Ajker Patrika

হাত-পা বেঁধে স্ত্রীই শ্বাসরোধে হত্যা করেন মিলনকে

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ২৫ এপ্রিল ২০২২, ১৫: ২৩
হাত-পা বেঁধে স্ত্রীই শ্বাসরোধে হত্যা করেন মিলনকে

লক্ষ্মীপুরে গাছের সঙ্গে হাত-পা বেঁধে শ্বাসরোধে স্বামী মিলন হোসেনকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন স্ত্রী জাহানারা বেগম। গতকাল রোববার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু ইউসুফের আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি এসব কথা বলেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন। তিনি বলেন, মিলন হোসেনকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে, সে বিষয়ে আদালতে বর্ণনা দেন জাহানারা বেগম।

গত বৃহস্পতিবার রাতে নিজ ঘর থেকে গোয়ালঘরের পাশে নিয়ে প্রথমে স্বামী মিলন হোসেনকে গাছের সঙ্গে দুই হাত বেঁধে ফেলেন। এ সময় স্বাভাবিকভাবে বসে ছিলেন মিলন। একপর্যায়ে তাঁর গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করেন। পরে নিস্তেজ হয়ে পড়লে ঘরে ফিরে যান জাহানারা।

স্ত্রীর দাবি, সব সময় স্বামী মিলন হোসেন কারণে-অকারণে অকথ্য ভাষায় গালাগালসহ নানাভাবে নির্যাতন করতেন। এ নির্যাতন সইতে না পেরে স্বামীকে হত্যা করেন। তবে কীভাবে তাঁকে হত্যা করা হবে, সে বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরে ছক আঁকেন জাহানারা। সে মোতাবেক মিলনকে একাই হত্যা করেছেন। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে অন্য কেউ জড়িত নয় বলেও দাবি করেন তিনি।

এর আগে গতকাল সকালে বাবা মিলন হোসেনকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা করেন নিহতের ছোট ছেলে মো. মাহবুব আলম। চন্দ্রগঞ্জ থানায় বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামি করে এ মামলা করে ছেলে। ওই মামলায় মাহবুব আলমের মা জাহানারা বেগমকে আদালতে তোলা হয়। পরে আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দেন তিনি।

এর আগে শনিবার সকালে জাহানারা বেগম ও ছেলে মোশারেফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। হত্যার সঙ্গে ছেলে মোশারেফ হোসেন জড়িত নয় বিধায় তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেড়ে দেয় পুলিশ।

উল্লেখ্য, মিলন হোসেন গত শনিবার রাতের খাবার খেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। সকালে তাঁর হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মরদেহ বাড়ির পাশে গাছের সঙ্গে বাঁধা দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পরে চন্দ্রগঞ্জ থানা-পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মিলনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। এ সময় পুলিশ স্ত্রী জাহানারা বেগম ও বড় ছেলে মোশারেফ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত