Ajker Patrika

সুপেয় পানির সংকট কাটছে

রাসেল আহমেদ, তেরখাদা
আপডেট : ৩১ অক্টোবর ২০২১, ১৫: ৫৭
সুপেয় পানির সংকট কাটছে

তেরখাদা উপজেলায় নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় ৪০৬টি গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ এগিয়ে চলছে। ইতিমধ্যে এ প্রকল্পের সুফল পেতে শুরু করেছে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী। ফলে দীর্ঘদিনের সুপেয় পানির সংকট নিরসন হচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জানা গেছে, এ উপজেলায় আর্সেনিকমুক্ত বিশুদ্ধ পানি সরবরাহে গভীর নলকূপ স্থাপন ও রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিংসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ করছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। এখানকার জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে নিরাপদ পানির ওপর। স্থানীয় সাংসদের প্রচেষ্টায় বিশেষ বরাদ্দের মাধ্যমে নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্থার নানা পরিবর্তন এসেছে।

জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, ২০২০-২১ অর্থবছরে তেরখাদা উপজেলায় বিশেষ প্রকল্পে নিরাপদ পানি সরবরাহ ও স্যানিটেশন প্রকল্প থেকে ৪০৬টি গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে। এর মধ্যে আর্সেনিক ঝুঁকি নিরসন প্রকল্প থেকে ১৪২টি, সমগ্র দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্প থেকে ১৫৬টি এবং পরীক্ষামূলক গভীর নলকূপ প্রকল্প থেকে ৬টি গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে।

স্থানীয় সাংসদ আব্দুস সালাম মুর্শেদীর বিশেষ বরাদ্দকৃত প্রকল্প থেকে ৩৯০টি রেইন ওয়াটার হার্ভেস্টিং স্থাপন এবং ১০টি প্রতিষ্ঠাভিত্তিক কমিউনিটি টয়লেট নির্মাণাধীন রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫টি ‘ওয়াশ ব্লক’ নির্মাণ করা হয়েছে।

খুলনা-৪ আসনের সাংসদ আব্দুস সালাম মুর্শেদী বলেন, নিরাপদ পানি ও উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গ্রামবাংলার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে সরকার। ‘গ্রাম হবে শহর’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আমি আমার নির্বাচনী এলাকার মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সব কর্মযজ্ঞে শামিল থাকব।

তিনি বলেন, একটা সময় পানিবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রতিবছর অসংখ্য মানুষের জীবন বিপন্ন হতো। যে কারণে বর্তমান সরকারের নির্বাচনীয় প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আমার নির্বাচনী এলাকায় সুপেয় পানি ও নিরাপদ স্যানিটেশন ব্যবস্থার লক্ষ্যে নানামুখী পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হচ্ছে।

উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী প্রজিত সরকার বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে চলমান প্রকল্পের কাজ কিছুটা ব্যাহত হলেও বর্তমানে তা পুরোদমে শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হলে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বিশুদ্ধ পানি ও নিরাপদ স্যানিটেশন নিশ্চিত হবে। এতে উপজেলাবাসী দারুণভাবে উপকৃত হবে।

তিনি আরও বলেন, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে গভীর নলকূপ স্থাপিত হলে বিপুলসংখ্যক মানুষকে আর্সেনিকমুক্ত সুপেয় পানি নিশ্চিত করা যাবে। সুবিধাবঞ্চিত সাধারণ পরিবারের অসংখ্য মানুষ আর্সেনিকমুক্ত সুপেয় পানির আওতায় আসবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত