Ajker Patrika

১ জনকে অব্যাহতি, ১১ জনকে শোকজ

নড়াইল প্রতিনিধি
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২১, ১৫: ৪৪
১ জনকে অব্যাহতি, ১১ জনকে শোকজ

নড়াইল-২ আসনের সাংসদ মাশরাফি বিন মুর্তজা গত শনিবার সকাল ৮টায় আকস্মিক নড়াইল সদর হাসপাতালে যান। সেখানে গিয়ে বিভিন্ন অনিয়ম দেখে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন এবং হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ককে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

এ ঘটনায় ওই দিন বিকেলে সময়মতো হাসপাতালে না আসায় ৮ জন চিকিৎসক ও ২ জন মেডিকেল প্যাথলজিস্টকে এবং অনিয়মের অভিযোগে ডায়েটের দায়িত্বে থাকা ১ জন কর্মচারীকে শোকজ এবং রোগীদের খাবার কম দেওয়ার অভিযোগে আউটসোর্সিংয়ের ১ কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রোগীরা জানান, সাংসদ মাশরাফি গত শনিবার সকালে নড়াইল সদর হাসপাতালে আকস্মিক পরিদর্শনে এসে রোগীরা ঠিকমতো খাদ্য না পাওয়া, সকল রোগীদের ওষুধ না দেওয়া, চিকিৎসক ও মেডিকেল প্যাথলজিষ্টদের সময়মতো হাজির না হওয়া সহ বিভিন্ন অনিয়ম দেখতে পান।

মাশরাফি শিশু ওয়ার্ডে গেলে রোগীরা তার কাছে অভিযোগে জানান, গত শুক্রবার রাতে ১৭ জন রোগীর স্থলে মাত্র ৩ জনকে খাবার দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া চিকিৎসক-নার্সরা ঠিকমতো রোগী দেখেন না ও সেবা করেন না এবং টয়লেট অপরিষ্কার থাকে বলে অভিযোগ করেন।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আসাদ উজ-জামান মুনশি বলেন, গত শনিবার সকাল ৯টার পরে হাসপাতালে আসায় ৮ জন চিকিৎসক ও ২ জন মেডিকেল প্যাথলজিস্টকে শোকজ করা হয়েছে। এ ছাড়া শিশু ওয়ার্ডে গত শুক্রবার রাতে ১৭ জন রোগীর জায়গায় ৩ জনকে খাবার দেওয়ায় ডায়েটের দায়িত্বে থাকা এক কর্মচারীকে শোকজ করা হয়েছে এবং এর সঙ্গে জড়িত অভিযোগে আউটসোর্সিংয়ের ১ কর্মচারীকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সাংসদ মাশরাফি বিন মুর্তজা বলেন, ‘হাসপাতালে গরিব মানুষ আসে দুর-দুরান্ত থেকে। তাঁদের খাবার দেওয়া হয় না, চিকিৎসকেরা ঠিকমতো অফিস করেন না। রোগীরা খাবার-ওষুধ পায় না এটা কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। সে কারণে হাসপাতালের এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিকেলের মধ্যে আমাকে জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলাম।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত