Ajker Patrika

প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একের পর এক চুরি

কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ অক্টোবর ২০২১, ১৮: ১৯
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একের পর এক চুরি

গাজীপুরের কালিয়াকৈরের বিভিন্ন এলাকায় সম্প্রতি চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এর আগে গত বছর উপজেলায় আরও চারটি সরকারি বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছিল। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটায় বাড়ছে আতঙ্ক।

চোরেরা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের আলমারির তালা ভেঙে ল্যাপটপ, সাউন্ড সিস্টেমসহ বিভিন্ন মূল্যবান মালামাল ও কাগজপত্র চুরি করে নিয়ে গেছে। এসব ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কালিয়াকৈর থানায় পৃথক অভিযোগ করা হয়েছে। তবে একের পর এক বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনার পরও প্রশাসন তেমন উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

বিভিন্ন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় ১২২টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৫৫টি বিদ্যালয়ে নৈশপ্রহরী আছে। বেশির ভাগ বিদ্যালয়ের নেই কোনো সীমানাপ্রাচীর। আর এ কারণে চুরিসহ ঘটছে বিভিন্ন ঘটনা। সম্প্রতি পাঁচ দিনে উপজেলা চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটেছে। গত বছর চুরি হয়েছিল চারটি বিদ্যালয়ে।

সর্বশেষ গত সোমবার রাতে উপজেলার তালতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে চোরেরা। পরে তাঁরা আলমারির তালা ভেঙে বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যান।

এর আগে গত ২০ অক্টোবর রাতে উপজেলার সিনাবহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরের দল প্রথমে ওই বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষের তালা ভাঙে। তাঁরা অফিস কক্ষের আলমারির তালা ভেঙে ভেতরে থাকা ল্যাপটপ, সাউন্ড সিস্টেম, মাইকসহ বিভিন্ন মালামালসহ আনুমানিক ১ লাখ ৩০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়।

২৩ অক্টোবর রাতে উপজেলার ঢোলসমুদ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বাঁশতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটে।

এসব চুরির ঘটনায় বিদ্যালয়গুলোর পক্ষ থেকে কালিয়াকৈর থানায় পৃথক পৃথক অভিযোগ করা হয়েছে। এ ছাড়া গত বছর উপজেলার মাটিকাটা, চান্দরা, গোসাইবাড়ী, কালিয়াকৈর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটে।

ঢোলসমুদ্র সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেরুন্নেসা খানম বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয়ে গত ২৩ তারিখ রাতে চোরেরা অফিস কক্ষের তালা ভেঙে ল্যাপটপসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে গেছে। সীমানাপ্রাচীর না থাকায় চোরদের চুরি করতে সহজ হয়েছে।’

কালিয়াকৈর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রমিতা ইসলাম বলেন, ‘প্রায় প্রতি রাতেই উপজেলার কোনো না কোনো বিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা ঘটছে। এ ঘটনায় থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের নজরে আনা উচিত।’

কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চুরির ঘটনা অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। এরকম ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর না ঘটে, দ্রুত সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত