলেন। তাঁরা একটা প্রযুক্তি দেখিয়েছেন। ওই প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যাটারি মাসে একবার চার্জ দিলেই হবে। এ প্রযুক্তি আনতে পারলে সমস্যা থাকবে না।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ সরিফুল ইসলাম বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য আমরা হুট করেই রিকশা-অটোরিকশার ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। কারণ, এই যানবাহনগুলোও আমাদের দরকার। অনেকের সংসার চলে এর মাধ্যমে। তবে কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। হয়তো সমাধান হবে।’
রাজশাহী শহরে রোজ বিদ্যুতের যে চাহিদা, তার প্রায় ১০ শতাংশ ব্যবহার হচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশা ও অটোরিকশায়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত রিকশা ও অটোরিকশা শহরে চলাচল করছে। এতে বিদ্যুতের অপচয় হচ্ছে বলে অনেকেই মনে করছেন। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের ব্যাপারে সজাগ হওয়ার পরামর্শ তাঁদের।
রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) সূত্রে জানা গেছে, শহরে ছয় আসনবিশিষ্ট অটোরিকশা আছে প্রায় ১০ হাজার। তিন আসনের রিকশার অনুমোদন আছে আরও ছয় হাজারের। শহরে রিকশা ও অটোরিকশার অনুমোদন আছে প্রায় ১৬ হাজারের। অবৈধ রিকশা-অটোরিকশাও রয়েছে। সব মিলে প্রায় ১৯ হাজার রিকশা-অটোরিকশা চলছে। এই যানবাহনগুলো চলছে ব্যাটারিতে। আর ব্যাটারি চার্জ করা হচ্ছে শুধু বিদ্যুতে।
নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি (নেসকো) লিমিটেডের তথ্য অনুযায়ী, রাজশাহী শহরে বিদ্যুতের চাহিদা রোজই ওঠানামা করে। সর্বোচ্চ চাহিদা হয় ৯০ মেগাওয়াট। আর সর্বনিম্ন ৭০ মেগাওয়াট। এর প্রায় ৯ থেকে ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ যায় রিকশা-অটোরিকশার ব্যাটারি চার্জ দিতে। শহরজুড়ে ব্যক্তিমালিকানায় থাকা গ্যারেজে রিকশা ও অটোরিকশা চার্জ দেওয়া হয়।
একাধিক গ্যারেজ মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একটি অটোরিকশায় ১২ ভোল্টের চারটি ব্যাটারি থাকে। তাহলে মোট ভোল্ট হয় ৪৮। ব্যাটারিগুলো চার্জ হতে সময় লাগে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা। এ সময় প্রয়োজন হয় ১০ থেকে ১২ ইউনিট বিদ্যুৎ। একটি রিকশায় প্রতিদিন প্রয়োজন হয় ৬ থেকে ৮ ইউনিট বিদ্যুৎ। শহরে ১৬ হাজার অটোরিকশা-রিকশা চললেও বিদ্যুতের প্রয়োজন হয় ১ লাখ ৬০ হাজার ইউনিট বা ৬ দশমিক ৬ মেগাওয়াট। এটি শহরের মোট বিদ্যুতের চাহিদার সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৪৩ ভাগ। আর সর্বনিম্ন ৭ দশমিক ৩৪ ভাগ।
নেসকোর রাজশাহীর বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী আবদুর রশিদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, অনেক রিকশা-অটোরিকশায় যাত্রী না থাকলেও শহরে টো টো করে ঘোরে। প্রয়োজনের তুলনায় গাড়ি বেশি হলে তো তা-ই হবে। এত রিকশা-অটোরিকশার প্রয়োজন নেই। এগুলো কম হলে বিদ্যুতের ব্যবহারও কমবে। পাশাপাশি সব রিকশা-অটোরিকশা তখন যাত্রী পাবে। যাত্রীর আশায় তাদের শহরের রাস্তায় রাস্তায় আর ঘুরতে হবে না।
রাজশাহী মহানগর অটোরিকশা মালিক সমিতির সভাপতি শরিফুল ইসলাম সাগর আজকের পত্রিকাকে বলেন, এখন লোডশেডিংয়ের ফলে ব্যাটারি ঠিকমতো চার্জ হতে পারছে না। করোনা ও লকডাউনের কারণে এমনিতেই গাড়ির মালিক ও চালকেরা ক্ষতিগ্রস্ত। এখন আরেক বিপদ দেখা দিয়েছে। ঠিকমতো চার্জ না হলে ব্যাটারিগুলোও দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। অতিরিক্ত রিকশা-অটোরিকশা ও বিদ্যুতের অপচয় নিয়ে তিনি বলেন, কদিন আগে মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটনের সঙ্গে তাঁরা বসেছিলেন। সেদিন চীনের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিও এসেছিলেন। তাঁরা একটা প্রযুক্তি দেখিয়েছেন। ওই প্রযুক্তির মাধ্যমে ব্যাটারি মাসে একবার চার্জ দিলেই হবে। এ প্রযুক্তি আনতে পারলে সমস্যা থাকবে না।
রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-১ সরিফুল ইসলাম বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য আমরা হুট করেই রিকশা-অটোরিকশার ব্যাপারে একটা সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। কারণ, এই যানবাহনগুলোও আমাদের দরকার। অনেকের সংসার চলে এর মাধ্যমে। তবে কীভাবে সমস্যার সমাধান করা যায় তা নিয়ে চিন্তাভাবনা চলছে। হয়তো সমাধান হবে।’
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
৫ দিন আগেপাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
৫ দিন আগেভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
৫ দিন আগেঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫