মৃত্যুঞ্জয় রায়
যেকোনো শহর গড়ে তুলতে হলে প্রথমে দরকার হয় তার একটি পরিকল্পনা। ব্রিটিশ শাসনের আগে বলতে গেলে ঢাকা শহরের তেমন কোনো পরিকল্পনা ছিল না। যাতায়াত ও বাণিজ্যের সুবিধার্থে বুড়িগঙ্গা নদীর তীর ঘেঁষে স্বল্প পরিসরে গড়ে উঠেছিল মোগল আমলের ঢাকা। ঢাকা শহরের প্রথম মাস্টার পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছিল ঔপনিবেশিক শাসনামলে, ১৯১৭ সালে।
অধ্যাপক প্যাট্রিক গেদেস ছিলেন সেটির পরিকল্পনাকারী। দ্বিতীয় পরিকল্পনাটি তৈরি হয়েছিল পাকিস্তান আমলে, ১৯৫৬ সালে। পরিকল্পনাকারীরা ছিলেন ইংরেজ মিনোপ্রিও, স্পেনসলি ও ম্যাকফারলেন। কিন্তু এ দুটি পরিকল্পনাতেই ঢাকার বাস্তব অবস্থা, আর্থসামাজিক অবস্থা, সংস্কৃতি ইত্যাদির যথাযথ মিল ছিল না। বিদেশি পরিকল্পনাকারীরা অনেকটা পরিকল্পনা করার জন্যই যেন পরিকল্পনা দুটি প্রণয়ন করেছিলেন, বাস্তবায়নের জন্য নয়; যে কারণে সেসব পরিকল্পনা ঢাকা শহরকে পরিকল্পিত সুন্দর একটি শহরে পরিণত করতে পারেনি, যার প্রমাণ আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ও পরিকল্পনা বিভাগের গবেষকবৃন্দ বায়েজীদ ইসমাইল চৌধুরী, পল জোনস ও পিটার আর্মস্ট্রং এ দুটি পরিকল্পনা নিয়ে গবেষণা করে এগুলোর ব্যর্থতা খুঁজে পেয়েছেন। এরূপ ব্যর্থতা অনেক দেশের রাজধানী শহরের ক্ষেত্রেই দেখা যায়। এরূপ ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠার জন্য শেষে নতুন করে অন্য একটি এলাকা বেছে নিয়ে নতুনভাবে পরিকল্পিত আধুনিক শহর গড়ে তুলতে হয়।
মালয়েশিয়ার পুত্রজায়া এর অন্যতম প্রমাণ। আমাদেরও ষাটের দশকের পর গড়ে উঠেছে পুরান ঢাকা ও নতুন ঢাকা শহর, এখন আবার সেগুলো রেখে আমাদের গড়তে হচ্ছে আধুনিক আরেক শহর—পূর্বাচল। সমস্যাটা হলো, রাজধানী শহর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে দ্রুত মানুষ আসতে থাকে, দ্রুত গড়ে ওঠে রাস্তাঘাট, কলকারখানা ও আবাসিক ভবন, অফিস-আদালত। বিস্তীর্ণ ফাঁকা জায়গা ছাড়া নতুনভাবে কোনো পরিকল্পনাই প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা যায় না।
সেই সুযোগ না থাকায় তাই আমাদের শহরবাসী মানুষকে আপস করতে হয় রাজনীতি, বাণিজ্য ও সামাজিক বিষয়াদির সঙ্গে; পরিকল্পনা হয় শুধু সমন্বয়ের, সংশোধনের বা উন্নীতকরণের। যে কারণে রাস্তা চওড়া হয় না, রাস্তা হয় আঁকাবাঁকা, শহরের ভবনগুলো হয় লম্বা-খাটো, আবাসিক এলাকায় থাকে না পরিকল্পিত কোনো জলাশয় ও নগর উদ্যান, সারা রাস্তা ও মহল্লাজুড়ে কেবল দোকান আর দোকান, রাস্তার ধারে গাছ লাগাব কোথায়? কাকে কে উচ্ছেদ করবে, কোনটা রেখে কোনটা সরাবে? তাই পরিকল্পিত ঢাকা শহরের স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। যতবারই ঢাকা শহরের যত বিস্তারিত পরিকল্পনাই করা হয়, ততবারই যেন পরিকল্পনার ‘পরি’ উড়ে যায়, পড়ে থাকে শুধু ‘কল্পনা’।
ঢাকা শহরের সর্বশেষ পরিকল্পনাটি হলো ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান বা ডিএপি ২০২২-২০৩৫। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকা মহানগরের আয়তন ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার, যার মধ্যে আবাসিক এলাকার জমির পরিমাণ ৭০৩.২২ বর্গকিলোমিটার (মোট আয়তনের ৪১.৩ শতাংশ)। এই পরিকল্পনায় ঢাকা শহরের ভূমি ব্যবহারের ধরনের ওপর ভিত্তি করে আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প, কৃষি, জলাশয়, খোলা জায়গা, নগর, বন ইত্যাদি। এই পরিকল্পনায় সমগ্র এলাকাকে ১০টি জোনে ভাগ করা হয়েছে, যার মধ্যে জলাশয়ের জন্য রাখা হয়েছে ১১.৭ শতাংশ এবং উন্মুক্ত স্থান মাত্র ৩.৬ শতাংশ। এই উন্মুক্ত স্থানেই গড়ে তোলা হবে পার্ক, খেলার মাঠ, নগর, বন ইত্যাদি। সবকিছুর সমন্বয় করে ঢাকাকে বাসযোগ্য পরিবেশবান্ধব একটি সবুজ মহানগরে রূপান্তরিত করতে হলে কিছু বিষয় বিবেচনা করা যেতে পারে। যেমন—
১. ঢাকা শহরে সাধারণত সরকারি বা প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ ছাড়া কেউ গাছ লাগায় না। বরং বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করতে গিয়ে বড় বড় গাছ কেটে ফেলে। ঢাকা শহরে যেহেতু গাছ লাগানোর মতো ফাঁকা জায়গার পরিমাণ কমে যাচ্ছে, গাছ লাগানোর জন্য এখন দ্রুত আধুনিক পদ্ধতিতে জরিপ করে গাছ লাগানোর সম্ভাব্য স্থানগুলো খুঁজে বের করতে হবে। সেই সব স্থানের ধরন ও পরিসর বুঝে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করতে হবে।
২. প্রথমে নজর দিতে হবে আমাদের নগর পার্কগুলোর দিকে। সেগুলোকে একেকটা সবুজ দ্বীপ হিসেবে সাজাতে হবে। পার্কগুলোর নান্দনিকতা ও তরুবৈচিত্র্যের দিকে লক্ষ রেখে পরিকল্পিতভাবে তা গড়ে তুলতে হবে। দেশি গাছপালাকে এ ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিতে হবে। সুন্দর পরিকল্পনা ছাড়া কোনো উদ্যানই মনোরম ও নান্দনিক হয় না, হয় জঙ্গল।
৩. বিভিন্ন খাসজমি ও পতিত জায়গা থাকলে সেখানে কোনো স্থাপনা না করে নগর বন সৃষ্টি করতে হবে।
৪. বড় বড় রাস্তার পাশে ও সড়ক বিভাজকে গাছ লাগানোর ব্যাপারে সতর্কভাবে গাছ নির্বাচন এবং পরিকল্পিতভাবে তা লাগাতে হবে।
৫. প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চত্বরে গাছ লাগানোর সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কী কী গাছ আছে, কোথায় কোথায় গাছ লাগানোর মতো জায়গা আছে, সেখানে কী কী গাছ লাগানো যেতে পারে—এসব বিষয়ে পরিকল্পনা করে গাছ লাগানো শুরু করতে হবে। নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি ও অ্যালামনাইরা এ ক্ষেত্রে পৃষ্ঠপোষকতার জন্য এগিয়ে আসতে পারেন।
৬. নতুন স্থাপনা বা গৃহনির্মাণের আগে তার পরিকল্পনা অনুমোদনের সঙ্গে বাগানের বা গাছপালা লাগানোর পরিকল্পনাও অনুমোদনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৭. ছাদবাগান তৈরির জন্য বিশেষ প্রণোদনামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে কৃষি ও বন অধিদপ্তর, বেসরকারি সংস্থা ছাদবাগানের ওপর প্রকল্প গ্রহণ করতে পারে।
৮. শহরে শুধু গাছ লাগানোই বড় কথা নয়, সেগুলোর পরিচর্যার জন্য আলাদা ব্যবস্থাপনা ও জনবল সিটি করপোরেশন থেকে নিয়োগ দিতে হবে। ব্যক্তিগত বাসভবন ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষ পরিচর্যায় উৎসাহিত ও প্রশিক্ষণ দিতে হবে, এ ব্যাপারে নিয়মিত মনিটরিংয়ের ব্যবস্থাও রাখতে হবে।
৯. ঢাকা শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে পার্ক স্থাপন করতে হবে। বিদ্যমান পার্কগুলোকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে তা ব্যবহারের উপযোগী ও সচল রাখতে হবে।
১০. লন্ডনের মতো আমাদের শহরের গাছ কাটার ব্যাপারেও আইন করে তা কঠোরভাবে পালন করতে হবে। সংরক্ষিত ৫৪ প্রজাতির উদ্ভিদের কেউ কোনো ক্ষতি করলে বা বিনাশ করলে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
মৃত্যুঞ্জয় রায়, কৃষিবিদ ও পরিবেশবিষয়ক লেখক
যেকোনো শহর গড়ে তুলতে হলে প্রথমে দরকার হয় তার একটি পরিকল্পনা। ব্রিটিশ শাসনের আগে বলতে গেলে ঢাকা শহরের তেমন কোনো পরিকল্পনা ছিল না। যাতায়াত ও বাণিজ্যের সুবিধার্থে বুড়িগঙ্গা নদীর তীর ঘেঁষে স্বল্প পরিসরে গড়ে উঠেছিল মোগল আমলের ঢাকা। ঢাকা শহরের প্রথম মাস্টার পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছিল ঔপনিবেশিক শাসনামলে, ১৯১৭ সালে।
অধ্যাপক প্যাট্রিক গেদেস ছিলেন সেটির পরিকল্পনাকারী। দ্বিতীয় পরিকল্পনাটি তৈরি হয়েছিল পাকিস্তান আমলে, ১৯৫৬ সালে। পরিকল্পনাকারীরা ছিলেন ইংরেজ মিনোপ্রিও, স্পেনসলি ও ম্যাকফারলেন। কিন্তু এ দুটি পরিকল্পনাতেই ঢাকার বাস্তব অবস্থা, আর্থসামাজিক অবস্থা, সংস্কৃতি ইত্যাদির যথাযথ মিল ছিল না। বিদেশি পরিকল্পনাকারীরা অনেকটা পরিকল্পনা করার জন্যই যেন পরিকল্পনা দুটি প্রণয়ন করেছিলেন, বাস্তবায়নের জন্য নয়; যে কারণে সেসব পরিকল্পনা ঢাকা শহরকে পরিকল্পিত সুন্দর একটি শহরে পরিণত করতে পারেনি, যার প্রমাণ আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য ও পরিকল্পনা বিভাগের গবেষকবৃন্দ বায়েজীদ ইসমাইল চৌধুরী, পল জোনস ও পিটার আর্মস্ট্রং এ দুটি পরিকল্পনা নিয়ে গবেষণা করে এগুলোর ব্যর্থতা খুঁজে পেয়েছেন। এরূপ ব্যর্থতা অনেক দেশের রাজধানী শহরের ক্ষেত্রেই দেখা যায়। এরূপ ব্যর্থতা কাটিয়ে ওঠার জন্য শেষে নতুন করে অন্য একটি এলাকা বেছে নিয়ে নতুনভাবে পরিকল্পিত আধুনিক শহর গড়ে তুলতে হয়।
মালয়েশিয়ার পুত্রজায়া এর অন্যতম প্রমাণ। আমাদেরও ষাটের দশকের পর গড়ে উঠেছে পুরান ঢাকা ও নতুন ঢাকা শহর, এখন আবার সেগুলো রেখে আমাদের গড়তে হচ্ছে আধুনিক আরেক শহর—পূর্বাচল। সমস্যাটা হলো, রাজধানী শহর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে দ্রুত মানুষ আসতে থাকে, দ্রুত গড়ে ওঠে রাস্তাঘাট, কলকারখানা ও আবাসিক ভবন, অফিস-আদালত। বিস্তীর্ণ ফাঁকা জায়গা ছাড়া নতুনভাবে কোনো পরিকল্পনাই প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা যায় না।
সেই সুযোগ না থাকায় তাই আমাদের শহরবাসী মানুষকে আপস করতে হয় রাজনীতি, বাণিজ্য ও সামাজিক বিষয়াদির সঙ্গে; পরিকল্পনা হয় শুধু সমন্বয়ের, সংশোধনের বা উন্নীতকরণের। যে কারণে রাস্তা চওড়া হয় না, রাস্তা হয় আঁকাবাঁকা, শহরের ভবনগুলো হয় লম্বা-খাটো, আবাসিক এলাকায় থাকে না পরিকল্পিত কোনো জলাশয় ও নগর উদ্যান, সারা রাস্তা ও মহল্লাজুড়ে কেবল দোকান আর দোকান, রাস্তার ধারে গাছ লাগাব কোথায়? কাকে কে উচ্ছেদ করবে, কোনটা রেখে কোনটা সরাবে? তাই পরিকল্পিত ঢাকা শহরের স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। যতবারই ঢাকা শহরের যত বিস্তারিত পরিকল্পনাই করা হয়, ততবারই যেন পরিকল্পনার ‘পরি’ উড়ে যায়, পড়ে থাকে শুধু ‘কল্পনা’।
ঢাকা শহরের সর্বশেষ পরিকল্পনাটি হলো ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান বা ডিএপি ২০২২-২০৩৫। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী ঢাকা মহানগরের আয়তন ধরা হয়েছে ১ হাজার ৫২৮ বর্গকিলোমিটার, যার মধ্যে আবাসিক এলাকার জমির পরিমাণ ৭০৩.২২ বর্গকিলোমিটার (মোট আয়তনের ৪১.৩ শতাংশ)। এই পরিকল্পনায় ঢাকা শহরের ভূমি ব্যবহারের ধরনের ওপর ভিত্তি করে আবাসিক, বাণিজ্যিক, শিল্প, কৃষি, জলাশয়, খোলা জায়গা, নগর, বন ইত্যাদি। এই পরিকল্পনায় সমগ্র এলাকাকে ১০টি জোনে ভাগ করা হয়েছে, যার মধ্যে জলাশয়ের জন্য রাখা হয়েছে ১১.৭ শতাংশ এবং উন্মুক্ত স্থান মাত্র ৩.৬ শতাংশ। এই উন্মুক্ত স্থানেই গড়ে তোলা হবে পার্ক, খেলার মাঠ, নগর, বন ইত্যাদি। সবকিছুর সমন্বয় করে ঢাকাকে বাসযোগ্য পরিবেশবান্ধব একটি সবুজ মহানগরে রূপান্তরিত করতে হলে কিছু বিষয় বিবেচনা করা যেতে পারে। যেমন—
১. ঢাকা শহরে সাধারণত সরকারি বা প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ ছাড়া কেউ গাছ লাগায় না। বরং বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করতে গিয়ে বড় বড় গাছ কেটে ফেলে। ঢাকা শহরে যেহেতু গাছ লাগানোর মতো ফাঁকা জায়গার পরিমাণ কমে যাচ্ছে, গাছ লাগানোর জন্য এখন দ্রুত আধুনিক পদ্ধতিতে জরিপ করে গাছ লাগানোর সম্ভাব্য স্থানগুলো খুঁজে বের করতে হবে। সেই সব স্থানের ধরন ও পরিসর বুঝে গাছ লাগানোর পরিকল্পনা করতে হবে।
২. প্রথমে নজর দিতে হবে আমাদের নগর পার্কগুলোর দিকে। সেগুলোকে একেকটা সবুজ দ্বীপ হিসেবে সাজাতে হবে। পার্কগুলোর নান্দনিকতা ও তরুবৈচিত্র্যের দিকে লক্ষ রেখে পরিকল্পিতভাবে তা গড়ে তুলতে হবে। দেশি গাছপালাকে এ ক্ষেত্রে প্রাধান্য দিতে হবে। সুন্দর পরিকল্পনা ছাড়া কোনো উদ্যানই মনোরম ও নান্দনিক হয় না, হয় জঙ্গল।
৩. বিভিন্ন খাসজমি ও পতিত জায়গা থাকলে সেখানে কোনো স্থাপনা না করে নগর বন সৃষ্টি করতে হবে।
৪. বড় বড় রাস্তার পাশে ও সড়ক বিভাজকে গাছ লাগানোর ব্যাপারে সতর্কভাবে গাছ নির্বাচন এবং পরিকল্পিতভাবে তা লাগাতে হবে।
৫. প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চত্বরে গাছ লাগানোর সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কী কী গাছ আছে, কোথায় কোথায় গাছ লাগানোর মতো জায়গা আছে, সেখানে কী কী গাছ লাগানো যেতে পারে—এসব বিষয়ে পরিকল্পনা করে গাছ লাগানো শুরু করতে হবে। নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে পাস করা সুপ্রতিষ্ঠিত ব্যক্তি ও অ্যালামনাইরা এ ক্ষেত্রে পৃষ্ঠপোষকতার জন্য এগিয়ে আসতে পারেন।
৬. নতুন স্থাপনা বা গৃহনির্মাণের আগে তার পরিকল্পনা অনুমোদনের সঙ্গে বাগানের বা গাছপালা লাগানোর পরিকল্পনাও অনুমোদনের ব্যবস্থা করতে হবে।
৭. ছাদবাগান তৈরির জন্য বিশেষ প্রণোদনামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে কৃষি ও বন অধিদপ্তর, বেসরকারি সংস্থা ছাদবাগানের ওপর প্রকল্প গ্রহণ করতে পারে।
৮. শহরে শুধু গাছ লাগানোই বড় কথা নয়, সেগুলোর পরিচর্যার জন্য আলাদা ব্যবস্থাপনা ও জনবল সিটি করপোরেশন থেকে নিয়োগ দিতে হবে। ব্যক্তিগত বাসভবন ও সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে বৃক্ষ পরিচর্যায় উৎসাহিত ও প্রশিক্ষণ দিতে হবে, এ ব্যাপারে নিয়মিত মনিটরিংয়ের ব্যবস্থাও রাখতে হবে।
৯. ঢাকা শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে পার্ক স্থাপন করতে হবে। বিদ্যমান পার্কগুলোকে প্রয়োজনীয় সংস্কার করে তা ব্যবহারের উপযোগী ও সচল রাখতে হবে।
১০. লন্ডনের মতো আমাদের শহরের গাছ কাটার ব্যাপারেও আইন করে তা কঠোরভাবে পালন করতে হবে। সংরক্ষিত ৫৪ প্রজাতির উদ্ভিদের কেউ কোনো ক্ষতি করলে বা বিনাশ করলে তাকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
মৃত্যুঞ্জয় রায়, কৃষিবিদ ও পরিবেশবিষয়ক লেখক
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪