Ajker Patrika

অন্তঃসত্ত্বার পেটে লাথি দেওয়ার অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
আপডেট : ০৬ জুলাই ২০২২, ১৪: ৩৩
Thumbnail image

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর পেটে লাথি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আব্দুল গণি (৩৫) নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।

গত সোমবার বিকেলে উপজেলার নেহালপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে আমেনা বেগম (২২) নামে ওই নারীকে স্বজনেরা চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।

জানা গেছে, অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই সদর হাসপাতাল থেকে শহরের একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে ওই নারীর অস্ত্রোপচার (সিজার) করা হয়েছে। আমেনা নেহালপুর গ্রামের পান্তপাড়ার ইউসুফ আলীর মেয়ে। এ ঘটনায় আব্দুল গণির বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।

আমেনার বাবা ইউসুফ আলী বলেন, ‘প্রতিবেশী সাহেব আলীর মেয়ে সাথীর নামে মিথ্যা রটানো হয়েছে-এ অভিযোগে তার স্বামী (আব্দুল গণি) বাড়িতে এসে আমেনার পেটে লাথি মারে। ব্যথায় ছটফট করতে থাকলে আমরা তাকে দ্রুত সদর হাসপাতালে ভর্তি করি। চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা দিলে হাসপাতালের বাইরের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করানো হয়।’

ইউসুফ আলী বলেন, ‘এ সময় জানা যায়, লাথির কারণে পেটের সন্তানও আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে। পরে চিকিৎসকের পরামর্শে ডেলিভারির সময়ের আগেই সিজার করতে হয়েছে। একটি মেয়েসন্তান জন্ম দিয়েছে আমেনা। পরে গণির বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছি।’

দেশ ক্লিনিকে ওই আমেনার অস্ত্রোপচার করেন ডা. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, ‘পেটে আঘাত পাওয়ায় তাঁর প্রসব বেদনা শুরু হয়। আলট্রাসনোগ্রাফিসহ যাবতীয় পরীক্ষায় জানা যায়, ওই অন্তঃসত্ত্বা নারীর পেটে পানিশূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। পরে সিজার করা হয়। মা ও সন্তান দুজনেই শঙ্কামুক্ত আছে।’

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত