Ajker Patrika

চিলমারীতে নূরুন্নবী হত্যার দায়ে ৮ জনের যাবজ্জীবন

কুড়িগ্রাম ও চিলমারী প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ মে ২০২২, ১৫: ১১
চিলমারীতে নূরুন্নবী হত্যার দায়ে ৮ জনের যাবজ্জীবন

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে মুদিদোকানি নূরুন্নবী মিয়াকে হত্যার দায়ে আট আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল সোমবার জেলা জজ আদালতের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মো. আব্দুল মান্নান আসামিদের উপস্থিতিতে এ আদেশ দেন।

পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আব্রাহাম লিংকন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন রাশেদ মিয়া, মোসলেম উদ্দিন, তছলিম উদ্দিন, মকবুল হোসেন, নুরু মিয়া, মোনাল মিয়া ওরফে মোন্নাফ, আ. কাদের এবং মিন্টু। তাঁরা সবাই চিলমারী উপজেলার রাণীগঞ্জ ইউনিয়নের কাঁচকোল এলাকার সড়কটারী গ্রামের বাসিন্দা।

নিহত দোকানির নাম নূরুন্নবী মিয়া (২০)। তিনি উপজেলার কাঁচকোল এলাকার মোখলেছুর রহমানের ছেলে। ২০০৪ সালের ২২ জানুয়ারি রাতে হত্যাকাণ্ডের এক দিন পর নূরুন্নবীর বাবা বাদী হয়ে চিলমারী থানায় মামলা করেন। ১৮ বছর মামলার কার্যক্রম শেষে আদালত সোমবার আট আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪ সালের ২২ জানুয়ারি রাতে ভুক্তভোগী নূরুন্নবী ও রাশেদ দোকানের ভেতর ঘুমিয়েছিল। পূর্ব শত্রুতার জেরে নূরুন্নবীকে পরিকল্পিতভাবে দোকানের ভেতর ঘুমন্ত অবস্থায় গলায় মাফলার পেঁচিয়ে হত্যা করে রাশেদ ও অন্য আসামিরা। পরের দিন সকালে নিহতের ভাই আশরাফুল ইসলাম দোকানে গিয়ে নূরুন্নবীর মরদেহ দেখতে পান। পরে স্থানীয়রা ছুটে এসে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা মোখলেছুর রহমান বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে চিলমারী থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ৯ জনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ এনে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। পরে চাঁদ মিয়া নামে এক আসামির মৃত্যু হলে তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত অপর আট আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন পিপি আব্রাহাম লিংকন। আসামি পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট আমজাদ হোসেন ও সামসুজ্জোহা রুবেল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত