নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
নাটকের যেন শেষ নেই। কিছুদিন পরপরই নতুন দৃশ্যের অবতারণা করে জাতীয় পার্টি (জাপা)। সর্বশেষ দৃশ্যটি সামনে এনেছেন দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। গতকাল গুলশানে নিজের বাসভবনে এক সভা ডেকে জাপার বর্তমান চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে নিজেকে দলের চেয়ারম্যান এবং কাজী মামুনুর রশিদকে দলের মহাসচিব ঘোষণা করেছেন রওশন এরশাদ।
এদিকে রওশন এরশাদ যখন জি এম কাদেরকে দল থেকে অব্যাহতি দিচ্ছেন, তখন কাদেরের অনুসারীরা মেতেছেন বিরোধী দলের মর্যাদা পাওয়ার আনন্দে।
গতকাল রোববার জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়। একই সঙ্গে আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে করা হয়েছে বিরোধীদলীয় উপনেতা।
রওশন এরশাদের মতবিনিময় সভায় জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত, অব্যাহতিপ্রাপ্ত ও স্বেচ্ছায় পদত্যাগকারী নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় রওশন এরশাদ বলেন, ‘দলের সংকট নিরসনে পার্টির নেতা-কর্মীদের অনুরোধে এবং পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০-এর ১ ধারায় বর্ণিত ক্ষমতাবলে আমি পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে অব্যাহতি প্রদান করলাম। নেতা-কর্মীদের অনুরোধে আমি পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করলাম।’
বিভিন্ন সময়ে দলের যেসব নেতা-কর্মীকে অব্যাহতি বা বহিষ্কার করা হয়েছে, তাঁদের স্বপদে বহাল করা হবে জানিয়ে রওশন বলেন, খুব শিগগির দলের দশম কাউন্সিল আয়োজন করা হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জি এম কাদের ও চুন্নুর ভূমিকা জাতীয় পার্টিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে উল্লেখ করে রওশন এরশাদ বলেন, ২৮৭টি আসনে প্রার্থী মনোনয়ন প্রদান করে ২৬টি আসনে সমঝোতা করা এবং আসন সমঝোতার পরেও জনসমক্ষে অস্বীকার করে দেশবাসী এবং পার্টির মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে পার্টিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।
নির্বাচনের পর ১০ জানুয়ারি বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন হেরে যাওয়া জাপা প্রার্থীরা। বিক্ষোভে জি এম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নুর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যর্থতার অভিযোগে তাঁদের পদত্যাগ দাবি করে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন বিক্ষুব্ধ নেতারা।
পরে ১৪ জানুয়ারি আবারও রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিক্ষুব্ধ নেতারা সভায় মিলিত হলে দলের কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায় ও শফিকুল ইসলাম সেন্টু ও ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াহ ইয়া চৌধুরীকে দল থেকে অব্যাহতি দেন জি এম কাদের। এতে সংকট আরও ঘনীভূত হয়। পরে ২৫ জানুয়ারি অব্যাহতি পাওয়া সেন্টু ও সুনীলের নেতৃত্বে দল থেকে ৬৭১ জন নেতা-কর্মী পদত্যাগ করেন।
চুন্নুর প্রতিক্রিয়া
এদিকে রওশন এরশাদের বাসভবনে মতবিনিময়ের পর জাপা চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। রওশনের ঘোষণা অগঠনতান্ত্রিক জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই ঘোষণার কোনো ভিত্তি নাই। এই ধরনের কোনো ক্ষমতা ওনার নাই।’
জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষকের পদ ‘অলংকারিক’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রধান পৃষ্ঠপোষকের দলীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কোনো রকম ক্ষমতা নাই, সুযোগ নাই। এটা একটা অলংকৃত পদ। অলংকৃত পদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না।’
চুন্নু আরও বলেন, ‘উনি যে চেয়ারম্যান-মহাসচিবকে বাদ দিয়েছেন—এটা এ নিয়ে তৃতীয়বার। এর আগেও উনি দুইবার নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করে বাদ দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে আবার প্রত্যাহার করেছিলেন এই বলে যে ওনার ঘোষণাটা ঠিক না।’
জি এম কাদের বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচিত
দলের অভ্যন্তরে নানা সংকটের মধ্যেই প্রথমবারের মতো বিরোধীদলীয় নেতার আসনে বসতে যাচ্ছেন জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের। গতকাল সংসদ সচিবালয় থেকে স্পিকারের আদেশক্রমে সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কে এম আব্দুস সালাম স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘“জাতীয় সংসদে সরকারি দলের বিরোধিতাকারী সর্বোচ্চসংখ্যক সদস্য লইয়া গঠিত ক্ষেত্রমত দল বা অধিসঙ্ঘের নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী-বিধি”র ২(১) (ট) বিধি অনুযায়ী বিরোধী দলের নেতা এবং “বিরোধী দলের নেতা এবং উপনেতা (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন, ২০২১” মোতাবেক চট্টগ্রাম-৫ হতে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে বিরোধী দলের উপনেতা হিসেবে স্পিকার স্বীকৃতি প্রদান করেছেন।’
নাটকের যেন শেষ নেই। কিছুদিন পরপরই নতুন দৃশ্যের অবতারণা করে জাতীয় পার্টি (জাপা)। সর্বশেষ দৃশ্যটি সামনে এনেছেন দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। গতকাল গুলশানে নিজের বাসভবনে এক সভা ডেকে জাপার বর্তমান চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে দল থেকে অব্যাহতি দিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে নিজেকে দলের চেয়ারম্যান এবং কাজী মামুনুর রশিদকে দলের মহাসচিব ঘোষণা করেছেন রওশন এরশাদ।
এদিকে রওশন এরশাদ যখন জি এম কাদেরকে দল থেকে অব্যাহতি দিচ্ছেন, তখন কাদেরের অনুসারীরা মেতেছেন বিরোধী দলের মর্যাদা পাওয়ার আনন্দে।
গতকাল রোববার জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদেরকে সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সংসদ সচিবালয়। একই সঙ্গে আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে করা হয়েছে বিরোধীদলীয় উপনেতা।
রওশন এরশাদের মতবিনিময় সভায় জাতীয় পার্টি থেকে বহিষ্কৃত, অব্যাহতিপ্রাপ্ত ও স্বেচ্ছায় পদত্যাগকারী নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। সভায় রওশন এরশাদ বলেন, ‘দলের সংকট নিরসনে পার্টির নেতা-কর্মীদের অনুরোধে এবং পার্টির গঠনতন্ত্রের ২০-এর ১ ধারায় বর্ণিত ক্ষমতাবলে আমি পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে অব্যাহতি প্রদান করলাম। নেতা-কর্মীদের অনুরোধে আমি পার্টির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব গ্রহণ করলাম।’
বিভিন্ন সময়ে দলের যেসব নেতা-কর্মীকে অব্যাহতি বা বহিষ্কার করা হয়েছে, তাঁদের স্বপদে বহাল করা হবে জানিয়ে রওশন বলেন, খুব শিগগির দলের দশম কাউন্সিল আয়োজন করা হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জি এম কাদের ও চুন্নুর ভূমিকা জাতীয় পার্টিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে উল্লেখ করে রওশন এরশাদ বলেন, ২৮৭টি আসনে প্রার্থী মনোনয়ন প্রদান করে ২৬টি আসনে সমঝোতা করা এবং আসন সমঝোতার পরেও জনসমক্ষে অস্বীকার করে দেশবাসী এবং পার্টির মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে পার্টিকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হয়েছে।
নির্বাচনের পর ১০ জানুয়ারি বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন হেরে যাওয়া জাপা প্রার্থীরা। বিক্ষোভে জি এম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নুর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যর্থতার অভিযোগে তাঁদের পদত্যাগ দাবি করে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন বিক্ষুব্ধ নেতারা।
পরে ১৪ জানুয়ারি আবারও রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বিক্ষুব্ধ নেতারা সভায় মিলিত হলে দলের কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায় ও শফিকুল ইসলাম সেন্টু ও ভাইস চেয়ারম্যান ইয়াহ ইয়া চৌধুরীকে দল থেকে অব্যাহতি দেন জি এম কাদের। এতে সংকট আরও ঘনীভূত হয়। পরে ২৫ জানুয়ারি অব্যাহতি পাওয়া সেন্টু ও সুনীলের নেতৃত্বে দল থেকে ৬৭১ জন নেতা-কর্মী পদত্যাগ করেন।
চুন্নুর প্রতিক্রিয়া
এদিকে রওশন এরশাদের বাসভবনে মতবিনিময়ের পর জাপা চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন দলের মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। রওশনের ঘোষণা অগঠনতান্ত্রিক জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এই ঘোষণার কোনো ভিত্তি নাই। এই ধরনের কোনো ক্ষমতা ওনার নাই।’
জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষকের পদ ‘অলংকারিক’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘প্রধান পৃষ্ঠপোষকের দলীয় সিদ্ধান্তের ব্যাপারে কোনো রকম ক্ষমতা নাই, সুযোগ নাই। এটা একটা অলংকৃত পদ। অলংকৃত পদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে আমরা মনে করি না।’
চুন্নু আরও বলেন, ‘উনি যে চেয়ারম্যান-মহাসচিবকে বাদ দিয়েছেন—এটা এ নিয়ে তৃতীয়বার। এর আগেও উনি দুইবার নিজেকে চেয়ারম্যান ঘোষণা করে বাদ দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে আবার প্রত্যাহার করেছিলেন এই বলে যে ওনার ঘোষণাটা ঠিক না।’
জি এম কাদের বিরোধীদলীয় নেতা নির্বাচিত
দলের অভ্যন্তরে নানা সংকটের মধ্যেই প্রথমবারের মতো বিরোধীদলীয় নেতার আসনে বসতে যাচ্ছেন জাপা চেয়ারম্যান জি এম কাদের। গতকাল সংসদ সচিবালয় থেকে স্পিকারের আদেশক্রমে সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব কে এম আব্দুস সালাম স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘“জাতীয় সংসদে সরকারি দলের বিরোধিতাকারী সর্বোচ্চসংখ্যক সদস্য লইয়া গঠিত ক্ষেত্রমত দল বা অধিসঙ্ঘের নেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদেরকে জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালী-বিধি”র ২(১) (ট) বিধি অনুযায়ী বিরোধী দলের নেতা এবং “বিরোধী দলের নেতা এবং উপনেতা (পারিতোষিক ও বিশেষাধিকার) আইন, ২০২১” মোতাবেক চট্টগ্রাম-৫ হতে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে বিরোধী দলের উপনেতা হিসেবে স্পিকার স্বীকৃতি প্রদান করেছেন।’
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪