ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
বাদাম বিক্রেতা মনিরুল ইসলামকে দিনশেষে গুনতে হয় ২০০ টাকা। পাঁপর বিক্রেতাকে দিতে হয় ৩০০ টাকা। ছোট দোকানগুলোকে ২০০-৩০০ টাকা দিতে হলেও বড় দোকানগুলোকে গুনতে হচ্ছে আরও বেশি, ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত।
ঝিনাইদহের পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) মাঠে কয়েক বছর ধরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজাকে ঘিরে ফার্নিচার মেলা বসছে। ১০ অক্টোবর শুরু হওয়া মেলার মাঠ বরাদ্দ দেওয়া হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। অভিযোগ উঠেছে, এক মাসের জন্য মেলার মাঠ উচ্চমূল্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরে সেখানে দোকান ভাড়া বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা হয়।
মেলার সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, মাঠে ছোট-বড় ১১০টি দোকান বসানো হয়েছে। এর মধ্যে ফার্নিচার বিক্রির দোকান প্রায় ৩৫টি। এসব দোকান থেকে প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকা আদায় করা হচ্ছে।
মেলার মাঠে দোকান দেওয়া এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন ধরনের আচার ও শরবতের দোকান আছে। এর জন্য প্রতিদিন ৮০০ টাকা দিতে হয়। একটি জিলাপির দোকান থেকে নেওয়া হয়েছে ৬০ হাজার টাকা অথচ আগের বছর তাঁর কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়েছিল।’
এদিকে বাড়তি টাকা দিয়ে খাবারের দোকান বসানোর পর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিম্নমানের খাবার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। মেলায় আসা সাব্বির রহমান বলেন, ‘পরিবার নিয়ে মেলায় ঘুরতে এসেছি। মেলায় যে খাবার বিক্রি হচ্ছে, সেসব খুবই নিম্নমানের। দামও অনেক বেশি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি জানান, ডিসি অফিস থেকে এক মাসের জন্য মেলার অনুমতি নেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। এরপর আজগার আলী নামের এক লোকের কাছে মেলার এক পাশ বিক্রি করে দেন মোটা অঙ্কের টাকায়। তাঁরা আবার একেকটি দোকানের স্থান বিক্রি করেন ৪০-৫০ হাজার টাকায়।
এ বিষয়ে আজগার আলী বলেন, ‘মেলার মাঠটি রোকন ভাইয়ের। তাঁর কাছ থেকে মেলার মাঠের এক পাশ ১০ লাখ টাকায় কিনে নিয়েছি। আমার সঙ্গে চান মিয়া নামের একজনসহ চার-পাঁচজন আছেন। রোকন ভাই কীভাবে মেলা নিয়েছেন, কত টাকায় নিয়েছেন, আমরা বলতে পারব না।’
এ বিষয়ে চেষ্টা করেও রোকনুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
জানা গেছে, জেলা প্রশাসক দপ্তরের নাজির মো. জাহিদ হাসান বিষয়টি দেখভাল করেন। তিনি বলেন, মেলার কোনো তথ্য দেওয়া যাবে না। আপনি লিখতে পারেন, এখানে মেলা চলছে; কিন্তু মেলার তথ্য চাইতে পারেন না। কত টাকায় মাঠ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা বলা যাবে না।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সেলিম রেজা বলেন, ‘এক মাসের জন্য ফার্নিচার মেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এ জন্য কত টাকা নেওয়া হয়েছে তা আমার জানা নেই।’
জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম এ বিষয়ে বলেন, মেলার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আপনাকে অফিসে এসে কথা বলতে হবে। মোবাইল ফোনে বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। এ ছাড়া আজ ছুটির দিন।
বাদাম বিক্রেতা মনিরুল ইসলামকে দিনশেষে গুনতে হয় ২০০ টাকা। পাঁপর বিক্রেতাকে দিতে হয় ৩০০ টাকা। ছোট দোকানগুলোকে ২০০-৩০০ টাকা দিতে হলেও বড় দোকানগুলোকে গুনতে হচ্ছে আরও বেশি, ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত।
ঝিনাইদহের পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) মাঠে কয়েক বছর ধরে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গাপূজাকে ঘিরে ফার্নিচার মেলা বসছে। ১০ অক্টোবর শুরু হওয়া মেলার মাঠ বরাদ্দ দেওয়া হয় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। অভিযোগ উঠেছে, এক মাসের জন্য মেলার মাঠ উচ্চমূল্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়। পরে সেখানে দোকান ভাড়া বাবদ মোটা অঙ্কের টাকা আদায় করা হয়।
মেলার সঙ্গে যুক্ত একাধিক ব্যক্তি জানিয়েছেন, মাঠে ছোট-বড় ১১০টি দোকান বসানো হয়েছে। এর মধ্যে ফার্নিচার বিক্রির দোকান প্রায় ৩৫টি। এসব দোকান থেকে প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকা আদায় করা হচ্ছে।
মেলার মাঠে দোকান দেওয়া এক ব্যক্তি বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন ধরনের আচার ও শরবতের দোকান আছে। এর জন্য প্রতিদিন ৮০০ টাকা দিতে হয়। একটি জিলাপির দোকান থেকে নেওয়া হয়েছে ৬০ হাজার টাকা অথচ আগের বছর তাঁর কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা নিয়েছিল।’
এদিকে বাড়তি টাকা দিয়ে খাবারের দোকান বসানোর পর অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নিম্নমানের খাবার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। মেলায় আসা সাব্বির রহমান বলেন, ‘পরিবার নিয়ে মেলায় ঘুরতে এসেছি। মেলায় যে খাবার বিক্রি হচ্ছে, সেসব খুবই নিম্নমানের। দামও অনেক বেশি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক ব্যক্তি জানান, ডিসি অফিস থেকে এক মাসের জন্য মেলার অনুমতি নেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। এরপর আজগার আলী নামের এক লোকের কাছে মেলার এক পাশ বিক্রি করে দেন মোটা অঙ্কের টাকায়। তাঁরা আবার একেকটি দোকানের স্থান বিক্রি করেন ৪০-৫০ হাজার টাকায়।
এ বিষয়ে আজগার আলী বলেন, ‘মেলার মাঠটি রোকন ভাইয়ের। তাঁর কাছ থেকে মেলার মাঠের এক পাশ ১০ লাখ টাকায় কিনে নিয়েছি। আমার সঙ্গে চান মিয়া নামের একজনসহ চার-পাঁচজন আছেন। রোকন ভাই কীভাবে মেলা নিয়েছেন, কত টাকায় নিয়েছেন, আমরা বলতে পারব না।’
এ বিষয়ে চেষ্টা করেও রোকনুজ্জামানের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। তাঁর মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
জানা গেছে, জেলা প্রশাসক দপ্তরের নাজির মো. জাহিদ হাসান বিষয়টি দেখভাল করেন। তিনি বলেন, মেলার কোনো তথ্য দেওয়া যাবে না। আপনি লিখতে পারেন, এখানে মেলা চলছে; কিন্তু মেলার তথ্য চাইতে পারেন না। কত টাকায় মাঠ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে তা বলা যাবে না।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সেলিম রেজা বলেন, ‘এক মাসের জন্য ফার্নিচার মেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে এ জন্য কত টাকা নেওয়া হয়েছে তা আমার জানা নেই।’
জেলা প্রশাসক মনিরা বেগম এ বিষয়ে বলেন, মেলার বিষয়ে বিস্তারিত জানতে আপনাকে অফিসে এসে কথা বলতে হবে। মোবাইল ফোনে বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়। এ ছাড়া আজ ছুটির দিন।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪