সম্পাদকীয়
আর যা-ই হোক, মাছ ব্যবসায়ীদের ধোয়া তুলসী পাতা ভাবার কোনো কারণ নেই। রাতের দিকে একবার মাছ কিনতে গিয়ে দেখুন না! একেবারে ‘ফ্রেশ’ বলে যে মাছ গছিয়ে দেওয়া হবে সস্তায়,
তা নিয়ে ফুরফুরে মেজাজে যখন বাড়ি ফিরবেন, তখনো বুঝতে পারবেন না কী সর্বনাশটা হলো! ব্যাগ থেকে অতি যত্নে যখন রান্নাঘর আলো করে মাছ বের হবে, তখন নিজের অলক্ষ্যেই নাক ঢাকতে হবে আপনার এবং বাড়ির লোকদের। তীব্র গন্ধটা আসলে পচে যাওয়া মাছের। এ রকম ‘ধরা’ খাওয়া মানুষের সংখ্যা কি কম?
ফলে ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু’ ধরনের কথার দাম অন্তত মাছ বাজারে নেই। না না, সব মাছ বিক্রেতাকে মিথ্যুক প্রমাণ করা হচ্ছে না, কিন্তু মাছের বাজারটি শুধু হইহল্লার জন্য বিখ্যাত এমন নয়, যে কেউ জানেন, তিন দিন আগের বরফে মৌজ করতে থাকা মাছটিও সদ্য নদী থেকে ধরে আনা মাছে রূপান্তরিত হতে বিলম্ব হয় না। সে মাছটি ‘তাজা মাছ’-এর পোস্টার হয়ে বাজার দাপিয়ে বেড়ায়।
ফরমালিন দিয়ে চিরযৌবনা করে রাখা মাছ নিয়ে ইদানীং হইচই কম। তাহলে কি মাছ ব্যবসায়ীরা সুবোধ হয়ে গেলেন? এখন আর ফরমালিনের ব্যবহার নেই? তাহলে যে বিশাল মাছটিকে প্রতিদিন দেখছেন কোনো মাছের ডালিতে, এক সপ্তাহ ধরে যা থাকছে সতেজ, সেই মাছটি কি ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিয়ে নদী থেকে উঠে এসেছে? কত অলৌকিক ঘটনার ওপরই তো বিশ্বাস রাখে মানুষ! কাউকে চাঁদে বসে রাজত্ব করতেও দেখে। যুক্তি দিয়ে ভাবার কোনো অবকাশই থাকে না—বিশ্বাস এমন এক ব্যাপার!
এই চালিয়াতেরা যখন রপ্তানির সময়ও মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করে, তখন গন্ডগোলটা এসে দেশের সম্মানের ওপর এমন এক চড় কষিয়ে দেয়, যার পর সে মুখ আর জনসমক্ষে দেখাতে ইচ্ছে করে না। বিদেশের মানুষ জেনে যায়, ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’র দেশ থেকে যে মাছগুলো বাইরে যাচ্ছে, সেগুলো খাওয়া বিপজ্জনক এবং সে রকম কিছু হলে মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়। আমরা নিশ্চয়ই ভুলে যাইনি, চিংড়ি মাছের মাথায় লোহা ঢুকিয়ে ওজন বাড়িয়ে রপ্তানি করে পয়সা কামিয়ে নেওয়ার ধান্দার বিষয়গুলো? ইউরোপীয় ইউনিয়ন তো স্রেফ জানিয়ে দিয়েছিল, ‘নাহে! তোমাদের চিংড়িগুলো পাঠানো বন্ধ করো! ওর মাথায় লোহা পুরে দেওয়া হয়েছে!’ পরে কত হুজ্জত করে সেই নিষেধাজ্ঞা ওঠানো হয়েছিল, মনে পড়ে?
কথাগুলো মনে এল চিংড়িতে জেলি ঢুকিয়ে ওজন বাড়ানোয় আবার জরিমানা করা হয়েছে দুই মাছ ব্যবসায়ীকে, সে খবরটি দেখার পর। আজকের পত্রিকার যশোর সংস্করণে প্রকাশিত খবরটিতে বলা হচ্ছে, ইনজেকশনের মাধ্যমে জেলি পুশ করা দেড় টন চিংড়ি জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। দুই ব্যবসায়ীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শুধু জরিমানায় আদতে কি কোনো পরিবর্তন আসে? এসেই যদি থাকে, তাহলে দিনের পর দিন একই খবরের পুনরাবৃত্তি হয় কী করে?
আর যা-ই হোক, মাছ ব্যবসায়ীদের ধোয়া তুলসী পাতা ভাবার কোনো কারণ নেই। রাতের দিকে একবার মাছ কিনতে গিয়ে দেখুন না! একেবারে ‘ফ্রেশ’ বলে যে মাছ গছিয়ে দেওয়া হবে সস্তায়,
তা নিয়ে ফুরফুরে মেজাজে যখন বাড়ি ফিরবেন, তখনো বুঝতে পারবেন না কী সর্বনাশটা হলো! ব্যাগ থেকে অতি যত্নে যখন রান্নাঘর আলো করে মাছ বের হবে, তখন নিজের অলক্ষ্যেই নাক ঢাকতে হবে আপনার এবং বাড়ির লোকদের। তীব্র গন্ধটা আসলে পচে যাওয়া মাছের। এ রকম ‘ধরা’ খাওয়া মানুষের সংখ্যা কি কম?
ফলে ‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু’ ধরনের কথার দাম অন্তত মাছ বাজারে নেই। না না, সব মাছ বিক্রেতাকে মিথ্যুক প্রমাণ করা হচ্ছে না, কিন্তু মাছের বাজারটি শুধু হইহল্লার জন্য বিখ্যাত এমন নয়, যে কেউ জানেন, তিন দিন আগের বরফে মৌজ করতে থাকা মাছটিও সদ্য নদী থেকে ধরে আনা মাছে রূপান্তরিত হতে বিলম্ব হয় না। সে মাছটি ‘তাজা মাছ’-এর পোস্টার হয়ে বাজার দাপিয়ে বেড়ায়।
ফরমালিন দিয়ে চিরযৌবনা করে রাখা মাছ নিয়ে ইদানীং হইচই কম। তাহলে কি মাছ ব্যবসায়ীরা সুবোধ হয়ে গেলেন? এখন আর ফরমালিনের ব্যবহার নেই? তাহলে যে বিশাল মাছটিকে প্রতিদিন দেখছেন কোনো মাছের ডালিতে, এক সপ্তাহ ধরে যা থাকছে সতেজ, সেই মাছটি কি ঈশ্বরের আশীর্বাদ নিয়ে নদী থেকে উঠে এসেছে? কত অলৌকিক ঘটনার ওপরই তো বিশ্বাস রাখে মানুষ! কাউকে চাঁদে বসে রাজত্ব করতেও দেখে। যুক্তি দিয়ে ভাবার কোনো অবকাশই থাকে না—বিশ্বাস এমন এক ব্যাপার!
এই চালিয়াতেরা যখন রপ্তানির সময়ও মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা করে, তখন গন্ডগোলটা এসে দেশের সম্মানের ওপর এমন এক চড় কষিয়ে দেয়, যার পর সে মুখ আর জনসমক্ষে দেখাতে ইচ্ছে করে না। বিদেশের মানুষ জেনে যায়, ‘মাছে-ভাতে বাঙালি’র দেশ থেকে যে মাছগুলো বাইরে যাচ্ছে, সেগুলো খাওয়া বিপজ্জনক এবং সে রকম কিছু হলে মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞাও আরোপ করা হয়। আমরা নিশ্চয়ই ভুলে যাইনি, চিংড়ি মাছের মাথায় লোহা ঢুকিয়ে ওজন বাড়িয়ে রপ্তানি করে পয়সা কামিয়ে নেওয়ার ধান্দার বিষয়গুলো? ইউরোপীয় ইউনিয়ন তো স্রেফ জানিয়ে দিয়েছিল, ‘নাহে! তোমাদের চিংড়িগুলো পাঠানো বন্ধ করো! ওর মাথায় লোহা পুরে দেওয়া হয়েছে!’ পরে কত হুজ্জত করে সেই নিষেধাজ্ঞা ওঠানো হয়েছিল, মনে পড়ে?
কথাগুলো মনে এল চিংড়িতে জেলি ঢুকিয়ে ওজন বাড়ানোয় আবার জরিমানা করা হয়েছে দুই মাছ ব্যবসায়ীকে, সে খবরটি দেখার পর। আজকের পত্রিকার যশোর সংস্করণে প্রকাশিত খবরটিতে বলা হচ্ছে, ইনজেকশনের মাধ্যমে জেলি পুশ করা দেড় টন চিংড়ি জব্দ করে ধ্বংস করা হয়েছে। দুই ব্যবসায়ীকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
শুধু জরিমানায় আদতে কি কোনো পরিবর্তন আসে? এসেই যদি থাকে, তাহলে দিনের পর দিন একই খবরের পুনরাবৃত্তি হয় কী করে?
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ দিন আগেআধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে দুই চিরবৈরী প্রতিবেশীর মধ্যে উত্তেজনার পারদ ক্রমেই চড়ছিল। তা তুঙ্গে উঠল এবার পাকিস্তানের ভূখণ্ডে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলা দিয়ে। পাশাপাশি সীমান্তেও দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে...
০৮ মে ২০২৫