Ajker Patrika

ফেরিসংকটে পারাপার ব্যাহত, চরম দুর্ভোগ

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ১৩: ৩৮
ফেরিসংকটে পারাপার ব্যাহত, চরম দুর্ভোগ

লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌপথে ফেরি সংকটে যানবাহন পারাপার ব্যাহত হচ্ছে। গতকাল সোমবার মজুচৌধুরীরহাট ফেরিঘাটে দুই শতাধিক পণ্যবাহী গাড়ি আটকে ছিল। প্রায় ১৫ দিন ধরে এই সংকট চলছে।

নদীপারের অপেক্ষায় থাকা পণ্যবাহী যানবাহনগুলোকে দিনের পর দিন অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এই পথে চলাচলকারী চালক ও তাঁদের সহযোগীরা। তা ছাড়া পণ্যের মালিকদের গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। গত ১৫ দিন ধরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মজুচৌধুরীরহাট ফেরিঘাটে এই অবস্থা চলছে।

বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, লক্ষ্মীপুর-ভোলা নৌপথে শুরু থেকে চারটি ফেরি দিয়ে যাত্রীবাহী বাস, পণ্যবাহী যানসহ ছোট-বড় বিভিন্ন যানবাহন পারাপার করা হতো। কিছুদিন আগে একটি ফেরি বিকল হলে ফেরি সংখ্যা দাঁড়ায় তিনটিতে। কিন্তু গত কয়েক দিনে আরও একটি ফেরি বিকল হয়ে পড়ে। এখন দুটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। নদীর গভীরতা কমে যাওয়ায় প্রায় সময়ই মেঘনা নদীর রহমতখালী চ্যানেলে ডুবোচরে ফেরি আটকা পড়ে। নদীতে ভাটার সময় প্রায়ই ফেরি চলাচল বন্ধ থাকে। কুয়াশার কারণেও ফেরি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। নির্দিষ্ট সময়ে ঘাট থেকে ছেড়ে গেলেও কুয়াশার কারণে মাঝনদীতে আটকে থাকতে হয়।

এ নৌপথে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার যানবাহন চলাচল করে। রহমতখালী চ্যানেলের বিভিন্ন পয়েন্টে চর জেগে থাকায় নদীর গভীরতা কমে যাচ্ছে। গভীরতা বাড়াতে এ চ্যানেলে ড্রেজিং প্রকল্প চালু করা হয়েছে। বর্তমানে কাজ বন্ধ রয়েছে। ড্রেজিংয়ের মাটি নদীর কাছাকাছি ফেলার কারণে সেই মাটি আবার নদীতে গিয়ে পড়ছে। যে কারণে ড্রেজিং প্রকল্প চালু থাকলেও নদীর নাব্যতা বাড়ছে না।

মজুচৌধুরীরহাট ফেরিঘাটে অপেক্ষায় থাকা মালবাহী ট্রাকচালক রহিম উদ্দিন বলেন, এ রুটে ফেরি পার হতে চার-পাঁচ দিন অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। একদিকে ফেরি কম, অন্যদিকে প্রায় সময়ই ঘণ্টার পর ঘণ্টা নদীতে ফেরি আটকে থাকে। এতে ট্রাকে থাকা কাঁচামাল সব নষ্ট হয়ে যায়। তাতে ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। শীতের মধ্যে থাকা-খাওয়ায় কষ্ট করতে হয়। টয়লেট সুবিধার অভাব থাকায়ও সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত ফেরি সংকট দূর করার দাবি জানান তিনি।

লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরীরহাট ফেরিঘাটের প্রান্তিক সহকারী রেজাউল করিম রাজু বলেন, মাত্র দুটি ফেরি দিয়ে মালবাহী ও যাত্রীবাহী যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। একটি ফেরি ডকইয়ার্ডে পাঠানো হয়েছে। বাকি তিনটির মধ্যে কলমীলতা নামের ফেরিটি এক সপ্তাহ ধরে বিকল। সেটি মেরামত করে এক ট্রিপ চলার পর দুটি ইঞ্জিনের মধ্যে একটি আবারও বিকল হয়ে পড়ে।

রেজাউল করিম রাজু আরও বলেন, বর্তমানে কৃষাণী এবং কুসুমকলি ফেরি দুটি সচল রয়েছে। একটি ফেরি দিনে দুই ট্রিপ দিতে পারে। প্রতি ট্রিপে ৯-১০টি ট্রাক এবং ১০টি ছোট গাড়ি পারাপার করা যায়। আর যাত্রীবাহী বাস পারাপার করা যায় ৫-৬টি। প্রয়োজনের চেয়ে ফেরির সংখ্যা কম হওয়ায় দুই শতাধিক যানবাহন ফেরিঘাটে আটকা পড়ে আছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সেনানিবাস ঘিরে ‘নাশকতার পরিকল্পনা’, বরখাস্ত সৈনিকসহ গ্রেপ্তার ৩

বাংলাদেশ এড়িয়ে সমুদ্রপথে সেভেন সিস্টার্সকে যুক্ত করতে নতুন প্রকল্প ভারতের

থাইল্যান্ডে পর্যটন ভিসা পেতে আর্থিক সক্ষমতার প্রমাণ দিতে হবে

দক্ষিণপন্থীদের কবজায় বাংলাদেশের রাজনীতি: বদরুদ্দীন উমর

এবার প্রশাসনিক কাজে বিরত থাকার সিদ্ধান্ত কুয়েট শিক্ষক সমিতির

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত