মীর রাকিব হাসান
দক্ষিণ কোরিয়ায় দল নিয়ে গিয়েছিলেন। পারফর্ম করেছেন। অভিজ্ঞতা কেমন?
অভিজ্ঞতা নিঃসন্দেহে চমৎকার। ৮-১১ জুলাই দেইগু শহরে বসেছিল এই উৎসব। কোরিয়ার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রবিন্দু বলা যায় দেইগু শহরকে। ২০১৯ সালেই অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। এরপর তো করোনা চলে এল। আবারও ওরা আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এই উৎসবে প্রথমবারের মতো আমন্ত্রণ পেয়েছে বাংলাদেশ। আনন্দের পাশাপাশি এটা দায়িত্বেরও ছিল। অনেক চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে কী করব। কীভাবে বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করলে আমরা যে শিল্প-সাহিত্যে অনেক সমৃদ্ধ, সেই ব্যাপারগুলো ওখানে প্রতিফলিত হবে, সেটা ভেবেই আমরা গিয়েছি।
কী ধরনের পারফর্ম করলেন সেখানে?
উৎসবে আমরা দুটি প্রযোজনা নিয়ে অংশ নিয়েছিলাম। এর মধ্যে একটি ১০ মিনিট দৈর্ঘ্যের ‘পাঁচফোড়ন’ ও অন্যটি ৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের ‘নন্দিনী’। দুটির ভাবনা, নকশা, নৃত্যনির্মাণ ও নির্দেশনা আমারই। দুই রকমের আয়োজন হয়েছে। একটি সড়কের মধ্যেই স্টেজ তৈরি করা হয়েছে। আরেকটি একদম খোলা রাস্তায় পারফরম্যান্স। স্টেজে ‘পাঁচফোড়ন’ মঞ্চায়ন করেছি। এই নাচে আমরা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে চিত্রায়িত করেছি। যেমন আমাদের কৃষক, শ্রমিক, গার্মেন্টসের কর্মী, মাঝি, মৌয়াল। আর ‘নন্দিনী’ প্রোডাকশনে আমরা দেখিয়েছি আমাদের নাচ, সাহিত্য, গানসহ অনেক কিছু। একেবারেই আমাদের ফোক যে ট্র্যাডিশন, ধূপ-ধোঁয়া হাতে ধুনচি নিয়ে নাচ করা। এটা যে শুধু পূজায় হয় এমন না। আমি বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতি নিয়ে গবেষণা করেছি। দেখেছি, এটা একেবারেই এই ভূখণ্ডের একটা আদি সংস্কৃতি। যখন মানুষ আগুন আবিষ্কার করল, তখন থেকেই নিজের চারপাশের পরিবেশকে পবিত্র রাখতে এই ধূপ কিংবা ধোঁয়ার প্রচলন হয়েছে। এই নাচটায় ছিল একেবারেই আমাদের নিজেদের সংস্কৃতির প্রতিফলন।
নাচে আপনার এখনকার ব্যস্ততা কী নিয়ে?
‘ওয়াটারনেস’ প্রযোজনার মহড়া চলছে এই মুহূর্তে। ‘অনামিকা সাগরকন্যা’র মঞ্চায়ন হচ্ছে বহুদিন ধরে। ‘হো চি মিন’ খুব বেশি প্রদর্শনী হয়নি। ইচ্ছে আছে এর প্রদর্শনী করব। আশা করছি, এই বছর নতুন আরেকটি প্রোডাকশন আনতে পারব। তেমন প্ল্যানিং চলছে। আমি কিছু গবেষণার কাজ করি। সেসব নিয়েও ব্যস্ততা আছে। ‘তুরঙ্গমী স্কুল অব ড্যান্স’-এ নিয়মিত সময় দিতে হয়। সেখানে নতুন শিল্পী তৈরির কাজ করছি।
বাংলাদেশে নাচের বর্তমান অবস্থা কী?
অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন অবস্থা অনেকটা ভালো। নাচকে এখন পেশা হিসেবে নেওয়ার স্বপ্ন দেখছে ছেলেমেয়েরা। আজ থেকে আট বছর আগে আমি যখন নাচকে পেশা হিসেবে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমার সামনে খুব একটা রোল মডেল পাইনি যে এটা করেই সমাজে সম্মানের সঙ্গে থাকা যায়। এই জায়গাটা মনে হয় ক্রমেই তৈরি হচ্ছে।
বিদেশে বাংলাদেশের নাচ কীভাবে আরও গুরুত্ব পেতে পারে?
একটা সময় আমরা শুধু বিদেশিদের নাচই করেছি। চেয়েছিলাম, নৃত্যে আমার মাটির গন্ধ যেন পাওয়া যায়। ভারতের রবীন্দ্রভারতীতে নাচ নিয়ে পড়াশোনার সময় থেকেই সেই ভাবনা ছিল আমার। এর জন্য অনেক খাটতে হয়েছে। রিসার্চ করতে হয়েছে। একটা সময় মানুষের ভালো লেগেছে। কোরিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়েছি। প্রশংসা পাওয়ার জন্য এটাই সবচেয়ে বড় মন্ত্র বলে আমি মনে করি।
দক্ষিণ কোরিয়ায় দল নিয়ে গিয়েছিলেন। পারফর্ম করেছেন। অভিজ্ঞতা কেমন?
অভিজ্ঞতা নিঃসন্দেহে চমৎকার। ৮-১১ জুলাই দেইগু শহরে বসেছিল এই উৎসব। কোরিয়ার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রবিন্দু বলা যায় দেইগু শহরকে। ২০১৯ সালেই অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ পেয়েছিলাম। এরপর তো করোনা চলে এল। আবারও ওরা আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এই উৎসবে প্রথমবারের মতো আমন্ত্রণ পেয়েছে বাংলাদেশ। আনন্দের পাশাপাশি এটা দায়িত্বেরও ছিল। অনেক চিন্তাভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে কী করব। কীভাবে বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করলে আমরা যে শিল্প-সাহিত্যে অনেক সমৃদ্ধ, সেই ব্যাপারগুলো ওখানে প্রতিফলিত হবে, সেটা ভেবেই আমরা গিয়েছি।
কী ধরনের পারফর্ম করলেন সেখানে?
উৎসবে আমরা দুটি প্রযোজনা নিয়ে অংশ নিয়েছিলাম। এর মধ্যে একটি ১০ মিনিট দৈর্ঘ্যের ‘পাঁচফোড়ন’ ও অন্যটি ৫ মিনিট দৈর্ঘ্যের ‘নন্দিনী’। দুটির ভাবনা, নকশা, নৃত্যনির্মাণ ও নির্দেশনা আমারই। দুই রকমের আয়োজন হয়েছে। একটি সড়কের মধ্যেই স্টেজ তৈরি করা হয়েছে। আরেকটি একদম খোলা রাস্তায় পারফরম্যান্স। স্টেজে ‘পাঁচফোড়ন’ মঞ্চায়ন করেছি। এই নাচে আমরা বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষকে চিত্রায়িত করেছি। যেমন আমাদের কৃষক, শ্রমিক, গার্মেন্টসের কর্মী, মাঝি, মৌয়াল। আর ‘নন্দিনী’ প্রোডাকশনে আমরা দেখিয়েছি আমাদের নাচ, সাহিত্য, গানসহ অনেক কিছু। একেবারেই আমাদের ফোক যে ট্র্যাডিশন, ধূপ-ধোঁয়া হাতে ধুনচি নিয়ে নাচ করা। এটা যে শুধু পূজায় হয় এমন না। আমি বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতি নিয়ে গবেষণা করেছি। দেখেছি, এটা একেবারেই এই ভূখণ্ডের একটা আদি সংস্কৃতি। যখন মানুষ আগুন আবিষ্কার করল, তখন থেকেই নিজের চারপাশের পরিবেশকে পবিত্র রাখতে এই ধূপ কিংবা ধোঁয়ার প্রচলন হয়েছে। এই নাচটায় ছিল একেবারেই আমাদের নিজেদের সংস্কৃতির প্রতিফলন।
নাচে আপনার এখনকার ব্যস্ততা কী নিয়ে?
‘ওয়াটারনেস’ প্রযোজনার মহড়া চলছে এই মুহূর্তে। ‘অনামিকা সাগরকন্যা’র মঞ্চায়ন হচ্ছে বহুদিন ধরে। ‘হো চি মিন’ খুব বেশি প্রদর্শনী হয়নি। ইচ্ছে আছে এর প্রদর্শনী করব। আশা করছি, এই বছর নতুন আরেকটি প্রোডাকশন আনতে পারব। তেমন প্ল্যানিং চলছে। আমি কিছু গবেষণার কাজ করি। সেসব নিয়েও ব্যস্ততা আছে। ‘তুরঙ্গমী স্কুল অব ড্যান্স’-এ নিয়মিত সময় দিতে হয়। সেখানে নতুন শিল্পী তৈরির কাজ করছি।
বাংলাদেশে নাচের বর্তমান অবস্থা কী?
অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন অবস্থা অনেকটা ভালো। নাচকে এখন পেশা হিসেবে নেওয়ার স্বপ্ন দেখছে ছেলেমেয়েরা। আজ থেকে আট বছর আগে আমি যখন নাচকে পেশা হিসেবে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, আমার সামনে খুব একটা রোল মডেল পাইনি যে এটা করেই সমাজে সম্মানের সঙ্গে থাকা যায়। এই জায়গাটা মনে হয় ক্রমেই তৈরি হচ্ছে।
বিদেশে বাংলাদেশের নাচ কীভাবে আরও গুরুত্ব পেতে পারে?
একটা সময় আমরা শুধু বিদেশিদের নাচই করেছি। চেয়েছিলাম, নৃত্যে আমার মাটির গন্ধ যেন পাওয়া যায়। ভারতের রবীন্দ্রভারতীতে নাচ নিয়ে পড়াশোনার সময় থেকেই সেই ভাবনা ছিল আমার। এর জন্য অনেক খাটতে হয়েছে। রিসার্চ করতে হয়েছে। একটা সময় মানুষের ভালো লেগেছে। কোরিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে গিয়েছি। প্রশংসা পাওয়ার জন্য এটাই সবচেয়ে বড় মন্ত্র বলে আমি মনে করি।
বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ দিন আগেগাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪দেশের পরিবহন খাতের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকারী ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কমিটির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সাইফুল আলমের নেতৃত্বাধীন এ কমিটিকে নিবন্ধন দেয়নি শ্রম অধিদপ্তর। তবে এটি কার্যক্রম চালাচ্ছে। কমিটির নেতারা অংশ নিচ্ছেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের...
২০ নভেম্বর ২০২৪