শাকিলা ববি, সিলেট
সিলেট নগরীর জাহাঙ্গীরনগর এলাকার একটি টিলার পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে চার বছর বাস করছেন বিলকিস বেগম। স্বামী ও চার সন্তান নিয়ে টিলার একাংশে ঘর বানিয়ে থাকছেন তাঁরা। বিলকিস বেগম বলেন, ‘আমাদের স্থায়ী জায়গা নেই। স্বামী দিনমজুর, আমি মানুষের বাসায় কাজ করি। এখানে কম ভাড়ায় থাকা যায়, তাই ঝুঁকি জেনেও বাচ্চাদের নিয়ে বাস করছি। সারা বছর তেমন কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু বর্ষার সময় টিলার নিচে থাকা অনেক ঝুঁকির জেনেও থাকতে হচ্ছে। এ ছাড়া আর উপায় নেই আমার।’
নগরীর জাহাঙ্গীরনগর এলাকায় আলীবাহার চা বাগানের টিলার নিচে বাস করে ১৫ পরিবার। এই পরিবারগুলোতে নারী শিশুসহ প্রায় ৫০ জন থাকেন। এখানে বসবাসরত সবাই দরিদ্র ও ভূমিহীন। বেশির ভাগ মানুষই দিনমজুর।
জাহাঙ্গীরনগর এলাকায় আরেকটি টিলার নিচে বাস করেন স্বপ্না বেগম। তাঁর স্বামী রিকশাচালক। স্বামী ও চার সন্তান নিয়ে টিলার নিচে একটি টিনের ঘরে বাস করেন তিনি। স্বপ্না বেগম বলেন, ‘বৃষ্টি হলে আতঙ্কে থাকি। কারণ আমরা একদম টিলার নিচে থাকি। যেদিন রাতে বেশি বৃষ্টি হয় সেদিন ঘুমাই না। কারণ কোন সময় কী হয় বলা যায় না।’
প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম শুরু হলেই সিলেটে পাহাড় ও টিলা ধসের ঘটনায় প্রাণহানি হয়। এ সময় এসব পাহাড় ও টিলায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের মধ্যেও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়ে যায়।
সিলেট নগরী ও সদর উপজেলাসহ জেলার গোলাপগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় সহস্রাধিক পাহাড়-টিলা রয়েছে। তবে এ সংক্রান্ত কোনো পরিসংখ্যান নেই জেলা প্রশাসনের কাছে। তবে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ও সেভ দ্য হেরিটেজ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিভিন্ন সময় সিলেটের পাহাড়-টিলা নিয়ে জরিপ করেছে। বেলার তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত সিলেট বিভাগে ১ হাজার ৭৪৫টি (২৭৪৯.৫০ একর) টিলাভূমি রয়েছে। এর মধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশন, সিলেট সদর উপজেলা, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ ও জৈন্তাপুরে ১ হাজার ২৫টি টিলাভূমি রয়েছে। এ ছাড়া ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁও ও সদর ইউনিয়নে ২৫১.০৮ একর টিলাভূমি রয়েছে।
সেভ দ্য হেরিটেজ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ২০১৭ সালের জরিপে দেখা গেছে, সিলেটে টিলার পাদদেশে বাড়ি তৈরি করে বাস করছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। তবে এ সংখ্যা বর্তমানে দ্বিগুণ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বেলার প্রধান সমন্বয়ক আবদুল হাই।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরানো যায় না। এটা একটা বড় সমস্যা। এ জন্য বৃষ্টির সময় দুর্ঘটনা ঘটে। টিলার পাদদেশে বসবাসকারীদের কীভাবে সরানো যায় ও পুনর্বাসন করা যায় তা নিয়ে ভাবছি।’
সিলেট নগরীর জাহাঙ্গীরনগর এলাকার একটি টিলার পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে চার বছর বাস করছেন বিলকিস বেগম। স্বামী ও চার সন্তান নিয়ে টিলার একাংশে ঘর বানিয়ে থাকছেন তাঁরা। বিলকিস বেগম বলেন, ‘আমাদের স্থায়ী জায়গা নেই। স্বামী দিনমজুর, আমি মানুষের বাসায় কাজ করি। এখানে কম ভাড়ায় থাকা যায়, তাই ঝুঁকি জেনেও বাচ্চাদের নিয়ে বাস করছি। সারা বছর তেমন কোনো সমস্যা হয় না। কিন্তু বর্ষার সময় টিলার নিচে থাকা অনেক ঝুঁকির জেনেও থাকতে হচ্ছে। এ ছাড়া আর উপায় নেই আমার।’
নগরীর জাহাঙ্গীরনগর এলাকায় আলীবাহার চা বাগানের টিলার নিচে বাস করে ১৫ পরিবার। এই পরিবারগুলোতে নারী শিশুসহ প্রায় ৫০ জন থাকেন। এখানে বসবাসরত সবাই দরিদ্র ও ভূমিহীন। বেশির ভাগ মানুষই দিনমজুর।
জাহাঙ্গীরনগর এলাকায় আরেকটি টিলার নিচে বাস করেন স্বপ্না বেগম। তাঁর স্বামী রিকশাচালক। স্বামী ও চার সন্তান নিয়ে টিলার নিচে একটি টিনের ঘরে বাস করেন তিনি। স্বপ্না বেগম বলেন, ‘বৃষ্টি হলে আতঙ্কে থাকি। কারণ আমরা একদম টিলার নিচে থাকি। যেদিন রাতে বেশি বৃষ্টি হয় সেদিন ঘুমাই না। কারণ কোন সময় কী হয় বলা যায় না।’
প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম শুরু হলেই সিলেটে পাহাড় ও টিলা ধসের ঘটনায় প্রাণহানি হয়। এ সময় এসব পাহাড় ও টিলায় ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের মধ্যেও উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বেড়ে যায়।
সিলেট নগরী ও সদর উপজেলাসহ জেলার গোলাপগঞ্জ, ফেঞ্চুগঞ্জ, জৈন্তাপুর ও গোয়াইনঘাট উপজেলায় সহস্রাধিক পাহাড়-টিলা রয়েছে। তবে এ সংক্রান্ত কোনো পরিসংখ্যান নেই জেলা প্রশাসনের কাছে। তবে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতি (বেলা) ও সেভ দ্য হেরিটেজ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিভিন্ন সময় সিলেটের পাহাড়-টিলা নিয়ে জরিপ করেছে। বেলার তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত সিলেট বিভাগে ১ হাজার ৭৪৫টি (২৭৪৯.৫০ একর) টিলাভূমি রয়েছে। এর মধ্যে সিলেট সিটি করপোরেশন, সিলেট সদর উপজেলা, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ ও জৈন্তাপুরে ১ হাজার ২৫টি টিলাভূমি রয়েছে। এ ছাড়া ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার মাইজগাঁও ও সদর ইউনিয়নে ২৫১.০৮ একর টিলাভূমি রয়েছে।
সেভ দ্য হেরিটেজ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট নামের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ২০১৭ সালের জরিপে দেখা গেছে, সিলেটে টিলার পাদদেশে বাড়ি তৈরি করে বাস করছেন প্রায় ১০ হাজার মানুষ। তবে এ সংখ্যা বর্তমানে দ্বিগুণ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন বেলার প্রধান সমন্বয়ক আবদুল হাই।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. মজিবর রহমান বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসকারীদের সরানো যায় না। এটা একটা বড় সমস্যা। এ জন্য বৃষ্টির সময় দুর্ঘটনা ঘটে। টিলার পাদদেশে বসবাসকারীদের কীভাবে সরানো যায় ও পুনর্বাসন করা যায় তা নিয়ে ভাবছি।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪