লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীরহাট-ঢাকা লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে একটি লঞ্চ প্রতিদিন ঢাকার সদরঘাট থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে মজুচৌধুরীরহাট ঘাটের উদ্দেশে এবং প্রতিদিন সকাল ৭টায় মজুচৌধুরীরহাট ঘাট থেকে সদরঘাটের উদ্দেশে রওনা হবে।
গত সোমবার বিকেলে ঢাকার সদরঘাটে এই লঞ্চ সার্ভিসের উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) প্রিন্স অব রাসেল-৩ নামের একটি লঞ্চ দিয়ে নতুন এ নৌপথের উদ্বোধন করেন নৌ-ট্রাফিক বিভাগের পরিচালক রফিকুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লঞ্চের মালিক জামাল হোসেন এবং নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘ঢাকা-লক্ষ্মীপুর লঞ্চ চাই’ পরিষদের আহ্বায়ক আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান, সদস্য আফজাল হোসেন অনিক এবং রেদওয়ান উল্লাহ খান।
লক্ষ্মীপুর-ঢাকা লঞ্চ চালু করতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল জেলার বাসিন্দারা। যার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ২৭ জানুয়ারি লক্ষ্মীপুরে তৎকালীন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামালের লঞ্চ সার্ভিস উদ্বোধন করার কথা ছিল। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।
২০১৯ সালের ৩ মার্চ বিআইডব্লিউটিএ চিঠি দিয়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এমভি বোগদাদিয়া-৮ লঞ্চ চালুর অনুমতি দেয়। সেখানে বলা হয়, পরীক্ষামূলকভাবে এটি চলবে। এর মধ্যে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে হবে। কিন্তু নাব্যতা সংকটে লঞ্চ চালু করা সম্ভব হয়নি।
তবে ইতিমধ্যে লক্ষ্মীপুর-ঢাকা নৌপথে মেঘনা নদীর নাব্যতা সংকট নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ পথের লক্ষ্মীপুর অংশে প্রায় ১০ কিলোমিটার নদী খননের জন্য ৪৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। ২০২২ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-লক্ষ্মীপুরে নৌযান চলাচল উন্মুক্ত করতে সদর উপজেলার চর রমণী মোহন থেকে চর মেঘা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার অংশ খনন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ-ট্রাফিক বিভাগের পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী ও মেঘনা হয়ে ঢাকা-লক্ষ্মীপুর নৌপথ চালু করা সম্ভব। তাতে যাত্রীরা সড়কপথের তুলনায় কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। মেঘনা নদী দিয়ে ভোলা-লক্ষ্মীপুর, লক্ষ্মীপুর-ঢাকা নৌপথ সচল থাকলে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে পূর্বাঞ্চল ও রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে। দিন দিন আরও লঞ্চের সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করেন তিনি।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, গত ২৫ বছর নদী খনন না করায় লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। এতে নদীর তীব্র স্রোতে উপকূলীয় জনপদ ভাঙছে। ভিটামাটিসহ সরকারি-বেসরকারি বহু স্থাপনা নদীতে তলিয়ে গেছে।
ঢাকা-লক্ষ্মীপুর লঞ্চ চাই আন্দোলনের আহ্বায়ক আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে লঞ্চ চালুর দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছিলাম। অবশেষে সে দাবি বাস্তবায়ন হয়েছে। লক্ষ্মীপুর-ঢাকা লঞ্চ সার্ভিস চালু হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের আনন্দের শেষ নেই।’
দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে লক্ষ্মীপুরের মজুচৌধুরীরহাট-ঢাকা লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে। প্রাথমিকভাবে একটি লঞ্চ প্রতিদিন ঢাকার সদরঘাট থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে মজুচৌধুরীরহাট ঘাটের উদ্দেশে এবং প্রতিদিন সকাল ৭টায় মজুচৌধুরীরহাট ঘাট থেকে সদরঘাটের উদ্দেশে রওনা হবে।
গত সোমবার বিকেলে ঢাকার সদরঘাটে এই লঞ্চ সার্ভিসের উদ্বোধন করা হয়। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) প্রিন্স অব রাসেল-৩ নামের একটি লঞ্চ দিয়ে নতুন এ নৌপথের উদ্বোধন করেন নৌ-ট্রাফিক বিভাগের পরিচালক রফিকুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন লঞ্চের মালিক জামাল হোসেন এবং নাগরিক অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘ঢাকা-লক্ষ্মীপুর লঞ্চ চাই’ পরিষদের আহ্বায়ক আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান, সদস্য আফজাল হোসেন অনিক এবং রেদওয়ান উল্লাহ খান।
লক্ষ্মীপুর-ঢাকা লঞ্চ চালু করতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিল জেলার বাসিন্দারা। যার পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালের ২৭ জানুয়ারি লক্ষ্মীপুরে তৎকালীন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামালের লঞ্চ সার্ভিস উদ্বোধন করার কথা ছিল। কিন্তু তা সম্ভব হয়নি।
২০১৯ সালের ৩ মার্চ বিআইডব্লিউটিএ চিঠি দিয়ে ৩১ মার্চ পর্যন্ত এমভি বোগদাদিয়া-৮ লঞ্চ চালুর অনুমতি দেয়। সেখানে বলা হয়, পরীক্ষামূলকভাবে এটি চলবে। এর মধ্যে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করতে হবে। কিন্তু নাব্যতা সংকটে লঞ্চ চালু করা সম্ভব হয়নি।
তবে ইতিমধ্যে লক্ষ্মীপুর-ঢাকা নৌপথে মেঘনা নদীর নাব্যতা সংকট নিরসনের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ পথের লক্ষ্মীপুর অংশে প্রায় ১০ কিলোমিটার নদী খননের জন্য ৪৯ কোটি ৮৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০২০ সালের ১২ জানুয়ারি একটি প্রকল্প অনুমোদন দেয় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। ২০২২ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিআইডব্লিউটিএ। প্রকল্পের আওতায় ঢাকা-লক্ষ্মীপুরে নৌযান চলাচল উন্মুক্ত করতে সদর উপজেলার চর রমণী মোহন থেকে চর মেঘা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার অংশ খনন করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) নৌ-ট্রাফিক বিভাগের পরিচালক রফিকুল ইসলাম জানান, বুড়িগঙ্গা, ধলেশ্বরী ও মেঘনা হয়ে ঢাকা-লক্ষ্মীপুর নৌপথ চালু করা সম্ভব। তাতে যাত্রীরা সড়কপথের তুলনায় কম সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবে। মেঘনা নদী দিয়ে ভোলা-লক্ষ্মীপুর, লক্ষ্মীপুর-ঢাকা নৌপথ সচল থাকলে দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে পূর্বাঞ্চল ও রাজধানীর যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে। দিন দিন আরও লঞ্চের সংখ্যা বাড়বে বলে আশা করেন তিনি।
এ বিষয়ে পরিকল্পনা কমিশন সূত্র জানায়, গত ২৫ বছর নদী খনন না করায় লক্ষ্মীপুরের মেঘনায় নাব্যতা সংকট দেখা দিয়েছে। এতে নদীর তীব্র স্রোতে উপকূলীয় জনপদ ভাঙছে। ভিটামাটিসহ সরকারি-বেসরকারি বহু স্থাপনা নদীতে তলিয়ে গেছে।
ঢাকা-লক্ষ্মীপুর লঞ্চ চাই আন্দোলনের আহ্বায়ক আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে লঞ্চ চালুর দাবিতে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছিলাম। অবশেষে সে দাবি বাস্তবায়ন হয়েছে। লক্ষ্মীপুর-ঢাকা লঞ্চ সার্ভিস চালু হওয়ায় এ অঞ্চলের মানুষের আনন্দের শেষ নেই।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪