হিরামন মণ্ডল সাগর, বটিয়াঘাটা
কখন হবে সকাল, সেই অপেক্ষায় রাত কাটে বটিয়াঘাটা ও পাইকগাছা উপজেলার কয়েক শত পরিবারের। উপকূলীয় অঞ্চলের দরিদ্র পরিবারের এসব সদস্যরা ভোর হলেই নৌকা নিয়ে রওনা দেন ভদ্রা নদীর বালুর দ্বীপে। এই দ্বীপে কাঠ কুড়িয়েই চলে তাঁদের জীবন-জীবিকা।
প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নদীর মাঝখানে বালুর দ্বীপে কাঠ কুড়াতে গিয়ে অনেকেই দুর্ঘটনার শিকারও হন। তবুও তাঁদের দেখার যেন কেউ নেই।
কাঠের সন্ধানে ভোরবেলা কনকনে শীতের মধ্যে তাঁরা ছুটে চলেন নদীর বুকে। এক ঝাঁক পাখির মতো নদীর বুকে মানুষের ঢল।
খুলনার বটিয়াঘাটা ও পাইকগাছা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার বারোআড়িয়া ও বিগরদানা গ্রামের মাঝে ভদ্রা নদীর তীরে জেগে উঠেছে বিশাল এই বালুর দ্বীপ। এই দ্বীপে প্রতিদিন জোয়ারভাটার শেষপ্রান্তে নদীর তলদেশ থেকে ভেসে আসা কাঠের টুকরার সন্ধানে যায় এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ। বালুর চর থেকে প্রতিদিন কাঠ সংগ্রহ করেন তাঁরা। এই কাঠ কেউ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করেন আবার কেউ কেউ বিক্রি করে চালান নিজেদের জীবন-জীবিকা। জ্বালানির পর এসব কাঠের কয়লাও বিক্রি করা হয়। টিন, ঝুড়ি ও ছোট বস্তা প্রতি কাঠ বিক্রি হয় একশত থেকে দুই শত টাকা।
কাঠ কুড়ানো কাঞ্চন বিবি (৭০) বলেন, ‘আমি প্রতিদিন যাই কাঠ কুড়াতে নদীর চরে। যে কাঠ পাই তাতে আমার এক মাসের জ্বালানি হয়ে যায়। আবার জ্বালানির শেষে আবার কয়লাও বিক্রি করি। তাতে কিছু টাকা পাই। অনেকে আবার কাঠ সংগ্রহের পরেই বিক্রি করে দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এক বস্তা কাঠ-কয়লা বিক্রি করি দুই শত টাকায়। ওই টাকা আমি আমার নাতি-নাতনিদের পেছনে খরচ করি।’
কাঠ কুড়ানো মজিদা বেগম, তানজিলা বেগম, সুবান, রাশিদা বেগম, সালমা খান, লাইলী বেগম, ঝরনা বেগম ও সানা বলেন, নদীতে জোয়ারের শেষে ও ভাটার সময় নদীর তলদেশ থেকে কাঠ ভেসে আসে। সেই কাঠ সংগ্রহ করে আমরা আমাদের অর্থনৈতিক চাহিদা মেটাই। এলাকার অনেক পরিবারের আয়-রোজগার এই কাঠের ওপর নির্ভরশীল। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের একমাত্র উপার্জন হলো নদীতে মাছ ধরা আর নদীর তলদেশ থেকে কাঠ সংগ্রহ করা। কখনো কখনো এদের বিষধর জলজ প্রাণীর শিকার হতে হয়।
উপজেলা কৃষক লীগ নেতা শেখ মো. দাউদ আলী বলেন, ‘আমাদের দেশে শ্রমের কোনো মূল্য নাই। মালিকপক্ষ শুধু শ্রমিকদের খাটাতে পারলে ভালো হয়। যে কারণে এই সকল মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন ঝুঁকিপূর্ণর মধ্যেও তাঁরা নদীর চরে কাঠ কুড়াতে যায়। তাঁদের পাশে স্থানীয় সরকার ও জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসা উচিত।’
কখন হবে সকাল, সেই অপেক্ষায় রাত কাটে বটিয়াঘাটা ও পাইকগাছা উপজেলার কয়েক শত পরিবারের। উপকূলীয় অঞ্চলের দরিদ্র পরিবারের এসব সদস্যরা ভোর হলেই নৌকা নিয়ে রওনা দেন ভদ্রা নদীর বালুর দ্বীপে। এই দ্বীপে কাঠ কুড়িয়েই চলে তাঁদের জীবন-জীবিকা।
প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নদীর মাঝখানে বালুর দ্বীপে কাঠ কুড়াতে গিয়ে অনেকেই দুর্ঘটনার শিকারও হন। তবুও তাঁদের দেখার যেন কেউ নেই।
কাঠের সন্ধানে ভোরবেলা কনকনে শীতের মধ্যে তাঁরা ছুটে চলেন নদীর বুকে। এক ঝাঁক পাখির মতো নদীর বুকে মানুষের ঢল।
খুলনার বটিয়াঘাটা ও পাইকগাছা উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার বারোআড়িয়া ও বিগরদানা গ্রামের মাঝে ভদ্রা নদীর তীরে জেগে উঠেছে বিশাল এই বালুর দ্বীপ। এই দ্বীপে প্রতিদিন জোয়ারভাটার শেষপ্রান্তে নদীর তলদেশ থেকে ভেসে আসা কাঠের টুকরার সন্ধানে যায় এলাকার খেটে খাওয়া মানুষ। বালুর চর থেকে প্রতিদিন কাঠ সংগ্রহ করেন তাঁরা। এই কাঠ কেউ জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করেন আবার কেউ কেউ বিক্রি করে চালান নিজেদের জীবন-জীবিকা। জ্বালানির পর এসব কাঠের কয়লাও বিক্রি করা হয়। টিন, ঝুড়ি ও ছোট বস্তা প্রতি কাঠ বিক্রি হয় একশত থেকে দুই শত টাকা।
কাঠ কুড়ানো কাঞ্চন বিবি (৭০) বলেন, ‘আমি প্রতিদিন যাই কাঠ কুড়াতে নদীর চরে। যে কাঠ পাই তাতে আমার এক মাসের জ্বালানি হয়ে যায়। আবার জ্বালানির শেষে আবার কয়লাও বিক্রি করি। তাতে কিছু টাকা পাই। অনেকে আবার কাঠ সংগ্রহের পরেই বিক্রি করে দেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘এক বস্তা কাঠ-কয়লা বিক্রি করি দুই শত টাকায়। ওই টাকা আমি আমার নাতি-নাতনিদের পেছনে খরচ করি।’
কাঠ কুড়ানো মজিদা বেগম, তানজিলা বেগম, সুবান, রাশিদা বেগম, সালমা খান, লাইলী বেগম, ঝরনা বেগম ও সানা বলেন, নদীতে জোয়ারের শেষে ও ভাটার সময় নদীর তলদেশ থেকে কাঠ ভেসে আসে। সেই কাঠ সংগ্রহ করে আমরা আমাদের অর্থনৈতিক চাহিদা মেটাই। এলাকার অনেক পরিবারের আয়-রোজগার এই কাঠের ওপর নির্ভরশীল। উপকূলীয় অঞ্চলের মানুষের একমাত্র উপার্জন হলো নদীতে মাছ ধরা আর নদীর তলদেশ থেকে কাঠ সংগ্রহ করা। কখনো কখনো এদের বিষধর জলজ প্রাণীর শিকার হতে হয়।
উপজেলা কৃষক লীগ নেতা শেখ মো. দাউদ আলী বলেন, ‘আমাদের দেশে শ্রমের কোনো মূল্য নাই। মালিকপক্ষ শুধু শ্রমিকদের খাটাতে পারলে ভালো হয়। যে কারণে এই সকল মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজন ঝুঁকিপূর্ণর মধ্যেও তাঁরা নদীর চরে কাঠ কুড়াতে যায়। তাঁদের পাশে স্থানীয় সরকার ও জনপ্রতিনিধিদের এগিয়ে আসা উচিত।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪